জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
১১ টার সময়ে যেহেতু জোহরের ওয়াজত আসেনা,তাই আপনি কোনোভাবেই সেই সময়ে জোহরের নামাজ আদায় করতে পারবেননা।
আপনি আছরের নামাজের ওয়াক্তে আছরের নামাজ আদায়ের পূর্বেই জোহর নামাজের কাজা আদায় করবেন।
,
সুরা নিসার ১০৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا ﴿۱۰۳﴾
নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।
তিরমিজি শরীফের ১৫১ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِلصَّلاَةِ أَوَّلاً وَآخِرًا وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الظُّهْرِ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَآخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُ الْعَصْرِ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الْعَصْرِ حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُهَا وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَصْفَرُّ الشَّمْسُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْمَغْرِبِ حِينَ تَغْرُبُ الشَّمْسُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَنْتَصِفُ اللَّيْلُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْفَجْرِ حِينَ يَطْلُعُ الْفَجْرُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ "
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাযের ওয়াক্তের শুরু ও শেষ সীমা রয়েছে। যুহরের নামাযের শুরুর সময় হচ্ছে যখন (সূর্য পশ্চিম দিকে) ঢলতে শুরু করে এবং শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া। আসরের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে যখন আসরের ওয়াক্ত প্রবেশ করে (যুহরের শেষ সময়) এবং তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন সূর্যের আলো হলুদ রং ধারণ করে। মাগরিবের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এবং তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন শাফাক চলে যায়। ইশার প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে যখন শাফাক বিলীন হয়ে যায়, আর তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন অর্ধেক রাত চলে যায়। ফযরের নামাযের প্রথম ওয়াক্ত যখন ভোর শুরু হয় এবং তার ওয়াক্ত শেষ হয় যখন সূর্য উঠা শুরু হয়।
-সহীহ। আস-সহীহাহ- (১৬৯৬)।
,
★যদি আপনি সাহেবে তারতিব হোন,তাহলে আছরের ওয়াক্ত চলে আসলে আছরের নামাজের আগেই জোহরের নামাজ এর কাজা আদায় করবেন।
আর যদি সাহেবে তারতিব না হোন,তাহলে নামাজের নিষিদ্ধ সময় ব্যাতিত অন্য সময়েও এর কাজা আদায় করতে পারবেন।
সাহেবে তারতিব সংক্রান্ত জানুনঃ
(০২)
এক্ষেত্রে ইশরাকের ওয়াক্তে এসে জোহরের আগেই আপনি বিতির নামাজের কাজা আদায় করবেন।
যদি সাহেবে তারতিব না হোন,তাহলে নামাজের নিষিদ্ধ সময় ব্যাতিত অন্য সময়েও এর কাজা আদায় করতে পারবেন।
,
(০৩)
আপনার যদি প্রবল ধারনা হয় যে এই সময়ের মধ্যে আপনার নামাজ শেষ হবেনা,নামাজের মধ্যেই নিষিদ্ধ ওয়াক্ত আসবেই,তাহলে নিষিদ্ধ ওয়াক্ত চলে গেলে এর কাজা আদায় করবেন।
,
(০৪)
হ্যাঁ সুন্নায় না পড়েই শুধু ফরন নামাজ আদায় করবেন।
,
সূর্য উদয়ের পর সুন্নাতের কাজা আদায় করবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
فى موطا مالك- وحدثني عن مالك أنه بلغه أن عبدالله بن عمرفاتته ركعتاالفجرفقضاهمابعدأنطلعت الشمس( موطا مالك النداءللصلاة،باب ماجاءفي ركعتي الفجر،رقم-422
অনুবাদ-হযরত ইমাম মালেক রহ: বলেন, আমি জেনেছি যে, আবদুল্লাহ বিন ওমর রা: এর ফজরের দুই রাকাআত ছুটে গিয়েছিল। তিনি তা সূর্যোদয়ের পর আদায় করেন। (মুয়াত্তা মালিক-৪৫)
وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعدماتطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)
,
(০৫)
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৬)
২০ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
ওযর বশত কোনো সময় এমনটি করা যাবে।
তবে এটি অভ্যাসে পরিণত করা যাবেনা।