আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
*আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, আমি আগের রমজানের কাযা রোজা করছি। তো রান্না করার সময় লবণ চেখেই ঝোলটুকু মুখ থেকে ফেলে দিয়েছি। কিন্তু আবার ঢোক গিলার সময় মনে হলো কিছু ঝাল ঝাল গলায় প্রবেশ করেছে। এতে আমার সন্দেহ হচ্ছে আমার রোজা হয়েছে কিনা। আমার কি রোজা ভেঙে গিয়েছে? যদি এই রমজানের আগে আমি কাযা রোজা শেষ করতে না পারি তাহলে আগামীবছর এই কাযা রোজা করা যাবে কি?

*বাথরুমে ফরজ গোসল করার সময় বিসমিল্লাহ না বলে শুধু নিয়ত করে ফরজ গোসল করা যাবে কিনা? যেহেতু বাথরুমে নাপাক জায়গা। ফরজ গোসল করার পর শ্যাম্পু,সাবান ব্যবহার করা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (632,970 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনি যদি নিশ্চিত হন যে, গলায় ঝাল প্রবেশ করেছে, তাহলে রোযা ফাসিদ হবে। নিশ্চিত না হলে রোযা ফাসিদ হবে না।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) - (2 / 416):
"(وكره) له (ذوق شيء و) كذا (مضغه بلا عذر) قيد فيهما قاله العيني ككون زوجها أو سيدها سيئ الخلق فذاقت. وفي كراهة الذوق عند الشراء قولان، ووفق في النهر بأنه إن وجد بدا، ولم يخف غبنا كره وإلا لا وهذا في الفرض لا النفل كذا قالوا وفيه كلام لحرمة الفطر فيه بلا عذر على المذهب فتبقى الكراهة". فقط والله أعلم

যদি কারো অতীতের রমজানের কাযা রোযা থাকে, তাহলে এই রমজানের পূর্বে আদায় করা উচিৎ। সম্ভব না হলে পরে কাযা করলেও কোনো সমস্যা হবে না। 

(২)
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ 
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)

তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1015

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাথরুমে ফরজ গোসল করার সময় বিসমিল্লাহ না বলে শুধু নিয়ত করে ফরজ গোসল করলেও গোসল হয়ে যাবে। ফরজ গোসল করার পর শ্যাম্পু,সাবান ব্যবহার করা যাবে। এবং গোসলের পূর্বেও ব্যবহার করা যাবে। এমনটাই ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 54 views
0 votes
1 answer 236 views
...