السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.
১.উস্তাজ আমি যতোদূর জানি মাহরম ছাড়া মেয়েদের সফর দূরত্বে যাওয়া + সেখানে অবস্থান করা নিষেধ। এবং আমি এই বিষয়টা কঠোরভাবে মেনে চলার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। আমার বড়বোনের সিজারে ছেলে হয়েছে একমাস হলো আলহামদুলিল্লাহ। ওরা ঢাকায় থাকে। ঢাকায় আমার ভাইয়া মামারাও আছে। তাই আম্মুসহ এখানে আছি ওকে সাহায্য করতে। প্রথম মা হয়েছে আবার সিজার। একা একা তো সব সামলানো যায় না।
কিন্তু সমস্যা হলো ওরা ১৫ রমাদ্বনের দিকে ওর শ্বশুর বাড়ি যাবে যেটা ঢাকা থেকে বেশ দূরে (৮-১০ ঘণ্টার পথ)। ওর জামাই রেখে আসবে। ওর শ্বশুর বাড়িতে এমন কেউ নেই যে ওর দেখাশোনা করবে। ওর শাশুড়ী প্যারালাইড + মাথায় হালকা সমস্যা আছে। বাসায় শ্বশুর শাশুড়ী একা থাকে। ওর শাশুড়ির ঔষধ হচ্ছে উনাকে খুশি রাখা। ওর শাশুড়ী ওর ছেলেকে দেখতে খুবই আগ্রহী। আবার কখন কী হয় না হয়। সেজন্য ওখানে যাওয়াটা জরুরী। যত দ্রুত 'ও' একটু সুস্থ হবে ততো দ্রুত ওখানে যাওয়া হবে এরকম। কিন্তু সমস্যা হলো ওর দেখাশোনা বা সাহায্য করার জন্য ওখানে কেউ না থাকায় এখন ওর জামাই আমাকে আর আম্মুকে সহ ওখানে যেয়ে রেখে আসবে। তারপর ঈদের আগে আগে হয়তো আমরা বাসায় চলে যাব।
এখন আমার এই পুরো জার্নিতে কোনো মাহরম থাকবে না। আবার ওর শ্বশুর বাড়িতে যতোদিন থাকবো কোনে মাহরম থাকবে না। আবার ঈদের আগে যে বাসায় যাব, ওখান থেকে আমাদের বাসাও ৭-৮ ঘণ্টার পথ। সেখানে কোনো মাহরম না থাকার সম্ভবনাই বেশি। হয়তো আম্মু আর আমাকে একাই যেতে হবে।
এখন আমি কী করবো বুঝতে পারছি না। ওকে এই অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে একা রাখা সম্ভব না। আবার আমার মন একদম সায় দিচ্ছে না এতোগুলো মাহরাম ছাড়া সফর ও অবস্থানে। আবার কিছু বলতেও পারছি না। আমি না গেলে শুধু আম্মু যাবে। আম্মুও অসুস্থ। বেশি ভারী কাজ করলে কোমড় ব্যাথা করে। একদম বেডরেস্টে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। আমি না গেলে আম্মুর উপর অনেক জুলুম হয়ে যাবে।
সফরে বোনের জামাই থাকবে। ট্রেনের কেবিনে যাবে রাতের বেলা। দিনে গেলে বাবু অনেক কান্নাকাটি করবে তাই রাতের সফর। ওখানকার পরিবেশ আলহামদুলিল্লাহ ফিতনাহমুক্ত। ভাইয়া + উনার ফ্যামিলির সবাই বেশ প্র্যাক্টিসিং। উনারা আমার বিষয়টা বুঝতে পারছেন কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে উনারাও অপারগ।
এখন আমি কী করবো? খুব করে দু'আ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে কী আমার জন্য কোনো রুখসত আছে এই হুকুমে?
উত্তরটা একটু দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করলে মুনাসিব হতো।
২. আরেকটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। আমরা জানি ক্বদরের রাতের ইবাদাত ১০০০ মাস অপেক্ষা উত্তম। কারো যদি জীবনে ৬/৭ বছরের সলাত উমরি কাযা থাকে এবং তিনি যদি ক্বদরের রাতে সেই সলাতগুলো একবার কাযা পড়েন তাহলে কি সব কাযা পূরণ হবে? যেহেতু এই রাতের একটি আমল ১০০০ মাস যাবত করার সমান।
جزاكم الله خيرا كثيرا في الدنيا والآخرة