আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমি যে প্রশ্নটি করব এটি কিন্তু আগে করা হয়েছে কিন্তু আমি স্পষ্ট উত্তর পাইনি যেমন ই-মেইলে পেয়েছি যে তালাকপ্রযুক্ত হয়েছে আর এখানে ওয়েবসাইটে দেখছি যে না যে তালাক পতিত হয়নি তাই আমি অনেক কনফিউজড হয়ে আছি তো আমি আমার প্রশ্নটি হচ্ছে আবার কমেন্টে দিয়ে দিব। ভালোভাবে পড়ে আমাকে উত্তর দিয়েন প্লিজ। অনেক জরুরী। তালাক কি পতিত হয়েছে?
2.হয়ে থাকলে কয় তালাক?

3.সম্পূর্ণভাবে বিবাহ হারাম হয়ে গেছে কি?
4.নাকি কোন উপায় আছে?
ago by (3 points)
তালাক হয়ে গেছে কি না জানতে চাই আমি
ago by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি বিয়ের পর থেকেই মাঝে মাঝে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতাম।

একদিন আমি আর আমার হাসবেন্ড আমার ননাস আর ননাস এর হাসবেন্ড এর উপর বিরক্ত ছিলাম।

আম সেদিনও মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে যায়।

এটা সত্য যে আমার আর আমার হাসবেন্ড এর মাঝে কোনোই ঝামেলা হয়নি।আমি অসুস্থ ছিলাম।ননদ এর উপর অনেক বিরক্ত। তখন আমি বারবার খালি আমার হাসবেন্ড কে আমাকে ছেড়ে দেন আমি চলে যায়।আমি অসুস্থ। আমই সংসার করার যোগ্য না হয়তো!. এইসব বলতে থাকি।মন এসব চাইছেনা।তবুও মুখ এ বলছি।

তবে আমার হাসবেন্ড আমাকে অনেক ভালোবাসে।অসুস্থ থাকি বা না থাকি সে এসব নিয়ে রাগ করেনা।আমাকে বারবার বুঝাচ্ছে আমি তোমাকে কোনো দিনও ছাড়বো না।এরকম অনেক্ষন হয়েছে।এরপর আমি তাও বলতে থাকি আমি বাড়ির বাইরে চলে যাব,ছেড়ে দেন আমায়।

উনি একপর্যায়ে বলেন, ছেড়ে দিচ্ছি চলে যাও।তালাকের নিয়তে না।আমি বারবার চলে যেতে চাইছিলাম তাই বিরক্ত হয়ে।

এরপর আমি আবার বললাম এইভাবে কেন ভালো ভাবে ছেড়ে দেন তখন তিনি বলেন, ভালো ভাবেই ছেড়ে দিচ্ছি যাও।

দিয়ে আমি চলে যায় বাড়ি ছেড়ে। তিনি আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও ছাড়ার কথা ভাবেনা।কিছুক্ষন পর রাস্তা থেকেই আমায় ফিরিয়ে আনেন।ভালোবাসা মহব্বত ঠিকি আছে।

কিন্তু ফিরিয়ে আনতে গিয়ে আমার কাছে যখন যায় তখন ও আমি মানসিকভাবে বিকারগস্ত!
আমি ওনাকে বলি তাদের(ননদ দের) সামনে কিভাবে যাব আপনি তো আমায় ছেড়ে দিয়েছেন তালাক দিয়েছেন।তখন ও তিনি বলেন, না এইভাবে তালাক হবেনা। আমি ছাড়িনি তোমায়।তাও আমি একি কথা বলতে থাকি।উনি আমাকে বুঝাতে পারছেন না! আবার উনিও কিন্তু ওনার বোনদের উপর বিরক্ত।এমন অবস্থায় বড় ননদের হাজবেন্ড উনাকে ফোন দিয়েছে দিয়ে বলছে যে

" আমরা তোমাদের বাড়িতে আর তোমরা কোথায়? ওকে(আমাকে) পেয়েছো?বাড়ি নিয়ে আসো।আমরা কি চলে যাব তাহলে।"

তখন আমার হাসবেন্ড তাদের উপর আরও বিরক্ত হয়ে বলে,"চলে যান।

 বাড়ি তো যেতে চাইছে না, বাড়ি কেন যাবে আমি তো তাকে তালাক দিয়েছি।
হুজুর এখানে "তালাক দিয়েছি" এর মানে এই না যে উনি আমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছেন এটা  মেনে নিচ্ছেন।ওই যে আমি বারবার বলছিলাম ছেড়ে দিয়েছেন তালাক দিয়েছেন।এই কথাটাই বুঝাচ্ছেন আমার ননদের হাসবেন্ড কে।

তারপর অনেক কিছু বুঝিয়ে আমাকে ঠিকই বাড়িতে ফেরত আনেন।

এখন আমার প্রশ্ন হলো
আমাদের সম্পর্ক এর ফায়সালা কি হবে এখন?

