আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in পবিত্রতা (Purity) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
মুহতারাম,

১।এক ব্যক্তির ফোড়া থেকে পানি ঝড়ছে। সম্ভবত নিয়ম হল তিনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য আলাদা ওযু করবেন।তাহলে যে সময় কোন ওয়াক্ত থাকে না তখন কী হুকুম? যেমন -১। সূর্য উঠার সময়টুকুতে তার ফজরে করা অজু ঠিক থাকবে কি না? বা সূর্য উঠার সময় অযু করলে সে অযু দিয়ে ইশরাক পড়তে পারবেন কি না?
২। জোহরের আগে অজু করলে সে অজু জোহরে থাকবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (619,740 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪)

لما في الدر المختار مع رد المحتار:
"(وصاحب عذر من به سلس) بول لا يمكنه إمساكه (أو استطلاق بطن أو انفلات ريح أو استحاضة) أو بعينه رمد أو عمش أو غرب، وكذا كل ما يخرج بوجع ولو من أذن وثدي وسرة (إن استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة)

بأن لا يجد في جميع وقتها زمنا يتوضأ ويصلي فيه خاليا عن الحدث (ولو حكما) لأن الانقطاع اليسير ملحق بالعدم (وهذا شرط) العذر (في حق الابتداء، وفي) حق (البقاء كفى وجوده في جزء من الوقت) ولو مرة (وفي) حق الزوال يشترط (استيعاب الانقطاع) تمام الوقت (حقيقة) لأنه الانقطاع الكامل، ونحوه (لكل فرض) اللام للوقت كما في - {لدلوك الشمس}- (ثم يصلي) به (فيه فرضا ونفلا) فدخل الواجب بالأولى (فإذا خرج الوقت بطل) أي: ظهر حدثه السابق، حتى لو توضأ على الانقطاع ودام إلى خروجه لم يبطل بالخروج ما لم يطرأ حدث آخر.

(وإن سال على ثوبه) فوق الدرهم (جاز له أن لا يغسله إن كان لو غسله تنجس قبل الفراغ منها) أي: الصلاة (وإلا) يتنجس قبل فراغه (فلا) يجوز ترك غسله، هو المختار للفتوى." (كتاب الطهارة، باب الحيض، مطلب في احكام المعذور، ج:1، ص: 306، ط: سعيد)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/50


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সূর্য উঠার সময়টুকুতে তার ফজরে করা অজু ঠিক থাকবে। বা সূর্য উঠার সময় অযু করলে সে অযু দিয়ে ইশরাক পড়তে পারবে। তবে অন্য কোনো কারণ যেমন প্রস্রাব পায়খানার দরুণ অুজ ভঙ্গ হলে তখন নতুন করে অজু করতে হবে।
(২) জোহরের আগে অজু করলে সে অজু জোহরে থাকবে না। বরং জোহরের ওয়াক্ত প্রবেশের পর নতুনকরে আবার অজু করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (31 points)
তাহলে কি ফজরের অযু দিয়ে ইশরাক পড়তে পারবেন? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...