আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by

হুজুর আমার ছোট বিষয় জানার ছিলো আমার দুলাভাই এর আগের ফোন যেইটা ওনি ব্যবহার করতে ওইটা ওনার বাচ্চারা  ব্যবহার করতো ওনার নতুন ফোন কিনার পরে যেহেতু ওনি আর ওইটা ব্যবহার বা ওনার কোনো কাজ নেই ওই ফোন এ তো আমি আমার বোন এর সাথে কথা বলে বোন এর সম্মতি তেই সেই ফোন নিয়ে নি আমি ব্যবহার করি এবং আমার ফোন আমার বোন এর বাচ্ছাদের বা বাচ্ছাকে দিয়ে দি এখন তো ওইটা ওদের ফোন হিসাবে (আমার বোনের ৩টা সন্তান, ১ম সন্তান ছেলে ২০১১ সালে জম্মগ্রহণ  করে এবং ২য় সন্তান মেয়ে ২০১৮ সালে জম্ম গ্রহণ করে এবং ৩য় সন্তান ও মেয়ে ২০২৪ সালে জম্ম গ্রহণ করে) তো আমি গতকালকের আগের দিন রাতে ইফতার এর পরে বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়েছি গিয়ে দুলাভাই এর ওই ফোন যেইটা আমাকে দিয়েছে আমি ব্যবহার করি ওই ফোন বিক্রি করি এবং আমার বোন এর সাথে কথা বলেই বা ওকে জানিয়েই এর পরে বিক্রি করি তো যতইহোক ফোন আমাকে দিয়ে দেখ না কেনো তো গতকালকে আমার দুলাভাই ও জানছে যে আমি ওনার আগের ফোন বিক্রি করে দিয়েছি ওনি ও কোন আপত্তি করেন নাই যে বিক্রি করেছি বা ওনি অনুমতি দিয়েছেন কিনা বিক্রি করার কারন ওনার ফোন আছে আর ওনার আগের ফোন টা ওনার কাজে এখন লাগে না যেইটা আমি নিয়েছি তাই আমি আমার বোন এর সাথে কথা বলে আমার ফোন আমার বোন এর বাচ্ছা দের দিয়ে আমি ওই ফোন নিয়ে নি যেহেতু সবাই জানে আমার বোন দুলাভাই জানে তাদের কোন আপত্তি বা সমস্যা নাই তো ফোন যে বিক্রি করেছি এইটার টাকাটা আমি ব্যবহার করাই কোন সমস্যা তো নেই এবং আমি বলে নিয়েছি আমার বোন কে আমি এই টাকা দিয়ে ফোন কিনবো ওইখানে ব্যবহার হবে বা করবো তো আমার এখন এই টাকা ব্যবহার করাই কোন গুনাহ তো হবে না বা মনে করেন আমি যদি অন্য কাজে ও ব্যবহার করি এতে কোন গুনাহ বা সমস্যা তো হবে না যেহেতু ফোন আমাকে দিয়ে দিয়েছে মালিক আমি এখন হিসাবে❗❔❔

বি.দ্র: আমি গতকালকের আগের দিন নতুন ফোন ও কিনি ওইফোন (আমার দুলাভাই এর  আগের ফোন টা যেইটা আমি ব্যবহার করতাম) যে বিক্রি করছি ওই টাকা টা ব্যবহার করে তো ওই ফোন বিক্রির টাকা তো আমার ব্যবহার করা জায়েজ আছে কোন গুনাহ তো হবে না যেহেতু নতুন ফোন কিনে ওইখানে মানে ফোন কিনায় ব্যবহার হয়েছে বা খরচ হয়েছে ওই ফোন বিক্রি করার টাকা টা ও।

 

