আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
ago in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আস সালামু আলাইকুম।
১। হায়েজ সাধারণত নির্দিষ্ট কদিন পর্যন্ত থাকে তাই এক প্রকার নিশ্চিত থাকা হয় যে এই দিনের পর অমুক ওয়াক্তে সুস্থ হয়ে সালাত আদায় করতে পারব। কিন্তু এবার হঠাৎ নির্দিষ্ট দিনের আগের দিন হায়েজ শেষ হয়ে গেছে যা নির্দিষ্ট দিনে বুঝতে পারি। এখন আমি জানতে চাচ্ছি যে, এইযে ১দিন আগে শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আলামত সেভাবে বুঝতে পারিনি কিন্তু পরদিন বুঝতে পেরেছি আগেরদিন সুস্থ হয়েছি( কোন সময় সুস্থ হয়েছি এটা জানি না,বুঝতও পারিনি। সন্দেহযুক্ত বিষয়)  তাহলে কি আমি সালাত কাযা হয়ে গেছে?  ওগুলো কি আদায় করতে হবে? কিন্তু কোন কোন সালাত কাযা হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি না।এখন করনীয় কী?

২। অসুস্থতার কারণে তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করা লাগবে, শুনেছি একবার তায়াম্মুম করে এক বার /ওয়াক্তের সালাত আদায় করা যায়। কিন্তু এখন যেহেতু তারাবিও পড়তে হবে তাহলে তায়াম্মুম কয়বার করা লাগবে?

1 Answer

0 votes
ago by (68,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/43176/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

প্রথমেই কিছু মাসয়ালা জেনে নেইঃ

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা ৩ তিন, আর সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।

এ ১০দিনের ভিতর লাল, হলুদ, সবুজ, লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)

,

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক, সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা। (কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

,

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা। (ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

আরো জানুনঃ-

https://www.ifatwa.info/9904/

,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।

এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়, বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।

এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।  

 

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

,

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً

মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭, কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮, কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

,

উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে। হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।

এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে। নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আরো নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবেন যে, কখন থেকে আপনি পবিত্র হয়েছেন বলে প্রবল ধারণা? তার পরবর্তী নামাজ কাযা করে নিবেন।

২. আপনি কোন অসুস্থতার কারণে তায়াম্মুম করতে চাচ্ছেন তা বললে বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হতো। আর এক তায়াম্মুমে এশার সালাত ও তারাবীহ একসাথে পড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ। যতক্ষণ অযু ভঙ্গের কারণ পাওয়া না যাবে বা পানি ব্যবহারে সক্ষম না হবে ততক্ষণ সেই তায়াম্মুম দিয়ে সালাত আদায় করতে পারবেন।

আরো জানুন - https://ifatwa.info/3880/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...