আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার পিরিয়ড এর রক্তপাত সাধারণত পাঁচ দিন থাকে। এরপর থেকে হালকা মেটে বা বাদামী বর্ণের স্রাব দেখা যায়। সাত দিন থেকে খুব খুবই হালকা ধূসর বর্ণ (সাদা টিস্যু ভিতরে চেপে রাখলে বোঝা যায়).। এরকম চলতে থাকে দশ দিন, দশ দিন এর বেশিও হয়ে যায়। স্রাব টা   এমন যে, নরমালি বাইরে আসেনা, সাদা টিস্যু একদম ভেতরে চেপে রাখলে তখন, খুব হালকা ধূসর বর্ণের, খুব হালকা সবুজাভ বর্ণ দশ দিনের পর পর্যন্ত থাকে। প্রশ্ন হল, কখন পবিত্র হব? কখন থেকে নামাজ পড়া শুরু করব? ২৩ শে ফেব্রুয়ারি থেকে পিরিয়ড শুরু হলে, দশ দিন পর্যন্ত (৭-১০ দিন) এমন হালকা স্রাব থাকলে, পবিত্র হবো কবে? কবে থেকে নামাজ পড়া শুরু করতে পারব? রোজা কবে থেকে রাখতে পারবো? সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে যে স্রাব টা দেখা যায়, খুব অনিয়মিত থাকে। একবেলা থাকে আরেক বেলা থাকে না। পরের বেলাতেই আবার দেখা যায়। এক্ষেত্রে পবিত্রতার বিধান কি? আর রোজার বিধান টা কি? প্রত্যেক মাসেই এরকম থাকে। হিসাবটা দশ দিন দশ রাত করব বা কিভাবে হিসাবটা হবে? কাইন্ডলি জানাবেন। আমায় দাও সাত থেকে ১০ দিনের এই সময়টাকে কি পবিত্রতার সময় ধরবো? পবিত্র হয়ে নামাজ পড়ে ফেলব? খুব কনফিউজড আছে। দয়া করে, ক্লিয়ার করবেন। আল্লাহ যেন মাফ করে দেন এই জন্য।

1 Answer

0 votes
by (594,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ৭ দিন থেকে যে স্রাব আসে,সেই স্রাব বাহিরে আসেনা, স্রাব টা এমন যে, নরমালি বাইরে আসেনা, সাদা টিস্যু একদম ভেতরে চেপে রাখলে তখন দেখা যায়।

সুতরাং এক্ষেত্রে স্রাব যদি স্বাভাবিক ভাবে বাহিরে না আসে,সেক্ষেত্রে আপনি ৭ম দিনে ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় করবেন। রোযা আদায় শুরু করবেন।

আর যদি ৭ম দিনে উক্ত স্রাব বাহিরে চলে আসে,সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত স্রাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।

হ্যাঁ যদি ১০ম দিনেও স্রাব আসা বন্ধ না হয়,সেক্ষেত্রে ১১ তম দিনে ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় করবেন। রোযা আদায় শুরু করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
এক্ষেত্রে সাত দিন থেকে যে হালকাধূসর বর্ণের স্রাব টা আসে  সেটা  হালকা খুবই হালকা ধূসর বর্ণের (এটা টিস্যু চেপে ধরলে আসে, বাইরে আসেনা) কিন্তু এই যে হালকা ধূসর বর্ণের হচ্ছে যে, সেটা থাকলেও কি পবিত্র হয়ে যাব? হুজুর আমার না বুঝার কারণে, দুঃখিত। দয়া করে একটু, এই বিষয়টা বললে ভাল হয়। 
by (4 points)
একদম বাইরে সাদাস্রাবও থাকে না। শায়খ আমার অজ্ঞতার জন্য দুঃখিত। এতদিন ধরে ব্যাপারটা তে আমি ভুল ছিলাম।আমি দশ দিনই অপেক্ষা করতাম।  সেজন্য, ভালোভাবে জেনে নিতে চাচ্ছিলাম। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 264 views
...