আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু উস্তাজ। আমার খুব সম্ভবত রুকইয়াহ জনিত সমস্যা আছে। লক্ষণ মেলে অনেকগুলোই। নামাজ পড়তে খুবই অস্বস্তি লাগে। মনে হয় গলায় কাঁটা বিঁধে আছে, গায়ে কেউ জ্বলন্ত সুই ফুটাচ্ছে, ঘাড় ভারী লাগে, মনে হয় নামাজ না পড়ে পালিয়ে যাই। এসব কারণে আমার নামাজে খুশুখুজু থাকে না বললেই চলে। তাই কিছুটা ওয়াসওয়াসাও কাজ করে। এরকম নামাজ নিজের কাছেই গ্রহণযোগ্য মনে হয় না। তো আমার নামাজ কী কবুল হবে? আর অন্যান্য যিকির আযকার করার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মনোযোগ থাকে না বললেই চলে। চেষ্টা করি, তাও অন্য কথা মাথায় চলে আসে, বেশি চেষ্টা করলে মাথা চোখ ব্যথা শুরু করে। এতখানি লিখে বুঝতেও পারছি না কী প্রশ্ন করতে চাচ্ছি। আমার কি ইবাদত কবুল হবে? খুশুখুজু তো আমার ইচ্ছা করে নাই এমন না, তবুও আমার তো দায়বদ্ধতা আছেই। তো এটার জন্য কি আমার আলাদা গুনাহ হবে? ইবাদতের সওয়াব কি পাবো না তেমন একটা?

1 Answer

0 votes
by (606,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

নামাজ খুশু খুজুর সাথে আদায় করতে হবে।
অন্য মনস্ক হওয়া যাবেনা।
,
সুরা বাকারার ২৩৮ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

قُوۡمُوۡا لِلّٰهِ قٰنِتِیۡنَ ﴿۲۳۸﴾

আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى ـ هُوَ ابْنُ يُونُسَ ـ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، قَالَ قَالَ لِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ إِنْ كُنَّا لَنَتَكَلَّمُ فِي الصَّلاَةِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، يُكَلِّمُ أَحَدُنَا صَاحِبَهُ بِحَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ (حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ) الآيَةَ، فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ.

যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সময়ে সালাতের মধ্যে কথা বলতাম। আমাদের যে কেউ তার সঙ্গীর সাথে নিজ দরকারী বিষয়ে কথা বলত। অবশেষে এ আয়াত নাযিল হল- ‘‘তোমরা তোমাদের সালাতসমূহের সংরক্ষণ কর ও নিয়ানুমবর্তিতা রক্ষা কর; বিশেষ মধ্যবর্তী (‘আসর) সালাতে, আর তোমরা (সালাতে) আল্লাহর উদ্দেশে একাগ্রচিত্ত হও’’- (সূরাহ্ আল-বাক্বারাহ্ ২/২৩৮)। অতঃপর আমরা সালাতে নীরব থাকতে আদেশপ্রাপ্ত হলাম। (বুখারী শরীফ ৪৫৩৪; মুসলিম ৫/৭, হাঃ ৫৩৯, আহমাদ ১৯২৯৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১২৭)
,
বিশিষ্ট সাহাবী আবু আইয়ুব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, আল্লাহর রাসূল! আমাকে সংক্ষিপ্তভাবে দ্বীনের কিছু কথা বলে দিন। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যখন নামায পড় তখন জীবনের শেষ নামায আদায়কারীর মতো নামায পড়।-সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৪৭১

পুরো নামায এ অনুভূতি নিয়ে আদায় করা প্রয়োজন  যে, আল্লাহ তাআলা আমাকে দেখছেন, আমি তার সামনে দন্ডায়মান।

প্রসিদ্ধ হাদীসে-জিবরীলে এসেছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি এমনভাবে ইবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ। আর তুমি যদি আল্লাহকে না-ও দেখ তবে আল্লাহ তো তোমাকে অবশ্যই দেখছেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৮
গ) সাথে সাথে এ খেয়াল করবে যে, আমি আল্লাহ তাআলার সম্মুখে দাঁড়িয়েছি এবং তাঁর সাথে কথা বলছি। কেননা নামায হল আল্লাহ তাআলার সাথে একান্তে কথোপকথন করা।

সহীহ বুখারীতে এসেছে, সাহাবী আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন সে আল্লাহর সাথে একান্তে কথা বলে; যতক্ষণ সে তার নামাযের জায়গায় থাকে।
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৪১৬
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নাকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি উক্ত চিন্তা বাদ দিন। আপনি এখন থেকে ভাববেন যে আমার নামাজ কবুল হবে। 
ইনশাআল্লাহ আপনার সমস্যার সমাধান মিলবে।

আপনার আলাদা গুনাহ হবেনা।
আপনি আপনার ইবাদতের ছওয়াব পাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...