আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম

মহিলারা সলাতে তিলাওয়াত করার সময় একটু শব্দ হয়ে গেলে কি নামায/অযূ ভেঙ্গে যাবে? আবার আদায় করতে হবে? অথবা সাহূ সিজদাহ দিতে হবে?

সলাতের মাঝে রাকাত সংখ্যা ভুলে গেলে করণীয় কী?

যদি সলাতের মাঝে রাকাত সংখ্যা ভুলে যাই পরে কম সংখ্যক রাকাত ধরে কন্টিনিউ করি প্রত্যেক রাকাতের পর তাশাহুদ পড়ি আর শেষে সাহু সিজদাহ দিই তাহলে কি হবে? আর এভাবে পড়ার সময় যদি সঠিক রাকাত সংখ্যাটা মনে চলে আসে তাহলে পুনরায় সেই সলাত আদায় করতে হবে? মানে আমার মনে হয়েছে ৪ রাকাতই পড়েছি পরে সন্দেহের কারণে সেটা ৩ নাম্বার রাকাত ধরে কন্টিনিউ করেছি পরে শেষে এসে আবার খেয়াল হয়েছে রাকাত সংখ্যা ঠিকই ছিলো। তাও পরে ওভাবেই কন্টিনিউ করি।

লোন যদি হালাল ইনকাম দিয়ে পরিশোধ করা হয় আর সেই টাকা আমার বিকাশে পাঠানো হয় তাহলে কি আমি সেই টাকাটা শুধু তুলে দিতে পারবো? এতে কি আমার সুদের সাথে সংশ্লিষ্টতা হয়ে যাবে? (আমাকে জিগ্যেস না করেই দিয়ে দেওয়া হয় তাই সেটা তুলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না)

পাইলসের সমস্যা থাকলে (ছোট্ট মাংসের মতো বের হয়ে আছে এমন) রোযা রাখা অবস্থায় ইস্তিন্জা করলে/পানি ইউজ করলে কি টিস্যু দিয়ে আবার মুছে দিতে হবে? না মুছলে পানি লেগে থাকলে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?

জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/63750/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়। যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন। (মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)

,

যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, ওই ব্যক্তি যেদিকে তার মন বেশি যায় (প্রবল ধারণা হয়), সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যার ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে, শেষে সিজদায়ে সাহু করবে।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَإِنْ كَانَ صَلَّى خَمْسًا شَفَعْنَ لَهُ صَلاَتَهُ وَإِنْ كَانَ صَلَّى إِتْمَامًا لأَرْبَعٍ كَانَتَا تَرْغِيمًا لِلشَّيْطَانِ " .

মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন রাকাআত আদায় করা হলো না চার রাকাআত আদায় করা হলো- সালাতের মধ্যে তোমাদের কারো এরূপ সন্দেহ হলে সে যে কয় রাক’আত আদায় করেছে বলে নিশ্চিত হবে (তিন রাকাআত) সে কয় রাকাআতকে ভিত্তি ধরে অবশিষ্ট করণীয় করবে। এরপর সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সিজদা করবে। (এখন) সে যদি পাঁচ রাকাআত আদায় করে থাকে তাহলে এ দু' সিজদা দ্বারা তার সালাতের জোড়া পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি তার সালাত চার রাকাআত হয়ে থাকে তাহলে (এই) সিজদা দুটি শয়তানের মুখে মাটি নিক্ষেপের শামিল হবে। (মুসলিম ১১৫৯.ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৫২, ইসলামীক সেন্টার ১১৬১)

বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/39613/

,

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

,

১. ভুলে জহর ও আসরের সালাতে শব্দ করে তেলাওয়াত করলে সাহু সিজদা দিতে হবে। আর মাগরীব, এশা ও ফজরের সালাতে হলে সাহু সেজদা দেওয়া লাগবে না।

২. নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়। যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন। (মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)

যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, ওই ব্যক্তি যেদিকে তার মন বেশি যায় (প্রবল ধারণা হয়), সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যার ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে, শেষে সিজদায়ে সাহু করবে।

,

৩. জ্বী হ্যাঁ, উক্ত টাকা মালিককে তুলে দিতে পারবেন। তবে আপনি সরাসরি উক্ত টাকা দিয়ে সুদভিত্তিক লোন পরিশোধ করতে পারবে না।

৪. রোযা অবস্থায় যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়, এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অন্যথায় ভাঙ্গবে না।

উল্লেখ্য যে, পিছনের রাস্তা থেকে পাঁচ ইঞ্চি ভিতরে হাকনাহ বলা হয়। শরীয়তের বিধান মতে কোনো মলম বা ভেজা কিছু ভিতরে প্রবেশ করা হয় সেটি যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম করে, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম না করে, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।  (কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/২২৪)

আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/12509/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...