আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

১/ উস্তাদ নিচে বিবাহের যে আমলের কথা বলা হয়েছে তা পালন করা কি বিদআত হবে? এছাড়া অনেক সময় অনেক বুজুর্গদের থেকে বিভিন্ন আমলের কথা জানা যায়।সেগুলো আদায় করা যাবে? যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সা:) এমন কোনো আমলের কথা বলেন নি।

১১ রমায‌া‌নের দিবাগত রাতে দ্রুত বি‌য়ের জন‌্য এক‌টি পরী‌ক্ষিত আমল।

এটি এক‌টি পরী‌ক্ষিত আমল। বহু বছর থে‌কে এ আমল‌টি জা‌মেয়া দারুল উলূম কার‌চি'র সা‌বেক শাইখুল হাদীস ও সদর মুফতী রফী উসমানী রহ. এর পক্ষ হ‌তে প্রচা‌রিত। আরও অ‌নেক বুযুর্গদের এটি মুজাররাব। অগ‌ণিত মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হ‌য়ে‌ছেন। যেসব অ‌ভিভাবক অ‌বিবা‌হিত ছে‌লে মে‌য়ে‌দের বিবাহ নি‌য়ে দু‌শ্চিন্তায় আছেন, তারা আমল‌টি কর‌তে পা‌রেন। বিবাহ উপযুক্ত ছে‌লে মে‌য়েরাও নি‌জে‌দের জন‌্য এটি কর‌তে পা‌রেন। শরীয়তের বিধান তথা ফরজ ওয়া‌জিব সুন্নাত ম‌নে না ক‌রে স্রেফ বুুযুর্গদের মুজাররাব আমল হিসা‌বে কর‌তে কো‌নো অসু‌বিধা নেই। ইনশাআল্লাহ, দ্রুত সুফল লাভ কর‌বেন।এ আমল‌টি ১১ রমযান দিবাগত রাত অর্থাৎ ১২ তা‌রি‌খের রা‌তে তারাবী‌হের প‌রে অথবা শেষরা‌তে তাহাজ্জু‌দের সময় কর‌তে হ‌বে ইন শা আল্লহ।

আম‌লের নিয়ম :
১] প্রথ‌মে ১০১বার দরূদ শরীফ পড়‌বে।
২] এরপর ১২রাকাআত নফল নামায পড়‌বে, দুই দুই রাকাআত ক‌রে। প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফা‌তেহার পর ১২বার সুরা ফীল পড়‌বে।

৩] নামায শে‌ষে পুনরায় ১০১বার দরূ‌দে ইবরাহীমী পড়‌বে।
৪] এরপর নবী‌জির (সা.) এর প্রতি আম‌লটির ঈসা‌লে সওয়াব কর‌বে।
৫] বি‌য়ের জন‌্য কিছুক্ষণ দুআ ক‌রার পর কো‌নো কথাবার্তা না ব‌লে ঘু‌মি‌য়ে পড়‌বে।

নোট : দারুল উলূম করা‌চির দারুত তাসনী‌ফের সদস‌্য মাওলানা মাহমূদ হাসান হা‌ফি. এর মাধ‌্যমে আম‌লটির সনদ নি‌শ্চিত করা হ‌য়ে‌ছে।
- মুফতি মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাজী ১

০ রমাযান, ১৪৪৪‌ হিজরী

২/ সকালে ৯:৩০ টার পর যদি ঘুম থেকে উঠে নামায পড়ি তাহলে কি ইশরাকের নামাযের অন্তর্ভুক্ত হবে? নাকি ফজরের পর জেগে থেকে এরপর সূর্যোদয় হবার পর নামায আদায় করবো?

৩/ প্রতি ওয়াক্ত সালাতের সময় কি ওযু করে দু রাকাত ওযুর নামায পড়া যাবে?নাকি যে সময়েই ওযু করি না কেনো ওযুর পর দু রাকাত ওযুর নামায আদায় করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (71,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/5258/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

অনেক বুজুর্গানে কেরাম ও শায়েখগণ বলেছেন যে নিম্নোক্ত  দোয়া খালেছ দিলে বেশি বেশি পাঠ করিলে দ্রুত বিবাহ হবে, ইনশাআল্লাহ।

