উল্লেখিত ছুরতে সেদিক থেকে মসজিদের সর্বশেষ মুছল্লি দাড়িয়েছে,সেই মুছল্লি আর আপনার দাড়ানোর মাঝে দুই কাতার বা একটি গাড়ি চলতে পারে,এমন দূরত্ব হয়,তাহলে ইত্তেছাল না হওয়ার কারনে ইক্তেদা জায়েজ হবেনা।
তাই নামাজও শুদ্ধ হবেনা।
,
আর যদি এর থেকে কম দূরত্ব হয়,তাহলে নামাজ জায়েজ হবে।
,
তবে মহিলাদের আলাদা ভাবে ঘরের কোনায় নামাজ পড়তে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَن جَابِرٍ بنِ سَمُرَة رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَقَالَ أَلاَ تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ المَلائِكَةُ عَندَ رَبِّهَا ؟ فَقُلنَا : يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيفَ تَصُفُّ المَلائِكَةُ عَندَ رَبِّهَا ؟ قَالَ يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الأُوَلَ وَيَتَرَاصُّونَ فِي الصَّفِّ رواه مُسلِم
জাবের ইবনে সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট এসে বললেন, “ফিরিশুামণ্ডলী যেরূপ তাদের প্রভুর নিকট সারিবদ্ধ হন, তোমরা কি সেরূপ সারিবদ্ধ হবে না।” আমরা নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! ফিরিশুামণ্ডলী তাদের প্রভুর নিকট কিরূপ সারিবদ্ধ হন?' তিনি বললেন, “প্রথম সারিগুলো পূর্ণ করেন এবং সারিতে ঘন হয়ে দাঁড়ান।” (মুসলিম ৯৯৬, আবূ দাউদ ৬৬১, মিশকাত ১০৯১নং)
,
وَعَنْهُ قَالَ : أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَأقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم بِوَجْهِهِ فَقَالَ أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوا فَإنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِيْ رواه البُخَارِيُّ بلفظه ومسلم بمعَناه
وفي رواية للبخاري: وَكَانَ أَحَدُنَا يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَقَدَمَهُ بِقَدَمِهِ
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নামাযের তাকবীর (ইকামত) দেওয়া হল, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে মুখ ক’রে বললেন, “তোমরা কাতারসমূহ সোজা কর এবং মিলিতভাবে দাঁড়াও। কারণ, তোমাদেরকে আমার পিছন থেকেও দেখতে পাই।” (এই শব্দে বুখারী ৭১৯ এবং একই অর্থে মুসলিম বর্ণনা করেছেন ১০০৪নং)
বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি তার পার্শ্বস্থ সঙ্গীর বাহুমূলে বাহুমূল ও পায়ে পা মিলিয়ে দিত। (বুখারী ৭২৫নং)
,
وَ عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ أَقِيمُوا الصُّفُوفَ وَحَاذُوا بَيْنَ المَنَاكِبِ وَسُدُّوا الخَلَلَ وَلِينُوا بِأَيْدِي إِخْوانِكُمْ ولاَ تَذَرُوا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفّاً وَصَلَهُ اللهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفّاً قَطَعَهُ اللهُ رواه أبُو دَاوُدَ بإسناد صحيح
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা কাতারগুলি সোজা ক’রে নাও। পরস্পর বাহুমূলে বাহুমূল মিলিয়ে নাও। (কাতারের) ফাঁক বন্ধ ক’রে নাও। তোমাদের ভাইদের জন্য হাতের বাজু নরম ক’রে দাও। আর শয়তানের জন্য ফাঁক ছেড়ো না। (মনে রাখবে,) যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহ তার সাথে মিল রাখবেন, আর যে ব্যক্তি কাতার ছিন্ন করবে (মানে কাতারে ফাঁক রাখবে), আল্লাহও তার সাথে (সম্পর্ক) ছিন্ন করবেন।” (আবূ দাঊদ ৬৬৬নং, বিশুদ্ধ সূত্রে)
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 586):
"(والحائل لا يمنع) الاقتداء (إن لم يشتبه حال إمامه) بسماع أو رؤية ولو من باب مشبك يمنع الوصول في الأصح (ولم يختلف المكان) حقيقة كمسجد وبيت في الأصح قنية، ولا حكما عند اتصال الصفوف؛ ولو اقتدى من سطح داره المتصلة بالمسجد لم يجز لاختلاف المكان درر وبحر وغيرهما وأقره المصنف لكن تعقبه في الشرنبلالية ونقل عن البرهان وغيره أن الصحيح اعتبار الاشتباه فقط. قلت: وفي الأشباه وزواهر الجواهر ومفتاح السعادة أنه الأصح. وفي النهر عن الزاد أنه اختيار جماعة من المتأخرين.
সারমর্মঃ
দেওয়াল ইত্যাদির পর্দা ইক্তেদাকে নিষেধ করেনা,যদি শ্রবন বা দেখারা মাধ্যমে ইমামের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144109203301 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
আরো জানুনঃ