ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
★নিচের
পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে:
নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহ্ কাছে মুনাজাত করে, তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায
কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ
সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)
,
একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল,
অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস
করলেন,
সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল,
হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে
থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে
আহমাদ ২/৪৪৭)
,
★একাকী থাকা
যাবেবা। বিশেষ করে একাকী রাত কাটানো যাবেনা।
হাদিসে এসেছে নবী ﷺ কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ
২/৯১)
,
ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর
দোয়াগুলো পড়া,
ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে
নবী ﷺ-এর নিষেধ আছে।
,
কাছে মোবাইল বা কম্পিউটার
রাখা যাবেনা,
সেটি অন্য ঘরে রেখে আসতে হবে।
যথাসম্ভব মাগরিবের পর থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে।
,
পাশাপাশি নবী নবী ﷺ-এর নির্দেশিত
প্রতিকার পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। সেটা হচ্ছে– রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন চাহিদাকে
পরিশীলিত করে।
সুতরাং মাঝে মাঝে নফল রোজা রাখতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ
হে যুবক সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ করার
সামর্থ্য রাখে,
তারা যেন বিবাহ করে। কেননা, বিবাহ তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের বিবাহ করার
সামর্থ্য নাই,
সে যেন রোযা পালন করে। কেননা, রোযা তার যৌনতাকে দমন করে। (বুখারী,হাদীস
নং-৪৯৯৬)
,
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/4425/
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
উপরোক্ত আমলগুলো করতে পারেন। পাশাপাশি সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত সালাত
আদায়, তাহাজ্জুদ পড়া, বেশী নফল সালাত আদায় করা, কুরআন তেলাওয়াত, সর্বদা জিকির করা,
সর্বদা অযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করা, সত্য কথা বলা, হালাল ইনকাম করা, হারাম পরিহার
করা, পিতা-মাতার খেদমত করা, প্রতিবেশীর হক আদায় করা, সর্বদা ন্যায়ের উপর থাকা ইত্যাদি।
আরো জানুন - https://ifatwa.info/1830/