ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনি যদি নিশ্চিত হন যে, গলায় ঝাল প্রবেশ করেছে, তাহলে রোযা ফাসিদ হবে। নিশ্চিত না হলে রোযা ফাসিদ হবে না।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) - (2 / 416):
"(وكره) له (ذوق شيء و) كذا (مضغه بلا عذر) قيد فيهما قاله العيني ككون زوجها أو سيدها سيئ الخلق فذاقت. وفي كراهة الذوق عند الشراء قولان، ووفق في النهر بأنه إن وجد بدا، ولم يخف غبنا كره وإلا لا وهذا في الفرض لا النفل كذا قالوا وفيه كلام لحرمة الفطر فيه بلا عذر على المذهب فتبقى الكراهة". فقط والله أعلم
যদি কারো অতীতের রমজানের কাযা রোযা থাকে, তাহলে এই রমজানের পূর্বে আদায় করা উচিৎ। সম্ভব না হলে পরে কাযা করলেও কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1015
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাথরুমে ফরজ গোসল করার সময় বিসমিল্লাহ না বলে শুধু নিয়ত করে ফরজ গোসল করলেও গোসল হয়ে যাবে। ফরজ গোসল করার পর শ্যাম্পু,সাবান ব্যবহার করা যাবে। এবং গোসলের পূর্বেও ব্যবহার করা যাবে। এমনটাই ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন।