আসসালামু 'আলাইকুম,
১. আমি মেসে থাকি, আশেপাশে তেমন দীনদার কেউ নেই, দীর্ঘদিন দীনদার সঙ্গ খুঁজে ফিরেছি। তারপর এক আপু উঠলেন মেসে, তিনি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষিকা, বোরকা পড়তেন, আমি ভাবলাম ইনি দীনদার হতে পারেন, তাই আমি তার সাথে একটু সময় কাটাতাম, তার রুমে যেতাম। কিন্তু দিন দিন বুঝতে পারলাম যে, তিনি মোটেও দীনদার নন, তিনি গান শোনেন, মুভি দেখেন, ছেলে কলিগ দের সাথে জমিয়ে আড্ডা ও দেন। সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট ইস্যু হলো উনি গীবত করেন এবং প্রচুর মিথ্যা বলেন। আমি আশাহত হলাম, বাইরের আবরণ টা দেখেই গলে গিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমি ওনাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলাম ভদ্রভাবে, কম কথা বলতাম, ওনার রুমে যাওয়া বন্ধ করলাম। এগুলো করেছি শুধুমাত্র নিজেকে বাঁচাতে, কারণ ওনার স্বভাব আমার মধ্যে যাতে না আসে, গীবত থেকে দূরে থাকতে, নিজের ঈমান এর হেফাজত করতে। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় একটা মানুষ কে এড়িয়ে চলছি, আমি কি বিদ্বেষ পোষণ করছি? ( উল্লেখ্য যে, ওনাকে আমার একদম ভালো লাগে না আর, আমি নিজের মন কে বুঝাই, কিন্তু সত্যি ভালো লাগে না ) এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমি কি ঠিক করছি?? আমার কি কিছু সংশোধোনের প্রয়োজন আছে?
২. আরেকটা ব্যাপার, প্রথম যখন ওনার সাথে মিশতাম, আমি জানতে পারি ওনার আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না আর মাদ্রাসার চাকরি করেন তার বেতন হতে সময় লাগবে। আমার সহানুভূতি জাগত এগুলো শুনে, আমি আমার সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করতাম, রান্না করলে বা বাসা থেকে কিছু পাঠালে, দিয়ে খেতাম। কিন্তু এটা কে উনি taken for granted নিয়ে নিয়েছেন, আমি সহানুভূতি দেখাই বলে উনি এগুলির সুযোগ নেন যা আমি বুঝতে পারি। উনি চান নিয়মিত আমি ওনাকে খাবার দেই বা খাওয়াই, কিন্তু আমায় পক্ষে তো তা সম্ভব নয়, আমি ছাত্রী মানুষ আর আমারও তো খেতে হবে কারণ আমি অসুস্থ ও বটে, হরমোনাল সমস্যায় ভুক্তভুগি। তবুও আমার সাধ্যমতো আমি দিতাম আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু যখন থেকে বুঝতে পেরেছি উনি সুবিধা নিচ্ছেন, আমিও দেয়া অনেক কমিয়ে দিয়েছি। তবুও দেই না তা না। এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমি যদি বুঝতে পারি কেউ আমার সহানুভূতির সুযোগ নিচ্ছে, তাকে কি সাহায্য করা উচিত? আমার কোনো ভুল ত্রুটি থাকলে আমাকে ধরিয়ে দিন, ইং শা আল্লাহ।
জাযাকুমুল্লাহু খইর