ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/63750/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা
নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে
এমন হয়। যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে
নিবেন। (মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)
,
যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত
হয়, ওই ব্যক্তি যেদিকে তার মন বেশি যায় (প্রবল ধারণা
হয়), সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়,
তাহলে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যার ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের
শেষ মনে করে বসবে, শেষে সিজদায়ে সাহু করবে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا
أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ ثُمَّ
يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَإِنْ كَانَ صَلَّى خَمْسًا
شَفَعْنَ لَهُ صَلاَتَهُ وَإِنْ كَانَ صَلَّى إِتْمَامًا لأَرْبَعٍ كَانَتَا
تَرْغِيمًا لِلشَّيْطَانِ " .
মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল
খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন রাকাআত আদায় করা হলো না চার রাকাআত আদায়
করা হলো- সালাতের মধ্যে তোমাদের কারো এরূপ সন্দেহ হলে সে যে কয় রাক’আত আদায় করেছে
বলে নিশ্চিত হবে (তিন রাকাআত) সে কয় রাকাআতকে ভিত্তি ধরে অবশিষ্ট করণীয় করবে। এরপর
সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সিজদা করবে। (এখন) সে যদি পাঁচ রাকাআত আদায় করে থাকে তাহলে
এ দু' সিজদা দ্বারা তার সালাতের জোড়া পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি
তার সালাত চার রাকাআত হয়ে থাকে তাহলে (এই) সিজদা দুটি শয়তানের মুখে মাটি নিক্ষেপের
শামিল হবে। (মুসলিম ১১৫৯.ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৫২, ইসলামীক সেন্টার
১১৬১)
বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/39613/
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
,
১. ভুলে জহর ও আসরের সালাতে শব্দ করে তেলাওয়াত করলে সাহু
সিজদা দিতে হবে। আর মাগরীব, এশা ও ফজরের সালাতে হলে সাহু সেজদা দেওয়া লাগবে না।
২. নামাযে রা'কাত
বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম
হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়। যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে
শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন। (মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)
যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত
হয়, ওই ব্যক্তি যেদিকে তার মন বেশি যায় (প্রবল ধারণা
হয়), সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়,
তাহলে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যার ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের
শেষ মনে করে বসবে, শেষে সিজদায়ে সাহু করবে।
,
৩. জ্বী হ্যাঁ, উক্ত টাকা মালিককে তুলে দিতে পারবেন। তবে আপনি
সরাসরি উক্ত টাকা দিয়ে সুদভিত্তিক লোন পরিশোধ করতে পারবে না।
৪. রোযা অবস্থায় যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ
করা হয়, এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অন্যথায় ভাঙ্গবে না।
উল্লেখ্য যে, পিছনের
রাস্তা থেকে পাঁচ ইঞ্চি ভিতরে হাকনাহ বলা হয়। শরীয়তের বিধান মতে কোনো মলম বা ভেজা
কিছু ভিতরে প্রবেশ করা হয় সেটি যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম করে, তাহলে রোযা
ভেঙ্গে যাবে। যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম না করে, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/২২৪)
আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/12509/