আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (33 points)

আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম,

১। কোনো ব্যাক্তি মারা গেলে দুই বা তিন অথবা পাঁচদিনের দিন যে দোয়া বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয় সেটার ইসলামিক বিধান কী?

২। এই সকল মিলাদ মাহফিলের মধ্যে কোন কোন তাওয়ালুদগুলো পড়লে ঐ রকম মিলাদে বিদআত হবে? মানে কোন গুলো মওজু রেওয়ায়েত সম্বলিত অথচ খুবই প্রচলিত?

৩। আমার এলাকার মসজিদে এরকম মিলাদ প্রায়ই হয়, কিন্তু শুরুতে বলা হয় বিশেষ দোয়া আছে, বসার চেষ্টা করবেন এইভাবে৷ তো আমার কয়েকটা এরকম তাওয়ালুদ মুখস্ত হয়ে গেছে আগে থেকে শুনতে শুনতে। যেমনঃ

সাআ' তিশশাজারু নাক্বক্বল হা'জারু শুক্বল ক্বমারু তিইই শা.. রতিহি.. 

আসসুবহু বাদা মিন ত্বলআ'তিহি ওয়াল্লাইলুদাজা মিওওয়াফরতিহি..

এরকম আরো কয়েকটা পড়া হয় তারপর মুসল্লিরা পড়েঃ "সল্লাল্লাহু ওআ'লা মুহা'ম্মাদ…

এগুলো কি ঠিক হচ্ছে?

আমার তো দ্বীনি এলম নেই তেমন, তো হুজুর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যথার্থভাবে দিলে অনেক উপকৃত হই।।।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
১। কোনো ব্যাক্তি মারা গেলে দুই বা তিন অথবা পাঁচদিনের দিন যে দোয়া বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়, সেটা বিদ’আত।
২। এই সকল মিলাদ মাহফিল বিদ’আত।এর মধ্যে সব তাওয়ালুদগুলোই  বিদআত ।কেননা এগুলোর কোনোটিই রাসূলুল্লাহ সা. এর জমানায় ছিলনা।
৩।নবীর উপর দরুদ পাঠ উত্তম কাজ।তবে এরকম প্রচলিত নিয়মে তাওয়ালুদ পড়ার কোনো দলীল প্রমাণ নাই।নবীযুগ, সাহাবাযুগ,কোনো যুগেই এর অস্থিত্ব খুজে পাওয়া যায় না।

বিদ'আত কাকে বলে?
عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]، وفي رواية لمسلم: ((من عمِل عملًا ليس عليه أمرنا فهو رَدٌّ)).
মর্মার্থ- দ্বীনে ইসলামে নতুন কিছু আবিস্কার করা,সংযোজিত করার নামই হল বিদআত।

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জনের উত্তম মাধ্যম।আল্লাহ তা'আলা নবীর উপর দুরুদ পাঠের নির্দেশ দিচ্ছেন।এবং পাঠকারীদের প্রশংসা করেছেন।এবং এই দুরুদ পাঠকে গোনাহ মাফের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।প্রয়োজন পূরণের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠِّﻤُﻮﺍ ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।(সূরা আহযাব-৫৬)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
 ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﻋَﻠَﻲَّ ﺻَﻠَﺎﺓً ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﻬَﺎ ﻋَﺸْﺮًﺍ
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবে।(সহীহ মুসলিম-৩৮৪)

তবে সংখ্যা নির্দিষ্টকরে দরুদ পাঠ করার কোনো বৈধতা নাই।বিস্তারিত জানুন- ১১০৪

ঠিকতেমনি নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতির মাধ্যমেও দরুদ পাঠের কোনো বৈধতা নাই।কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে বসে বা দাড়িয়ে নির্দিষ্ট কিছু বাক্য উচ্ছারণ এবং উক্ত বাক্যর ফাঁকে ফাঁকে দরুদ পাঠের কোনো বৈধতা শরীয়তে নেই।এগুলো ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিল না।এগুলো বিদআত,পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক।আমীন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 3463


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...