জবাবঃ-
(১)
হযরত ইবনে যামল(/যিমল)রাযি. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺯَﻣْﻞٍ ، ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ ﺍﺳْﺘَﻘْﺒَﻞَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳُﻌْﺠِﺒُﻪُ ﺍﻟﺮُّﺅْﻳَﺎ ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ : " ﻫَﻞْ ﺭَﺃَﻯ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺭُﺅْﻳَﺎ ؟ " ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺯَﻣْﻞٍ : ﻓَﻘُﻠْﺖُ : ﺃَﻧَـﺎ ﻳَﺎ ﻧَﺒِﻲَّ ﺍﻟﻠَّﻪِ . ﻓَﻘَﺎﻝَ : " ﺧَﻴْﺮٌ ﺗَﻠَﻘَّﺎﻩُ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﺗَﻮَﻗَّﺎﻩُ ، ﻭَﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻨَﺎ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﻷَﻋْﺪَﺍﺋِﻨَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ، ﺍﻗْﺼُﺺ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম যখন ফজরের নামায পড়তেন,তখন তিনি মানুষের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম এর স্বপ্ন শোনা বড়ই পছন্দনীয় ছিলো।
অতঃপর উপস্থিত জনতাকে লক্ষ্য করে বললেন,তোমাদের মধ্যে কি কেউ আজ স্বপ্ন দেখেছো?
ইবনে যামল বললেন, হে 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম' আমি দেখেছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম নিম্নোক্ত দু'আ টি পড়লেন,
ﺧَﻴْﺮٌ ﺗَﻠَﻘَّﺎﻩُ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﺗَﻮَﻗَّﺎﻩُ ، ﻭَﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻨَﺎ ، ﻭَﺷَﺮٌّ ﻷَﻋْﺪَﺍﺋِﻨَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ،
(আ'মলুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইল-৭৬৬)
من رأى أنّه يحرق فهو في النار........ فإن رأى النار من قريب فإنّه يقع في شدة أو محنة لا ينجو منها لقوله تعالى (وَرَأى المجْرِمُونَ النّارَ فَظَنّوا أنّهُمْ مُوَاقِعُوهَا ولمِ يَجدوا عَنْها مَصْرِفا) وأصابه خسران فاحش لقوله عز وجل (إن عَذَابَها كَان غَرَامَا) وكانت رؤياه نذيراً له ليتوب من ذنب هو فيه
যদি কেউ স্বপ্নে দেখে যে,সে আগুনে জলছে,তাহলে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।যদি কেউ স্বপ্নে নিজের অতি নিকটে আগুন দেখে,তাহলে এর অর্থ হল,সে এমন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হবে, যে পরিস্থিতি থেকে সে আর কখনো বের হতে পারবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَرَأَى الْمُجْرِمُونَ النَّارَ فَظَنُّوا أَنَّهُم مُّوَاقِعُوهَا وَلَمْ يَجِدُوا عَنْهَا مَصْرِفًا
অপরাধীরা আগুন দেখে বোঝে নেবে যে, তাদেরকে তাতে পতিত হতে হবে এবং তারা তা থেকে রাস্তা পরিবর্তন করতে পারবে না।(সূরা কাহাফ-৫৩)
এবং তার অনেক বড় ক্ষতি হবে। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
َإِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا
নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ(সূরা ফুরকান-৬৫)
আল্লাহ যদি কাউকে এমন স্বপ্ন দেখেন,তাহলে এর অর্থ হল,তাকে সতর্ক করা হচ্ছে।যাতেকরে সে গোনাহ থেকে তাওবাহ করে নিতে পারে।(তাফসীরুল আহলাম-১/১২২)
(২)
যাকে স্বপ্নে দেখা হচ্ছে,যিনি কিছু বলতে চাচ্ছেন,তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে কিছু হাদিয়া দিয়ে দেয়া উচিৎ।