السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
১. আমি স্বপ্নে দেখতে পাই আমাকে ইসলামের সাথে সংশ্লিষ্ট অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হাতে দেয়া হয়েছে। আমি সেই কাজটা করতে যাচ্ছিলাম, কিছুক্ষণ পর কয়েকটা ছেলে আমাকে বাঁধা দেয় এবং লাঠি দ্বারা সজোরে হাত-পায়ের জয়েন্টে আঘাত করতে থাকে। তারা আমাকে কাজটি আর করতে দেয় নি। আমি কাঁদতে কাঁদতে অন্য রুমের দিকে যাই এবং চিৎকার করে বলতে থাকি "লা'আনাতুল্লহ মিনায য্বলিমিন।" এটা অনেকবার বলেছিলাম। এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?
২. একই সাথে আরেকটি স্বপ্ন দেখি, আমাদের জমিদার আমাদের বাসায় মাছ কাটছিলেন। উনার জন্য আমি নাস্তা পানির ব্যবস্থা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। অদ্ভুত বিষয় হলো চুলাটা ছিল বিছানার নিচে। মানে, রান্নাটা বিছানার উপর পাতিল রেখে তারপর করতে হবে, বিছানাটা গরম হতে হবে। আমি চুলায় নানাভাবে আগুন দিতে চেয়েও পারিনি। ম্যাচের কাঠি দিয়ে জ্বালাতে চেয়েছি, কিন্তু সেখানে প্রায় সবগুলো কাঠি অর্ধেক পরিমাণ ভাঙা ছিল। লাইটার দিয়ে আগুন দিতে চেয়েছি, কিন্তু আগুন টা ধরে আবার নিভে যাচ্ছিল। অবশেষে চুলায় আগুন জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি, এবং গরম বিছানার উপর ই রান্না বসিয়েছি। অথচ বিছানাটা একটুও পুড়ে গেলো না। এর ব্যাখ্যা কি? আমাকে কি কোনো গুনাহ সম্পর্কে সতর্ক করা হচ্ছে?
৩. নেককার স্বামী এবং নেককার স্ত্রী চাইলে জান্নাতে একসাথে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু স্বামী স্ত্রী যদি আমলের তারতম্যের কারণে ভিন্ন জান্নাতে প্রবেশ করে তাহলেও কি একসাথে থাকতে পারবে?
৪. আমি রেগুলার মাসনুন আমল করি, ভুলেও এটা বাদ যায় না। তারপরও মাঝে মাঝে স্বপ্নে জ্বীন দেখি। সেদিন স্বপ্নে দেখি আমি সন্ধ্যার মাসনুন আমল করেছি এবং অনেকটা নিশ্চিন্তমনে বসে আছি এই ভেবে যে, "আমি তো মাসনুন আমল করেছিই, কোনো অনিষ্ট (বিশেষ করে জ্বীন) আমাকে আর স্পর্শ করতে পারবে না।" হটাৎ আমি টের পাই ডাইনিং টেবিলের উপর জিনিসপত্র একে অপরের সাথে ধাক্কা লেগে টুং টাং আওয়াজ হচ্ছে। বুঝতে পারছিলাম জ্বীনের আলামত। তারপর এক পর্যায়ে আমি গলার নিচে অদৃশ্য কিছুর হাতের স্পর্শ টের পাই।
মাসনুন আমল করলে স্বপ্নে কিভাবে জ্বীন আমাকে স্পর্শ করবে? এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?
৪. আমি যদি মনে মনে নিয়্যাত করি, প্রতি রমাদ্বনে আমার জমানো টাকা থেকে কিছু টাকা করে দান সাদাকা করবো এবং টাকার পরিমাণ হিসেব করে রাখি, তাহলেও কি টাকাটা প্রতিদিন মূল টাকা থেকে সরিয়ে রাখা আবশ্যক? যেহেতু বাসা থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়, আমি চাচ্ছিলাম সাদাকার নিয়তে টাকা রেখে পরে কোনো অভাবীকে দিয়ে দিব। এই প্রক্রিয়ায় (মনে নিয়ত, কিন্তু টাকা সরিয়ে না রাখা বরং একসাথেই হিসেবের টাকা দান করে দিব) টাকা দিলে সওয়াব হাসিল হবে?
৫. আল্লাহকে "তুই" করে সম্বোধন করা কি তাঁর শানের সাথে মানানসই? অনেকে অধিক শোকে আল্লাহকে "তুই" করে বলে ফেলে। এতে গুনাহ হবে?
৬.তাহাজ্জুদে দুআ করলে তো দুআ কবুল হওয়ার চান অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাহলে কি এটা ধরে নেয়া যাবে যে, তাহাজ্জুদে একনিষ্ঠতার সাথে দুআ করলেই দুআ কবুল হয়ে যাবে?
جزاك الله خيرا في الدنيا والاخره