আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

উস্তায এক বোনের প্রশ্ন।
এক বোন দ্বীনে ফেরার পূর্বে একটা হারাম রিলেশনশিপে ছিলো দীর্ঘ দিন।ছেলেটার যখন একটা চাকরি হয় তখন মেয়েটার সাথে আর যোগাযোগ
রাখে না।ওই ছেলে অন্য সম্পর্কে
জড়ায়।ওই বোন তখন ওই ছেলের সাথে রিলেশন কন্টিনিউ করার জন্য অনেক ট্রাই করেছে কিন্তু ছেলেটা যোগাযোগ রাখে নি।কিন্তু ছেলের মা সহ বাকী অভিবাকরা মেয়েটাকে বলেছিলো তার ছেলের বউ করলে ওই মেয়েকেই করবে।ওই ছেলে চাকরি পাওয়ার কয়েকমাস পর খুব বাজে ভাবে একটা এক্সিডেন্ট করে দীর্ঘ ১ বছরের বেশি সময় বাসায় ফেরে এবং তার ১ হাত এবং পা প্যারালাইজড হয়ে যায়।ওই বোন তার সাথে এর পর থেকে আবার নতুন করে রিলেশন কন্টিনিউ করে।ওই ছেলের আচরণ খুব একটা সুবিধা জনক ছিলো না।এক পর্যায়ে একদিন ওই ছেলে ওই মেয়ের মা বাবা তুলে গালি দেওয়াতে ওই মেয়েটা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।এর মধ্যে ওই মেয়েটা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়।শরিয়া অনুযায়ী জীবন যাপন করে। পূর্বের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।৬ বছরের কোন দিন একবারের জন্যও ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করে নি।এর মধ্যে ওই ছেলে এক বোনের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়।কিন্তু ওই মেয়ে রাজি হয় না।এর পর একদিন নফসের ধোঁকায় পড়ে ওই মেয়ে ছেলেটাকে কল দিয়ে বলে যে বিয়ে ব্যপারে আগ্রহী থাকলে বাসায় জানাবে।কিন্তু ওই মেয়ে মন থেকে আসলে ওই ছেলেকে বিয়ে করতে চাইছে না।ছেলের সাথে মেয়ের কুফুর মিল নেই ছেলের আর্থিক অবস্থা ও বেশ খারাপ। মেয়ের গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট ছেলে এইচএসসি। তেমন কিছু করেও না ছোট খাটো একটা দোকান দেয় তাতে নিজের হাত খরচ হয়।ওই ছেলে নামাজ পড়ে রোজা রাখে কিন্তু দ্বীনের অনান্য বিধিনিষেধ গুলো সম্পর্কে তেমন জ্ঞান নেই।মেয়ে যেহেতু জানিয়েছে যে পর্দা করে সেই অনুযায়ী পরিবেশ দিতে হবে।সব শর্তে রাজি হয়েছে।ছেলের নিজস্ব কোন বাড়িও নেই জয়েন ফ্যামিলি বাবা নাই তিন ভাই।এই ছেলে মেজো বড় ভাইও কিছু করে না।ছোট ভাই নবম শ্রেনীতে পড়ে পাশাপাশি ট্রাইভিং করে তা দিয়ে সংসার চলে।আসলে ওই বোন সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছে পরিবারের কাছে কি আদৌ এই ছেলের ব্যাপারে জানাবে।হয়তো জোড় করলে রাজি হবে।কিন্তু ওই বোন ওই ছেলের উপর ভরসাও করতে পারছে না।ওই বোন হেদায়েত প্রাপ্তির পর থেকেই বিয়ের কথা বাসায় বলেছিলো কিন্তু পরিবার থেকে কোন গুরুত্ব দেয় নি।এখন পর্যন্ত পরিবারের মানুষগুলো উদাসীন। ওই বোন নিজের ভুলের জন্য অনেক বেশি অনুতপ্ত এবং লজ্জিত।সেই খুব করে একটা দ্বীনি পরিবেশে থাকতে চায় যাতে দ্বীনের উপর টিকে থাকতে পারে।কিন্তু পরিবার থেকে প্রতিনিয়ত মেন্টাল টর্চারের কারনে কিছুটা আমলে ঘাটতি চলে আসছে।কিন্তু ওই বোন চাচ্ছে সকল ধরনের হারাম থেকে বেঁচে থাকার জন্য।

এখন প্রশ্ন হলো উস্তায ওই বোনের এখন করনীয় কি বিয়ের ব্যপারে কি এখানে আগাবেন কিনা?

1 Answer

0 votes
by (622,350 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে (تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)} (সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়েতে দ্বীনদারিতাই মূখ্য বিষয়। তাই দুনিয়ার যে কোনো প্রান্তেরই হোক, যদি পাত্র/পাত্রী দ্বীনদার হয়, তাহলে সেখানে বিয়ে করা যাবে। যেহেতু মাতা পিতা নিঃস্বার্থ ভাবে প্রতিটি সন্তানের কল্যাণ কামনা করে থাকেন, তাই অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ করে বিয়ের ক্ষেত্রে সামনে অগ্রসর হওয়াই কাম্য। আপনি আপনার অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ করে সমানে অগ্রসর হবেন। আল্লাহ আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...