আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in ওয়াসওয়াসা by (4 points)
আসসালামুআলাইকুম  মাননীয় মুফতী সাহেব গণের কাছে আমার প্রশ্ন হুজুর আমি আপনাদের কাছে সাহায্য চাইছি দোয়া করে সাহায্য করুন প্লিজ আমার প্রশ্নটা একটু লম্বা আমি হালাল সম্পর্ক চাই হারাম না তাই প্রশ্ন করলাম দোয়া করে আমার পশ্নের উত্তর দেবেন প্লিজ প্রশ্ন আমি পয়েন্ট করে দিচ্ছি। (১) হুজুর আমি একদিন কাজ থেকে বাড়ি আসি তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলি যে আমার খুব গরম হচ্ছে আমার স্ত্রী তখন আমাকে বলে কে তুমি গাধবে তুমি কিন্ত গাধোবেনা তার পর আমি টয়লেটে গিয়ে কোমর পর্যন্ত ধতকরি তার পর টয়লেট থেকে বের হয়ে পুকুরে গিয়ে হাঁটু, গোলা, পিট,বুক, কান, হাতের পানি দ্বারা মুচ্ছে ফেলি বেশ কয়েক হাতের পানি দ্বারা মুচ্ছে ফেলি এবং নাকের নরম মাংসে পানী দ্বারা ধতো করি যেমন উজুতে করে থাকি এবং মাথার চুলে পানি দ্বারা মাসহ করি বেশ কয়েক বার যেমন ওযুতে করি এবং সবের দ্বারা আমার পরণের লুঙ্গিটা কিছুটা ভিজে যাই কিন্তু তেমন নয় যেমন গসল বা গাধোয়াতে ভেজে। এসব হবার পরের দিন আমার সন্দেহ হয় যে আমি আমার স্ত্রীকে উদ্যেশ্য করে কি গোসল নিয়ে শর্ত তালাক দিয়েছি আর এই শর্ত তালাক টা কি ভবিষ্যতেও যুক্ত করেছি আমি নিশ্চিৎ হতে না পেরে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম আমি তোমাকে কাল গোসল নিয়ে কোনো শর্ত তালাক দিয়েছি আমার স্ত্রী আমাকে বলল যে না তুমি কিছু বলোনি উল্টে আমি তোমাকে বলেছি যে তুমি গাধবেনা আমার কসম।আর আমি শুধু ওই দিনের জন্য কসমটা দিয়েছি সব দিনের জন্য না। তো হুজুর আমার স্ত্রী জবাব এমন ছিল।আর হুজুর আমি সে দিন গাধুইনি আমরা ইন্ডিয়ার বাঙালিরা গোসল কে গাধোয়া বলি আর আমার মতে আমি যে গুলো করছি যেমনটা আমি উপরে বলেছি আমি এটাকে গামোছা বলি গাধোয়া বা গসল না আপনাদের মতে কি এটা কে গোধোয়া বা গোসল বলে এবং এ দ্বারা কি কোনো তালাক পতিত হয়েছে আর ভবিষ্যতেও কি তালাকে শর্ত যুক্ত হয়েছে আমি নিশ্চিৎ না যে আমি সেদিন গোসল বা গাধোয়া নিয়ে আমার স্ত্রীকে উদ্যেশ্য করে তালাক দিয়েছি কি এবং ভবিষ্যতে শর্ত তালাক যুক্ত করেছি কি সন্দেহের ভিত্তিতে আমি জিজ্ঞাসা করছি। (২) তার একদিন আমি যখন আমার কর্ম ক্ষেত্রে ছিলাম সেই সময় একটি মহিলা সেখানে আসে এবং তিনি বে পর্দা অবস্থায় ছিলেন আমি ওনার মুখটা দেখেছি কিন্তু উনি বাজে ভাবে ছিলেন তাই ভালো করে ওনার মুখের দিকে তাইকিয়ানি আমার চোখ আমি সঙ্গে সঙ্গে নাইমে নি এবং তারপর মহিলাটি ব্যাংকের মধ্যে প্রবেশ করে আমি বাইরে ছিলাম বাইরে আমার ডিউটি ছিল তারপর হঠাৎ আমার মধ্যে এটা উদিত হলো কি নাকি আমি উচ্চারণ করে বললাম এবং কি বললাম যে আমি যদি ওই মহিলাটির চুলের দিকে তাকাই তাহলে আমার বউ তালাক নাকি আমি বলেছি যে আমি যদি ওই মহিলাটির চুলের দিকে তাকাই তাহলে আমার মৃত্যু হবে কি বলেছি এবং উচ্চারণ করে বলেছি কি আমি মনে করতে পারছি না। এখন কোনোদিন যদি আমি ওই মহিলার চুলের দিকে তাকাই আমার স্ত্রী