আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,আমি এখন পর্যন্ত ৩/৪ বার হবে এই প্রশ্ন গুলা করেছি কিন্ত প্রতিবারি ওয়াস ওয়াসার বলে আপনারা এড়িয়ে দিয়েছেন প্রশ্ন টাই হয়ত ওয়াস ওয়াসার কথা ও আছে এবং প্রশ্নটা ও বড় কিছুটা তো যাইহোক হুজুর আমি এখন আবার ও আগের যখন প্রশ্ন করছি ওইখান থেকে পুরা প্রশ্নটা কপি করে এনে পুনরায় এইখানে paste করে হুবহু প্রশ্নটা উল্লেখ করি কোন কিছু যুক্ত করিনাই এখন আর প্রশ্নে, আগের প্রশ্ন গুলা যেমন ছিলো ঠিক তেমনি একই ভাবে প্রশ্নটা এইখানে ও আবার বিশ্লেষণ করি (copy to paste আশা করি বুজেছেন) প্লিজ আপনাদের কাছে আন্তরিক ভাবে আমার অনুরোধ জবাব গুলা এইবার দিয়েন। 

#টয়লেটে ইচ্ছা করে উচ্চারণ করে আল্লাহর নাম নিলে গোনাহ হবে। তবে শুধু মনে আসলে এবং উচ্চারণ না করলে কোনো গোনাহ হবে না ঠিক বললাম হুজুর যদি ইচ্ছা উচ্চারন করি এতে তো শুধু গুনাহ হবে ইমানে কোন সমস্যা হবে না❓❔

# হুজুর মোবাইলে কোন মুভি বা কোন দৃশ্য যেমন হিন্দুদের মুভির(movie) কোন দৃশ্য বা কোন রিলস(reels) ইত্যাদি এমন কিছুতে হিন্দুদের কোন কথা বা কোন সিন(scene) দেখে যদি মুছকি হাসি বা দাত বের করে হাসি বা খিল খিল করে হাসি সহজ কথায় যেইভাবেই হাসিনা কেন সেইটা শব্দ করে হোক বা শব্দ না করেই হোক না কেন এতে কি ইমানে কোন সমস্যা হবে নাকি শুধু গুনাহ হবে ❓

#হুজুর যদি পিঠ বা পিঠের ব্যাথা কিভাবে হয় বা পিঠের কেমনে ব্যথা হয় বা পিঠের কিসের ব্যথা বা পিঠের ব্যথা কিসের বা যদি বলা হয় শুধু পিঠের মত তাহলে কি যিহার হবে এবং এই উল্লেখিত বাক্য গুলার মধ্যে কোন বাক্য বলার সময় মনে যিহার নিয়ত যেমন মায়ের পিঠের সমতুল্য বা ইত্যাদি যেমন আরো নিয়ত থাকা লাগে তেমন নিয়ত থেকে থাকে আর উল্লেখিত বাক্য গুলার মধ্যে কোন টা বলা হয় কিছুবার তাহলে কি এতে যিহার হবে বা বিবাহিত সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে যেহেতু এইখানে কোন মা,বোন ইত্যাদি যাদের সাথে বিবাহ হারা'''' এমন কোন শব্দ বা বাক্য বলিনাই কিন্তু উল্লেখিত বাক্য গুলা বলার সময় যিহার এর যেমন নিয়ত থাকলে যিহার হবে তেমন নিয়ত থাকলে কি যিহার সাব্যস্ত হবে❓❔ আশা করি জবাবটা ভালো ভাবে পড়ে আমাকে দিবেন জবাব টা পেলে মনে করি আমার প্রশ্নের জবাব টা ও পেয়ে যাবো।

#এবং হুজুর বউ যদি স্বামীকে কোন কথার জবাবে বা প্রসঙ্গে বা কোন কারনে বা অকারনে এমনেই বা মজা করে বা ইচ্ছা করেই আজরাইল বলে বা বলে সম্বোধন করে এতে কি wife এর ইমানে কোন সমস্যা হবে এবং স্বামী-স্ত্রী বিবাহিত সম্পর্কে কি কোন সমস্যা হবে নাকি কোন সমস্যা হবে না সম্পর্কে ঠিক বা বহাল থাকবে ❓❔

#২নং প্রশ্নে হিন্দুদের কথা বা বাক্য গুলা লেখার সময় বা লেখার আগে বা পরে বা প্রশ্নটা সাবমিট করার পরে পুনরায় যখন আবারও কিছুটা এডিট করি আমার মধ্যে ওয়াস ওয়াসা কাজ করছে কিছুটা এই হিন্দু বাক্য বা কথা গুলা যে লেখসি এমনো মনে হল আমি আবার আমাকে তো বুজালাম না এমনো চিন্তা বা সন্দেহ হয়েছে এতে আমার ইমানে কোন সমস্যা তো হবে না ❓

সম্মানিত উস্তাদরা আমার সব প্রশ্ন ভালো ভাবে পড়ে আমাকে অনুরোধ পরামর্শ ও সঠিক সমাধান দিয়েন।

by (22 points)
edited by
উস্তাদ আপনাদের প্রতি বিশ্বাস আস্তা আছে তাই প্রশ্ন টা উত্তর না পাওয়ায় বার বার জিজ্ঞাসা করতাছি. 


(https://ifatwa.info/113360/)এইযে আগে ও যে প্রশ্ন করছিলাম তার লিংক
by (22 points)

হুজুর উত্তর না পাওয়ায় আজকে আবার করছি জিজ্ঞাসা প্রশ্ন গুলার তাই প্লিজ উত্তর গুলা দিয়েন অনুরোধ 

1 Answer

0 votes
by (70,860 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/103624/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না

আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন - https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

,

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

,

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

,

রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

,

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

,

আপনি সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

,

মুহতারাম/মুহতারামাহ!

দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

,

উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,

 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ

তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে। (সূরা তাওবাহ-১২২)

,

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।

প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক, আমীন।

,

প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন

হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।

ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...