সূরা ফুরকান এর ৭৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ্পাক বলেন

وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।

,

অনেক উলামায়ে কেরাম এই আয়াতের ফজিলত স্বরুপ বলেছেন  যে এই আয়াতে রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া শিখিয়েছেন। এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করলে আশা করা যায় যে নিজের স্ত্রী, সন্তানাদী চক্ষু শীতলকারি, দ্বীনদার পরহেযগার হবে, ইনশাআল্লাহ ।

,

যারা মহান আল্লাহর কাছে উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের প্রত্যাশা করে, তাদের উচিত মহান আল্লাহর কাছে তারই শেখানো ভাষায় আবেদন করা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারিমে বান্দাকে উত্তম স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান লাভের দোয়া শিখিয়েছেন। যেসব স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান একে অন্যের চোখকে শীতল করবে। কুরআনুল কারিমের এ আয়াতের আমলে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক পুরুষকেই এমন উত্তম স্ত্রী ও সন্তান দান করবেন, যাদের দেখে পুরুষদের মন শান্ত হয়ে যাবে।

পক্ষান্তরে যে সব নারী এ দোয়ার আমল করবে, আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা সেসব স্ত্রীদেরকেও নয়নজুড়ানো স্বামী ও সন্তান দান করবেন।

,

দ্রুত বিবাহের জন্য আপনি সালাতুল হাজত -এর নামাজ পড়ে বেশি বেশি দুয়া করতে পারেন।

ইনশাআল্লাহ দ্রুত বিবাহ হবে।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/2122

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১. আপনি উত্তরে বর্ণিত আমল করতে পারেন। আর আপনার উল্লেখিত লেখাগুলো বোঝা যাচ্ছে না।

২. আশা করা যায় যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইশরাকের সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

৩. নিষিদ্ধ সময় ও ফজরের সময় এবং আসরের পর ছাড়া সব সময় এই নামাজ পড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (13 points)
১১ রমাযানের দিবাগত রাতে দ্রুত বিয়ের জন্য একটি পরীক্ষিত আমল

এটি একটি পরীক্ষিত আমল। বহু বছর থেকে এ আমলটি জামেয়া দারুল উলূম কারচি'র সাবেক শাইখুল হাদীস ও সদর মুফতী রফী উসমানী রহ. এর পক্ষ হতে প্রচারিত। আরও অনেক বুযুর্গদের এটি মুজাররাব। অগণিত মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। যেসব অভিভাবক অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের বিবাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন, তারা আমলটি করতে পারেন। বিবাহ উপযুক্ত ছেলে মেয়েরাও নিজেদের জন্য এটি করতে পারেন। শরীয়তের বিধান তথা ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত মনে না করে স্রেফ বুুযুর্গদের মুজাররাব আমল হিসাবে করতে কোনো অসুবিধা নেই। ইনশাআল্লাহ, দ্রুত সুফল লাভ করবেন। 

এ আমলটি ১১ রমযান দিবাগত রাত অর্থাৎ ১২ তারিখের রাতে তারাবীহের পরে অথবা শেষরাতে তাহাজ্জুদের সময় করতে হবে ইন শা আল্লহ।

আমলের নিয়ম : 

১] প্রথমে ১০১বার দরূদ শরীফ পড়বে। 
২] এরপর ১২রাকাআত নফল নামায পড়বে, দুই দুই রাকাআত করে। প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহার পর ১২বার সুরা ফীল পড়বে।
৩] নামায শেষে পুনরায় ১০১বার দরূদে ইবরাহীমী পড়বে। 
৪] এরপর নবীজির (সা.) এর প্রতি আমলটির ঈসালে সওয়াব করবে। 
৫] বিয়ের জন্য কিছুক্ষণ দুআ করার পর কোনো কথাবার্তা না বলে ঘুমিয়ে পড়বে।

নোট : দারুল উলূম করাচির দারুত তাসনীফের সদস্য মাওলানা মাহমূদ হাসান হাফি. এর মাধ্যমে আমলটির সনদ নিশ্চিত করা হয়েছে। 

- মুফতি মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাজী 
১০ রমাযান, ১৪৪৪ হিজরী

**এই আমল কি করা যাবে? নাকি বিদআত এর অন্তর্ভুক্ত হবে যেহেতু রাসূল (সা:) এর সময়কালে এমন কোনো আমল ছিলো বলে জানা যায় না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...