ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির
রহীম
জবাব,
https://ifatwa.info/13381/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে,
সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক,
তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে
একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না?
সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো
নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে
পারে।
যেমন হযরত
জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
عَنْ
جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي
الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ:
" إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ
الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:
তিনি বলেন,
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্
আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন
দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ
اللَّهُمَّ
إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ
مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ
أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ
هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ
قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ
بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي
دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي
وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ
حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»
ভাবার্থঃ‘‘প্রভু
হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি;
তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি
আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী
আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়,
ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে
আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার
জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার
দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে
তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো;
অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক
তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে
তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا
الْأَمْرَ তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1472
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বপ্ন থেকে সুস্পষ্ট কোন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু বিষয়
পজিটিভ আছে, তবে সামান্য কিছু নেগিটিভ সাইটও আছে। সুতরাং আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে
যে, আরো সুস্পষ্ট ফলাফলের উদ্দেশ্যে ইস্তিখারার আমল কন্টিনিউ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
২. রোজা রাখা
অবস্থায় মাথার চুল কাটা হলে কিংবা নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করলে রোজার কোনো ক্ষতি
হয় না। কেননা, রোজা ভঙ্গের সাথে চুল, নখ ও অবাঞ্ছিত লোম কাটার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। রোজা নষ্ট হবার সম্পর্ক হল পানাহার
ও সহবাসের সাথে। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৭৪৬৮)