আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
পরে জানিয়ে দিবো বা মাফ চেয়ে নিবো নিয়তে কারো জিনিস বা টাকা ব্যবহার করা কি হারাম হবে?

যেহেতু মেসে থাকি অনেক ক্ষেত্রেই না বলে টুকটাক জিনিস ব্যবহার করা হয় পরে জানিয়ে দিবো এই নিয়তে। আবার আমার এক বন্ধুর কিছু টাকা আমার কাছে আছে, তাকে একবার জানিয়েছিলাম,  সে আর ফেরত নেয়নি, হয়তো তার মনেও নেই। এখন যদি আমি সেই টাকা ব্যবহার করে পরে তার কাছে মাফ চেয়ে নেই যে তার আমার মাঝে কোনো পাওনা থাকলে যেনো তা মাফ করে দেয় তাহলে কি এটা হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
পরে জানিয়ে দিবো বা মাফ চেয়ে নিবো নিয়তে কারো জিনিস বা টাকা ব্যবহার করা জায়েজ নেই।

হ্যাঁ যদি আগে থেকেই তার অনুমতি থাকে,অথবা মৌন সমর্থন থাকে অথবা তার সাথে আপনার এমন অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকে যে সে আপনাকে অনুমতি দিবে এমন প্রবল বিশ্বাস থাকে, সেক্ষেত্রে তাকে না জানিয়ে সেটি ব্যবহার করলে পরে যদি আপনি জানিয়ে দেন বা ক্ষমা চেয়ে নেন, তাহলে এটি না জায়েজ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম।  অসংখ্য ধন্যবাদ।  যদি এ বিশ্বাস থাকে যে সে ক্ষমা করে দিবে, তাহলে  জিনিস টা আমি ব্যবহার করে ফেলেছি কিন্তু  যতদিন অব্দি ক্ষমা না চাইলাম ততদিন অব্দি কি তা আমার জন্য হারাম হবে? 
by (607,050 points)
হ্যাঁ,হারাম হবে।
by
যদি ফেরত দেওয়া সম্ভব না হয়, বা ঠিকঠাক পরিমান জানা না থাকে তাহলে কি কাউকে দান করে দিলে হবে? দয়া করে জানাবেন। 
by (607,050 points)
অন্যকে দান করা নয় বরং যেহেতু সে এখনো জীবিত আছে সুতরাং তাকেই ফেরত দিতে হবে।

আপনি হুবহু ওই বস্তুটি ফেরত দিতে না পারলে সমপরিমাণ মূল্য তার বিকাশে অথবা ব্যাংক একাউন্টে দিতে পারে অথবা সামনাসামনি তার হাতেও দিতে পারেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...