কি তালাক হয়ে যাবে কি আমি বলেছি কি আমি জানি না সন্দেহ করে বলছি আমি জানি না আমি সেই সময় তালাক বলেছি কি যে আমি ওই মহিলার চুলের দিকে যদি তাকাই তাহলে আমার বউ তালাক বা এমন বলেছি কি যে যদি কোনো দিন ওই মহিলার চুলের দিকে তাকাই তাহলে আমার বউ তালাক মানে ভবিষ্যতেও শর্ত তালাক যুক্ত করা আর কি তো আমি নিশ্চিৎ না আমি এমন কিছু বলেছি কি সন্দেহ করে বলছি বা হয়তো বলে মনে করতে পারছি না এতে কী তালাক হবে দোয়া করে জানাবেন প্লিজ। (৩) তারপর একদিন আমি কিছু একটা ভিডিও দেখছিলাম।তো সেই ভিডিও তে একজন একজন ব্যাক্তি আর এক জন ব্যক্তিকে কিছু নামে ডাকে তখন আমার মধ্যে এটা উদিত হলো নাকি আমি মুখে উচ্চারণ করে বললাম আমি মনে করতে পারছিনা এমন যেনো বললাম যে এই ব্যাক্তি ওই ব্যাক্তিকে কি নামে ডাকলো না কি নামে ডাকলো না বুঝতে যদি বুঝতে পারি তাহলে আমার বউ তালাক এটা আমি মনে মনে বললাম নাকি উচ্চারণ করে বললাম আমি বুঝে উঠতে পারছিনা এতে কি তালাক হবে? এবং আর এক দিনের ঘটনা আমি সেজদার মধ্যে ছিলাম তখন আমার অন্তরে উদিত হলো যে আমার তিনবার সুব্বানা রব্বি আললা বলার আগে ইমাম সাহেব যদি সেজদা থেকে উঠে আসে তাহলে আমার বউ তালাক কিন্তু আমার যতটা মনে পড়ে যে আমি ইমাম সাহেবের ও সেজদা থেকে উঠে আসার আগে চার বারসুব্বানা রব্বি আললা বলেছি কিন্ত উচ্চারণ সঠিক করে বলেছি কি আমার মনে পড়ছে না এবং এটা আমার মণের মধ্যে উদিত হয়েছে আমি মুখে উচ্চারণ শর্ত দিইনি এতে কি তালাক হবে। (৪) প্রিয় হুজুর উপরে যত গুলো প্রশ্ন করেছি সব গুলো সন্দেহ আছে আমি নিশ্চিৎ না তো এখন আমি জানতে চাইছি যে যদি এ গুলো তালাক হয়ে থাকে কিন্ত আমি পুরোপুরি নিশ্চিৎ হতে পারছি না আমার কাছে সন্দেহ হচ্ছে তালাক হয়েছে কি হয়নি মুখে উচ্চারণ করে দিয়েছি কি দিইনি এবং ভবিষ্যতেও শর্ত যুক্ত করেছি কি করিনি তো এ গুলো দ্বারা যদি তালাক হয়ে থাকে আর সন্দেহ আছে তাই এ গুলোকে এইরে সংসার করি তাহলে কাল হাশরের ময়দানে আমি আর আমার স্ত্রী কি জেনকারী হয়ে হাজির হব দোয়া করে আমার সঠিক সমাধান দিন প্লিজ অনেক আসা করে প্রশ্ন করছি আমি সুন্দর ভাবে জীবন জাপন করতে পারছি না আপনাদের সাহায্য একান্ত কাম্য

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/62090 নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যেআল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক। (আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।)

,

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না। 

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)

সারমর্মঃ তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না। 

,

বিস্তারিত জানুনঃ-

https://ifatwa.info/29982/

 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

,

সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয় না। তেমনী ভাবে মনে মনে তালাক দিলেও কোনো তালাক হয় না। সুতরাং আপনি সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...