ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীস শরীফে এসেছে.....
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।(আবু-দাউদ-৩৫১২) (ইমদাদুল ফাতাওয়া,৪/২৬৬ দ্রষ্টব্য)
সাদৃশ্য গ্রহণ তিন ভাবে হতে পারে।
(১)ফিতরী তথা জন্মগত বিষয়ে সাদৃশ্য গ্রহণ। এটা হারাম হবে না।
(২)পদ্ধতির অনুসরণ।যেমন তারা যেভাবে খাবার গ্রহণ করে বা হাটাচলা করে,তাদের এগুলোর অনুসরণ।এগুলো হারাম হবে তখন,যদি পূর্ব থেকেই মুসলমানদের আলাদা কোনো পদ্ধতি থাকে।
(৩)কাফিরদের ধর্মীয় বিষয়ের অনুসরণ। এটা সর্বাবস্থায় হারাম। (ইমদাদুল আহকাম-১/২৮৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11420
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চেয়ার টেবিলে পড়া(জেনারেল ও ইসলামী) নাজায়েয হবে না। এতেকরে কাফেরদের অনুসরণ হবে না।
(২) প্রশ্নের বিবরণমতে রোজা ভঙ্গ হবে না।
(৩) কেউ হারাম টাকায় ফোন কিনলে বা কিস্তিতে ফোন কিনলে তার সাথে ফোনকলে ,ফেসবুকসহ অন্যান্য স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে কথা বলা,চ্যাট করা নাজায়েয হবে না। আর তার সাথে ফেসবুকে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ও তার পোষ্টে লাইক, কমেন্ট করাও নাজায়েয হবে না। হ্যা, যিনি হারামে লিপ্ত থাকবেন, উনার গোনাহ তো অবশ্যই হবে।
(৪) শরীরে নাপাকি লাগলে, যদি একবার পানি ঢালার দ্বারা নাজাসত দূর হয়ে যায়, তাহলে শরীর পাক হয়ে যাবে। তখন ডলা না দিয়ে শুধু পানি ঢালার দ্বারাও শরীর পবিত্র হয়ে যাবে।
وفي "الفتاوى الهندية":
"وإن أصاب بدنه لا يطهر إلا بالغسل رطبا كان أو يابسا وهو مروي عن أبي حنيفة رحمه الله."(ص:٤٤،ج:١،کتاب الطہارۃ،الباب السابع في النجاسة،ط:دار الفکر،بیروت)
و فی حاشية ابن عابدين : (قوله : و أثرها) يأتي بيانه قريبا . (قوله : و لو بمرة) يعني إن زال عين النجاسة بمرة واحدة تطهر ، سواء كانت تلك الغسلة الواحدة في ماء جار أو راكد كثير أو بالصب أو في إجانة ، أما الثلاثة الأول فظاهر اھ (1/ 328)۔
(৫) যদি প্রবল ধারণা থাকে যে, গলার ভিতরে পানি যায় নাই। তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
(৬) রোজা অবস্থায় গড়গড়া করে কুলি করার পর থুথু ফেললে, মুখের মধ্যে পানির মত স্বাদ থাকলে, যদিও তা পানি না, তা গিলে গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না।
(৭) যদি পূর্বের কাযা রোজা (ফরজ,নফল দুইটাই) ও কাফফারা বাকি থাকে তা আদায় না করে, ফরজ রোজা অবশ্যই রাখা যাবে। এবং রাখতেও হবে।
(৮)প্যান্টের তলায় ছিদ্র থাকলে তার পাঞ্জাবি পরে নামাজ পড়লে নামায আদায় হয়ে যাবে। পাঞ্জাবি একটুকু লম্বা হতে হবে যে, ছিদ্র ঢেকে ফেলবে।