আরেকটা প্রশ্ন এবং কিছু কথা প্রায় ২/৩ বছর আগে হবে হয়ত আমার বোন ওর ব্যবহার করা ফোন আমাকে দিয়ে দিয়েছিলো কারণ/কেননা আমার বোন ফোন কিনেছে তাই আর এইটা হয়ত জানেনি বড় ভাই/বোন থাকলে তারা যদি নতুন কোন ফোন কিনে বা অতিরিক্ত ফোন থাকে তাদের আগের ফোন বা আরেকটা ফোন তাদের ছোট/বড় ভাই/বোন দের দিয়ে দেই ব্যবহার এর জন যদি ফোন না থাকে বা ভালো ফোন না থাকে তো আমি তখন ওই ফোন টা বিক্রি করে তার সাথে আরো কিছু টাকা যুক্ত করে ফোন কিনি ওই ফোন কিনা এবং ব্যবহার করা আমার জন্য জায়েজ তো ছিলো এবং আমি হয়ত ফোন যে বিক্রি করছি দাম বলিনাই যাইহোক আজকে আমি বলছি ৪০০০/৫০০০ টাকা হবে বিক্রি করছি এইটা বলছি সাথে আরো কিছু ও বলি আরো টাকা যে যুক্ত/অ্যাড করছি তা নিয়ে এবং আমার বোন ও বল্ল আমি তখন বলিনাই কত দিয়ে বিক্রি করছি যেই ফোন আমাকে ব্যবহার এর জন্য দিয়েছিলো তো আমার তো আপন বোন তো যেহেতু সে আমাকে তার ব্যবহার করা ফোন দিয়ে দিয়েছে এইটা বিক্রি করে আমি যে পরে ফোন কিনেছি ওই টাকা দিয়ে এই টাকা ব্যবহার করা এব ফোন যে কিনেছে পরে ওই ফোন ব্যব করা আমার জন্য জায়েজ এবং ঠিক তো ছিলো❗❔

পুরা প্রশ্নটা পড়ে উপরের ২টা প্রশ্ন এর আমাকে সমাধান বা পরামর্শ দিবেন আশা করি।

ago by (8 points)
edited ago by
বি.দ্র: আমি বোন এর বাচ্ছাদের জম্ম সাল কিছুটা correction করতাছি এই কমেন্ট বক্স এ দেখে নিবেন কারন এই আইডির প্রতিমাস এর প্রশ্নের লিমিট অনুযায়ী আমি ৪টা প্রশ্ন করে ফেলেছি তাই উপরে এডিট করা যাচ্ছে না নিচেই তাই উল্লেখ করেছি।

আমার বোনের ৩টা সন্তান, ১ম সন্তান ছেলে ২০১৩ সালে জম্মগ্রহণ করে এবং ২য় সন্তান মেয়ে ২০১৮/২০২০ সালে হবে জম্ম গ্রহণ করে এবং ৩য় সন্তান ও মেয়ে ২০২৪ সালে জম্ম গ্রহণ করে।

ওদের জম্ম সাল না দিলে ও হতো মনে করি কারন ওদের জম্ম সাল/তারিখ এর এইখানে কি কাজ তাইনা কিন্ত তাও দিয়ে রাখলাম ভালোর জন্য। 

1 Answer

0 votes
by (70,470 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/46804? নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।

,

কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা- ২৯)

,

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ "কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747  

,

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন, তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ? আমি বললাম জ্বী হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১-২. প্রশ্নোক্ত উভয় সুরতে যেহেতু আপনার দুলাভাই ও বোনের অনুমতি আছে। তাই উক্ত দুই ফোন বিক্রি করে ঐ টাকা দিয়ে অন্য ফোন কেনা জায়েজ হয়েছে এবং তা এখন ব্যবহার করাও জায়েজ। এতে কোনো সমস্যা নেই। যেহেতু মালিকের অনুমতি আছে তাই তা বিক্রি করাতে কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (8 points)

অনেক অনেক শুকরিয়া উস্তাদ আমার পেরেশানি কমালেন এই নিয়ে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...