আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম 

 

১) সুস্থতার নিয়তে সূরা ফাতিহা পড়ে অসুস্থ স্থানে ফু দেয়ার ক্ষেত্রে, সূরা ফাতিহা প্রতিবার পড়ার পর  শেষে কি আমিন বলবো? 

 

২) একটা ভিডিওতে দেখেছিলাম যেখানে বলা হচ্ছে ফরজ/ফজরের(ঠিক মনে নাই) পর কেউ ডান হাত মাথায় রাখেন ইয়া কাইয়্যু ১১ বার পড়লে তার রোগ আরোগ্য হয়ে যায়?  উক্ত কথা কি সত্যি?

 

৩) ২ নং সত্যি হলে সঠিক প্রক্রিয়াটি যদি বলতেন।  

 

৪) রমজানে রোজা থাকাকালীন ঠোট হয়তো কিছু তেলতেলা হয় সেক্ষেত্রে জিহ্বা দিয়ে ঠোট ভিজালে এবং পরবর্তীতে থুতু বেশি হয়ে গেলে এবং তা গিলে ফেললে রোজা কি ভঙ্গ হবে? 


 

 জাযাকাল্লাহু খাইরান 

1 Answer

0 votes
by (633,180 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1104 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
মোটকথাঃ
কিছু দু'আ র বেলায় হাদীসে সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে।সুতরাং সেগুলোকে উক্ত সংখ্যায় পড়াই সুন্নাত।অন্যদিকে কিছু দু'আ এমন রয়েছে যেগুলোতে সংখ্যার উল্লেখ আসেনি।সুতরাং সেগুলো কে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বেদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।
হ্যা পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ(সালাফে সালেহীন) তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংখ্যার পরামর্শ দেন বা পদ্ধতির পরামর্শ দেন,সেগুলোকে জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত সংখ্যা বা পদ্ধতি আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং আমাদের উদ্দেশ্য হল, বেশী বেশী করে পড়া।কিন্তু কতটুকু পড়ালে বেশী হবে?সেটা তো আমরদের জানা নেই।তাই নেককার বান্দাদের পরামর্শকৃত একটা সংখ্যা বা পদ্ধতিকে আপাতত আমরা বেশীর মানদন্ড হিসেবে ধরে নিচ্ছি।এবং সাথে সাথে নিজেকে খালিছভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করছি।হয়তো এই বেশী পড়ার মনোভাব থাকায় আল্লাহ আমাদের দু'আ কে কবুল করে নিতে পারেন।জাযাকুমুল্লাহ। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) সুস্থতার নিয়তে সূরা ফাতিহা পড়ে অসুস্থ স্থানে ফু দেয়ার ক্ষেত্রে, সূরা ফাতিহা প্রতিবার পড়ার পর  শেষে আমিন বলবেন।

(২) উক্ত আমল করে দেখা যেতে পারে।
(৩) এর নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম পদ্ধতি নাই। বরং স্বাভাবিকভাবে আমল করে নিলেই হবে।

(৪) রমজানে রোজা থাকাকালীন ঠোট হয়তো কিছু তেলতেলা হয় সেক্ষেত্রে জিহ্বা দিয়ে ঠোট ভিজালে এবং পরবর্তীতে থুতু বেশি হয়ে গেলে এবং তা গিলে ফেললে রোজা কি ভঙ্গ হবে?  জাযাকাল্লাহু খাইরান 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...