বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
১। কোনো ব্যাক্তি মারা গেলে দুই বা তিন অথবা পাঁচদিনের দিন যে দোয়া বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়, সেটা বিদ’আত।
২। এই সকল মিলাদ মাহফিল বিদ’আত।এর মধ্যে সব তাওয়ালুদগুলোই বিদআত ।কেননা এগুলোর কোনোটিই রাসূলুল্লাহ সা. এর জমানায় ছিলনা।
৩।নবীর উপর দরুদ পাঠ উত্তম কাজ।তবে এরকম প্রচলিত নিয়মে তাওয়ালুদ পড়ার কোনো দলীল প্রমাণ নাই।নবীযুগ, সাহাবাযুগ,কোনো যুগেই এর অস্থিত্ব খুজে পাওয়া যায় না।
বিদ'আত কাকে বলে?
عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]، وفي رواية لمسلم: ((من عمِل عملًا ليس عليه أمرنا فهو رَدٌّ)).
মর্মার্থ- দ্বীনে ইসলামে নতুন কিছু আবিস্কার করা,সংযোজিত করার নামই হল বিদআত।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জনের উত্তম মাধ্যম।আল্লাহ তা'আলা নবীর উপর দুরুদ পাঠের নির্দেশ দিচ্ছেন।এবং পাঠকারীদের প্রশংসা করেছেন।এবং এই দুরুদ পাঠকে গোনাহ মাফের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।প্রয়োজন পূরণের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠِّﻤُﻮﺍ ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।(সূরা আহযাব-৫৬)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﻋَﻠَﻲَّ ﺻَﻠَﺎﺓً ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﻬَﺎ ﻋَﺸْﺮًﺍ
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবে।(সহীহ মুসলিম-৩৮৪)
তবে সংখ্যা নির্দিষ্টকরে দরুদ পাঠ করার কোনো বৈধতা নাই।বিস্তারিত জানুন-
১১০৪
ঠিকতেমনি নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতির মাধ্যমেও দরুদ পাঠের কোনো বৈধতা নাই।কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে বসে বা দাড়িয়ে নির্দিষ্ট কিছু বাক্য উচ্ছারণ এবং উক্ত বাক্যর ফাঁকে ফাঁকে দরুদ পাঠের কোনো বৈধতা শরীয়তে নেই।এগুলো ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিল না।এগুলো বিদআত,পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক।আমীন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
3463