আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
recategorized by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
শুরুতেই বলে নিচ্ছি আমি একজন দ্বীন পালন করা মেয়ে।মাহরাম-গায়রে মাহরাম স্ট্রিকলি মেনে চলি। আমার বিবাহের কথা চলছে এক আলেমের সাথে।উনার সাথে কথা বলে,বায়ো দেখে আমার দ্বীনদার মনে হয়েছে,এখনও খোঁজ নেওয়া হয়নি যদিও শীঘ্রই নেয়া হবে। কিন্ত তার সাথে আমার অর্থনৈতিক দিক থেকে কুফুর মিল নেই।আমাদের থেকে কম। আমার বাবা এগ্রি হলেও মা হচ্ছিল না। পরে অনেক বুঝানোর পর কিছু টা সম্মতি দিছে খোঁজ খবর নেওয়ার। আমি সকালে ইস্তেখারার সালাত পড়ার পর ঘুমিয়েছিলাম তখন একটা  স্বপ্ন দেখি।স্বপ্ন টি নিম্নরূপ-

আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে সাইকেলে করে সেই ছেলের (যার সাথে বিবাহের কথা চলছে),গ্রামের দিকে যাচ্ছিলাম ।ঐ রাস্তা দিয়ে যেতে আমার ফুফুর বাড়ি পড়ে।যাওয়ার সময় দেখলাম ইদগাহ মাঠে আমার ফুফাতো ভাই ব্যাডমিন্টন খেলছে, প্রথমে সে আমাকে দেখতে পায়নি, পরে দেখেছে।এরপর ফুফুকে বলেছে আমার কথা আমি অনেক দূর থেকেই কেনো যেন তাদের কথা শুনলাম। এরপর আমি আর আমার কাজিন সাইকেল থেকে নেমে হেটে যাচ্ছিলাম। তখন একটা স্কুল, পরে জানতে পেরেছি সেটা স্কুল। আমাকে পিছন থেকে আমার গ্রামের ক্লাস টু তে একসাথে পড়ার বান্ধবী ডাক দিসে। আমি কি যেন খাচ্ছিলাম তাই সেটা খেতে কষ্ট হচ্ছিল পরে অনেক কষ্টে গিলা'র পর তাকে সালাম দিলাম। সে আমাকে বললো আমার জন্য দু'আ করিস। তাকে স্কুল ড্রেসে পরা দেখে অবাক হয়েছিলাম কারণ আমি এখন অনার্সের স্টুডেন্ট। তোহ আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোন ক্লাসে পড় এখন।ও বললো ক্লাস 10। পরে সেখান থেকে একটু দূরে আসার পর আমার কাজিন কে বললাম ও মনে হয় খুব ডিপ্রেশনে থাকে।কেমন হয়ে গেছে। তাকে দেখে আমার মেন্টালি সুস্থ মনে হয়নি।পরে এক টিচার কে জিজ্ঞেস করলাম এই নামের বাড়িটা কোনদিকে।বলতে পারলোনা। পরে এক মহিলা বললো ঐদিকে। পরে আমার সাথে এক ছোটবোন যোগ দিলো,কোথা থেকে আসলো বুঝলাম না।বললো চলো আমি নিয়ে যাই। এরই মাঝে সেই পাত্র আমাকে ইমেইলে ম্যাসেজ দিয়ে বলতেছে যে একটা কথা বলার ছিলো, আসলে আমার মা একটু অন্যরকম। জিজ্ঞেস করলাম কেমন? পরে আর কোনো রিপ্লাই পাইনি।এর মাঝে আমরা ঐ ছেলের বাড়িতে গেলাম কিন্ত জানিনা সেটা তার বাড়ি কি না।আমরা শিওর ছিলাম না। টিন দিয়ে ঘেরা, রুম একটাই মনে হলো। এক বয়স্ক মহিলাকে দেখে সালাম দিলাম কেমন আছে জিজ্ঞেস করলাম উনি উত্তর দিলো। বললাম আপনার ছেলেমেয়ে কত জন বললো ছেলে 13জন।( বাস্তবে সেই ছেলেরা দু ভাই,এক বোন,,পাত্র ছেলে সেকেন্ড)এটা বলেই আমি দৌড় দিয়ে বাহিরে চলে আসলাম, আর সেই ছোট বোনটা ভিতরে ছিলো।ওকে জোরে জোরে ডাকছিলাম যে আয় পালাই।পরে এক বড় আপু নাকি ডাকতেছে আমাদের পরে না শুনেই অনেক দূর পালায় এসে বলতেছি, এটা মনে হয় উনার বাসা না। যেই বাসায় গেছিলাম তার পরের বাসা বিল্ডিং কিন্ত রং করা না।