আরেকটা কথা আমি অনেক চিন্তাগ্রস্ত একটা ব্যক্তি। আমার হাসবেন্ড বলে আমার মধ্যে হয়তো ওয়াসওয়াসার একটু সমস্যা আছে। মাথাতে সবসময় ভাবনা চলতেই থাকে।

আমি যে ঘটনাটা বললাম সেটা প্রায় 7 মাস আগের।

এখনও আমি অশান্তি তে ভুগি আমাদের সম্পর্ক নিয়ে।

প্লিজ আমাকে উত্তর দিয়েন।

আমার করণীয় কি?
ago by (3 points)
হুজুর জরুরী ভাবে আপনাদের নিকট আমার অনুরোধ আমার প্রশ্ন টি ভালো মতো পড়ে আমাদের এখন কি করনিয় এটা বলে দেন তাড়াতাড়ি। 

ওই মুহূর্তে তিনি আমাকে ভয় দেখানো কিংবা বারবার ছেড়ে দেন বলছিলাম তাই আমাকে থামানোর জন্য বলেছিলেন। কেননা তোমাকে আমি কোনো দিনও ছাড়বো না এই কথা বলার পরো আমাকে থামানো যাচ্ছিল না।উনি তো তালাক শব্দ ইউজ করেননি। আমাকে থামাতে চেয়েছিলেন শুধু।আর আমি বাড়ির বাইরে যেতে চাইছিলাম বারবার সেসময়। 
আমার প্রশ্ন টি পড়ুন প্লিজ হুজুর।
আমাকে ছেড়ে দিবেন এই চিন্তা তার নাই,আমি চাইলেও ছাড়বেনা বলতো।তনে ওনার মাথায় এটা আসতো, উনি আমাকে ডিভোর্স দিবেন না কোনো দিনও। 
তবে তাও যদি আমি ওনার কাছ থেকে চলে যায় তাহলে তিনি বাড়ি ঘর ছেড়ে বিদেশ চলে যাবেন,তবুও আমাকে তালাক দিবেন না।এমন টা ভেবেই সে মুহুর্তে বলেছিল যে ছেড়ে দিচ্ছি চলে যাও। আমার আসল প্রশ্ন টি পুনরায় পড়ে উত্তর দিনপ্লিজ তাড়াতাড়ি। 
আমরা এখন একিসাথে রয়েছি সেইদিন থেকেই।
তালাক কি হয়ে গেছে?
কয় তালাক?
রজয়ী নাকি বায়েন?
কি করতে হবে?
আমাদের কি বিয়ে পড়াতে হবে?
নাকি একেবারেই ছিন্ন হয়ে গেছে সব?
আর সম্ভব হবেনা?
প্লিজ প্লিজ তাড়াতাড়ি জানান

1 Answer

0 votes
ago by (618,960 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আবােদন/ আলোচনার প্রেক্ষাপট 
 وفي حالة مذاكرة الطلاق يقع الطلاق في سائر الأقسام قضاء إلا فيما يصلح جوابا وردا فإنه لا يجعل طلاقا كذا في الكافي 
মুযাকারায়ে তালাকের মুহূর্তে সকল প্রকার কেনায়া তালাকের শব্দ দ্বারা (কাযা'আন) তালাক পতিত হবে,(তবে দিয়ানাতান তালাক হবে না)। হ্যা, যেই সব শব্দ দ্বারা তালাকের আবেদনকে গ্রহণ এবং প্রত্যাহার উভয়টাই বুঝাবে,সেই সব শব্দ দ্বারা তালাক পতিত হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

প্রশ্ন জাগে,মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক বা মুযাকারায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1049


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার তালাকের আবেদনের পর আপনার স্বামীর কথা, ''ছেড়ে দিচ্ছি চলে যাও" এ কথা দ্বারা তালাক পতিত হবে। ছেড়ে দিচ্ছি শব্দটি কেনায়া শব্দের অন্তর্ভুক্ত হলেও উফরের প্রচলনের নিমিত্বে এই শব্দটি সরিহ তালাকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক পতিত হবে। যেহেতু এখানে স্বামী কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি, তাই সর্বনিম্ন এক তালাক পতিত হবে। ইদ্দতের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...