আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ..

ক্ষমা করা অনেক মহৎ কাজ। মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত ক্ষমা করে দেওয়া। বিচারের মালিক আল্লাহ। তবুও যদি আমার মন কাউকে ক্ষমা করতে না চায়, আমি তার ক্ষতি চাই না, কিন্তু তাকে ক্ষমা করতেও পারছি না, ঘৃণা আসে;এই ক্ষেত্রে কি আমি গুনাহগার হব? আমি অনেক চেষ্টা করেও যদি ক্ষমা করতে না পারি, সে ক্ষেত্রে আমার কী করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (67,920 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

ক্ষমাশীল মানুষ সর্বোত্তম ব্যবহারকারী ও ধৈর্যশীল। ক্ষমাকারী ধৈর্যবান ও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। যে অন্যকে ক্ষমা করে তাকেও ভালোবাসেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সম্বরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৪)

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,

إِن تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَن سُوءٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا

তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনো, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী। (সুরা নিসা, আয়াত: ১৪৯)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন করেছেন, সদকা করলে সম্পদের ঘাটতি হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে, তিনি তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮)

আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন সাহাবি মুয়াজ (রা.) ও মুসা (রা.) কে ইয়ামেনে প্রেরণ করেন ও আদেশ দেন, ‘লোকদের প্রতি কোমলতা করবে, কঠোরতা করবে না, তাদের সুখবর দেবে, ঘৃণা সৃষ্টি করবে না। পরস্পর একমত হবে, মতভেদ করবে না।’ (বুখারি, হাদিস: ৩০৩৮) (আংশিক কপি)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কাউকে ক্ষমা করে দেওয়া অনেক বড় ভালো গুণ। আর আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাকারীকে ভালোবাসেন। তাই আপনি যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালাও আপনাকে অনেক অনেক সওয়াব দিবেন এবং এই অসিলায় আপনার অপরাধও ক্ষমা করে দিতে পারেন।

মানুষকে ক্ষমা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত । যে মানুষকে ক্ষমা করে দেয় আল্লাহ তায়ালাও কেয়ামতের দিন তার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। কাউকে ক্ষমা করার পর ঐ বিষয়ে পরবর্তিতে খোটা দিয়ে কিছু বলা অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ, যা পরিহার করা আবশ্যক। তবে কেউ যদি কোন ভুল ক্ষমা করে দেয় সে বিষয়ে মনে কোন সন্দেহ বা সংশয় পোষন করা যাবে না। বরং এটি শয়তানের ওয়াসওয়াসা। সুতরাং ঐ পরিস্থিতি থেকে বাচার জন্য বেশী বেশী ইস্তেগফার পড়বে।

সুতরাং কারো প্রতি অভিমান বা ক্ষোপ থাকলে তাকে সাধ্যানুযায় হাদিয়া বা গিফট দেওয়া, তার সাথে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করা এবং তার জন্য অন্তর থেকে দোয়া করলে তার প্রতি দয়া ও তাকে ক্ষমা করার সিফাত আপনার মধ্যে চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (21 points)
কিন্তু কেউ যদি ক্ষমা না করতে পারে তাহলে গুনাহ হবে কিনা?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...