আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু 'আলাইকুম শায়েখ,

সম্প্রতি আমি একটি পরিচিতি অনুষ্ঠানে (গেট টুগেদারে)অংশগ্রহণ করি, অংশগ্রহনে গান বাজনার বয়োজন ছিলো যা স্পষ্টত হারাম, সেখানে পরে খাওয়া -দাওয়ার পরে সেখানকার খাতিনদারদের সহায়তায় আমি হাত ধুই এবং পরিবারের সদস্যগণ পাশে থাকায় বলি যে পাশের থেকে দিবে , কিন্তু সে সে পাশে গিয়ে তাদের হাত ধোয়ায় না এবং সেখানে অন্য কেউ গিয়ে হাত ধোয়ায় এবং সেও অন্য পাশে গিয়ে হাত ধোয়ায়, পরে সে আমাদের থেকে টাকাটা পায় না,,পরের দিন আমি সেখানে (যেখানে অনুষ্ঠান ছিল) যাই,কিন্তু গিয়ে দেখি সে নেই এবং

অন্য দুইজন বা লোক সেখানে উপস্থিত ছিল এবং তাদেরকে টাকাটা দিয়ে দিই এবং তারাও বলে যে টাকাটা দিয়ে দিবে, কিন্তু আমার সন্দেহ হচ্ছিল এবং পরে তাদের ভালোভাবে জিঞ্জেস করে তাও আমি দিয়ে দিই ,,এখন আমার করণীয় কি শায়েখ,আমি কি দায়মুক্ত?আমি যদি কোনভাবে ওয়েটারদের লিডারের নাম্বার খুজেও বের করি তারপর তার মাধ্যমে তাকে টাকা দিতে চাই তাহলেও তার নাম -পরিচয় বলতে পারবো না,সে কীরকম দেখতে সেটাও স্পষ্টভাবে বলতে পারবো না,,আবার তাকে টাকা দিলে সে টাকাটা দিবে নাকি সেটাও একটা সমস্যা, তার কাছে নাম্বার চাইলে কার নাম্বার দিবে সেটাও তো আমি একদম শিউরভাবে জানতে পারবো না,,

1 Answer

0 votes
ago by (618,390 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণ অস্পষ্ট। আপনি ইডিট করে কমেন্টে বুঝিয়ে দিবেন।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...