আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. 'A ব্যক্তি ইমান নিয়ে একটু বেশি সেনসিটিভ হওয়াতে 'B' ব্যক্তি তাকে কথায় কথায় ইমানদার বলে খোটা দেয়। কারন 'B ব্যক্তির মতে 'A' ব্যক্তি সব কিছুতেই বেশি সেনসিটিভ এবং বাড়াবাড়ি করে বেশি জ্ঞান না থাকার কারনে।

২. 'B' ব্যক্তিকে তারাবীর নামাজ ২০ রাকাত বলা হলে সে ইউটিউব থেকে শায়েখ আহামাদুল্লাহর একটি ক্লিপ দেখায় যেখানে বলা আছে যে যার ইচ্ছা অনুযায়ী পড়তে পারবে। 'B' ব্যক্তি বলে তারাবী নামাজ পড়লে সওয়াব কিন্তু না পড়লে গুনাহ নাই। তাকে হানাফি ফিকহ গ্রুপের একটা লেখা দেখানো হলেও সে মানতে নারাজ যে না পড়লে গুনাহ নাই। সে বলে যার ইচ্ছা নফল নামায কেউ ৮,১২,২০ আরও বেশি যত ইচ্ছা পড়তে পারে।
৩. মাযহাব মানা সম্পর্কে বলতে গেলে সে বলে তার মাযহাবের দরকার নাই।কারন নিদিষ্ট মাযহাব ফলো করতে গেলেই  প্যাচগোচ নামাজের ওয়াক্ত নিয়ে। বাঙালিদের হচ্ছে ফরয পালন করার খোঁজ নাই সুন্নাত,নফল নিয়ে ( কি যেন বলেছিলো মনে নাই). সে বলে সে আল্লাহর ইবাদাত করবে নামায পড়বে আর কি কি যেন৷ তার আর কিছু জানা লাগবেনা না কি যেন।
** (ক.).যাই হোক, এসব কথাবার্তায় কি ' B' এর ইমানে কোনো সমস্যা হয়েছে?
(খ) মাযহাব সম্পর্কে তাকে কিভাবে বুঝানো যায়? তার সাথে কথা বলতে গেলেই ঝগড়া হয় আর তর্ক করে যুক্তি খাটায় সব জায়গায়।

1 Answer

0 votes
by (633,150 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐ ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে কোনো দারুল ইফতায় সরাসরি যোগাযোগ করে নিবেন। অথবা আমাদের সাথে জুম মিটিং করিয়ে দিবেন। এটাই কল্যাণকর হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...