আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ।
হায়েজের শেষদিকে রমাদান শুরু হয়েছে। তাই অনুমান করছি ২৫/২৬ রোযার দিকে আবার হায়েজ হতে পারে। ইচ্ছে ছিলো শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করার। এখন হায়েজের সময় তো ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে।
আমার জ্ঞান অনুযায়ী হায়েজ হতে পারে, এরকম অবস্থায় শেষ ১০ দিন ইতিকাফের নিয়ত করা কি ঠিক হবে?

1 Answer

0 votes
by (604,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ

ওয়াহব  ইবন  বাকীয়্যা ......... আয়েশা  (রাঃ)  হতে  বর্ণিত।  তিনি বলেন,  ই‘তিকাফের  জন্য  সুন্নাত  এই  যে,  সে  যেন  কোন  রোগীর  পরিচর্যার  জন্য  গমন  না  করে,  জানাযার  নামাযে  শরীক  না  হয়,  স্ত্রীকে  স্পর্শ  না  করে  এবং  তার  সাথে  সহবাস  না  করে।  আর  সে  যেন  বিশেষ  প্রয়োজন  ব্যতীত  মসজিদ  হতে  বের  না  হয়।  রোযা  ব্যতীত  ই‘তিকাফ  নেই  এবং  জামে  মসজিদ  ব্যতীত  ই‘তিকাফ  শুদ্ধ  নয়।
(আবু দাউদ ২৪৬৫)

আল্লামা কা'সানি রাহ বলেন,
وَلَوْ حَاضَتْ الْمَرْأَةُ فِي حَالِ الِاعْتِكَافِ فَسَدَ اعْتِكَافِهَا
যদি এ'তেকাফ অবস্থায় মহিলার হায়েয চলে আসে তাহলে তার এ'তেকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।
বাদায়ে সানায়ে-২/১১৬

ইতেকাফ ভেঙ্গে গেলে শুধু উক্ত দিনের (একরাত এক দিন) ইতেকাফ কাজা আদায় করতে হবে।
সেদিন রোযাও আদায় করতে হবে।
এটাই রাজেহ কওল। 
পূর্ণ মাসনুন ইতেকাফের কাজা আদায় করা আবশ্যকীয় নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/২৪৮,নাজমুল ফাতওয়া ৩/২৭৮))
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক্ষেত্রে আসলেই যদি ইতিকাফ অবস্থায় আপনার হায়েজ চলে আসে,সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে রোযা সহ শুধু এক দিন এক রাতের ইতেকাফ কাজা আদায় করতে হবে।

(এক্ষেত্রে ইতেকাফের কাজা হিসেবে শুধু মাত্র এক দিন এক রাত আদায় করতে হবে।
চাইলে রমজানের শেষ দিকের যে কোনো একদিনে সেই কাজা আদায় করতে পারে।
বা অন্য মাসেও আদায় করতে পারবে।
তবে সেদিন রোযা রাখতে হবে। 

বাকি রোযা গুলির কাজা আদায় আবশ্যক হবে। ইতেকাফ এক দিন এক রাতের বেশি আবশ্যক হবেনা।) 

★আপনার জ্ঞান অনুযায়ী রমজানের শেষে ইতিকাফ অবস্থায় হায়েজ হতে পারে, এরকম অবস্থায় বরকতের উদ্দেশ্যে শেষ ১০ দিন ইতিকাফের নিয়ত করা ঠিক হবে।

এতে আপনি তো ইতেকাফের বরকত পেয়ে যাবেন। আর আপনার নিয়তের কারনে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পুরো ইতেকাফের ছওয়াবও দিতে পারেন,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...