এর পরের বাসাটা আরো সুন্দর বিল্ডিং রং করা। পরে সেখান থেকে চলে আসলাম। আমার কাজিনের সাথে সাইকেল করে আসার পর ও বলতেছে আমি আমার খালার বাসায় যাবো।তোমরা ভ্যানে করে বাড়ি যাও। কিভাবে যেন আমার ছোট বোনকে পাইলাম।চলন্ত ভ্যান ডেকে ছোটবোন কে কোনোরকম চড়াইছি ,কিন্ত আমি ঝুলে যাচ্ছি।ভ্যান ওয়ালাকে বলতেছি আমি পড়ে যাচ্ছি থামান আমি একটু ভালো মতো বসি।কিন্ত উনি কথা শুনে নাই ওমনকরেই আমাকে এক বাজারে নেমে দিলেন। সেখানে আমি আমার আব্বাকে পাইলাম। তো আমার একটু ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খেতে মন চাচ্ছিলো।পরে এক হোটেলে মজার মজার খাবার ভাজতেছিলো।পরে আমরা গিয়ে বসলাম। একদিকে আমি আমার বোন,আরেক দিকে আব্বা।নিজে নিজে নিয়েই খাচ্ছিলাম। পরে আমার নানা কোথা থেকে যেন এসে আব্বাকে জমিজমা নিয়ে আলাপ করছিলো।আমরা অনেক খাচ্ছিলাম তাই আব্বা বললো আর নিও না,আমি বিল দেই।তারপরও আমি একটা টুক করে তুলে নেই।পরে বিল দিতে গিয়ে আব্বা অল্প খাবারের নাম বলছে অথচ আমরা অনেক খাইছি।দোকানদার বকতেছিলো আব্বা কে,রাগ দেখাচ্ছিলো।তো আমি নরম ভাবে সুন্দর করে দোকানদারকে বললাম মামা আমরা যখন খাইছি বাবাও খাওয়াতে ব্যস্ত ছিলো তাই আমরা কি কি খাইছি সেটা খেয়াল করেনি। আমাদের খাওয়া তো এখনও শেষ হয় নি,আপনি চিল্লাচ্ছেন কেনো।দরকার পড়লে খাওয়া শেষ করে আমি আপনাকে নোটিশ করবো যে কি কি খাইছি। এরপর আমার আর কিছু মনে নাই।

উস্তায এটার ব্যাখা কি হতে পারে?যদি বলতেন।
2// রোজা রেখে কি শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা যাবে??

1 Answer

0 votes
by (68,310 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

https://ifatwa.info/13381/   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না? সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে পারে।

যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ  তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1472

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বপ্ন থেকে সুস্পষ্ট কোন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু বিষয় পজিটিভ আছে, তবে সামান্য কিছু নেগিটিভ সাইটও আছে। সুতরাং আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে যে, আরো সুস্পষ্ট ফলাফলের উদ্দেশ্যে ইস্তিখারার আমল কন্টিনিউ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

২. রোজা রাখা অবস্থায় মাথার চুল কাটা হলে কিংবা নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। কেননা, রোজা ভঙ্গের সাথে চুল, নখ ও অবাঞ্ছিত লোম কাটার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। রোজা নষ্ট হবার সম্পর্ক হল পানাহার ও সহবাসের সাথে। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৭৪৬৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...