ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির
রহীম
জবাব,
https://ifatwa.info/41103/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান
হলো রোযা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযার কোনো ক্ষতি হয়না।
আবু সাঈদ খুদরী
রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-
ثلاث لا
يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.
তিন বস্তু
রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪
হাদীসে আছে,
অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি
হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪;
রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪
★রোযা অবস্থায় মুখে খাবার চলে আসলে সেটি ফেলে দিতে হবে। অনিচ্ছায়
সেটি গিলে ফেললে রোযার কোনো সমস্যা হয়না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে
যাবে। যদি সামান্যও খাবার হয়,ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
★সুতরাং রোজা রাখার পর, হঠাৎ মুখে খাবার চলে আসলে এবং তা সাথে সাথে গিলে
ফেললে দেখতে হবে যে এটি কি সে ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলেছে নাকি অনিচ্ছায়??
ইচ্ছাকৃতভাবে
হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলে রোযার কোনো সমস্যা হবেনা। আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/15882/
অনিচ্ছাকৃত
বমি হলে (মুখ ভরে হলেও) রোযা ভাঙ্গবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজে ভেতরে চলে গেলেও
রোযা ভাঙ্গবে না। -জামে তিরমিযী হাদীস: ৭২০; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪
শরীয়তের বিধান
হলো মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে
ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪;
আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)
আর অনিচ্ছায়
গিলে ফেললে রোযার কোনো ক্ষতি হবেনা। আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/15628/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ঢেকুর রোজার
জন্য ক্ষতিকর নয়। তখন যদি কোনো খাদ্য বা পানীয় বের হয়,
তাহলে তা ফেলে দিতে হবে। পুনরায় ইচ্ছাকারী গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোযা অবস্থায় মুখে
খাবার চলে আসলে সেটি ফেলে দিতে হবে। তবে অনিচ্ছায় সেটি গিলে ফেললে রোযার কোনো সমস্যা
হয়না। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদি সামান্যও খাবার হয়,
ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি গিলে ফেললে রোযা
ভেঙ্গে যাবে।