আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, আমি ২২ বছর বয়সী একজন বোন বলছি,ইসলাম সম্পর্কে আমি নিজেকে অনেক বেশি অজ্ঞ মনে করি,আমি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার চেষ্টা করি,ঘরের বাহিরে গেলে হাত পা মুজা সহ চোখ ছাড়া সমস্ত শরীর পর্দা করি,আর ফরজ এবং সুন্নত সহ হারাম হালাল মেনে চলার চেষ্টা করছি,,আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন কাউকে চাই যে আমার চেয়ে অনেক বেশি ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানী এবং সচেতন, যারসঙ্গে থাকলে আমি আরো অনেক কিছু শিখতে পারবো,,আমার বাবার অন্যত্র সংসার আছে,এবং মায়েরও,আমার বিবাহ নিয়ে কারো কোন চিন্তা নেই এবং আমি কাউকেই চিনিনা দুনিয়ায়,, ঘর ছাড়া কোথাও যাইনা,এমন অবস্থায় এরকম পাত্র খুঁজে পাওয়া আমার পক্ষে অনেক কষ্টের, দোয়া ছাড়া আমার কঁনো উপায় নেই,,,আমার প্রশ্ন হলো আমাকে যদি একজন বিবাহের প্রস্তাব দেন, যিনি শুধুমাত্র ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন (মাঝে মাঝে অনিয়ম করেন),যার দুনিয়াবি অনেক অর্জন আছে,, কিন্তু আখিরাতের ব্যাপারে ততোটা সচেতন না কিন্তু সৎ,পরোপকারী,এবং সত্যবাদী,,সে বিবাহের প্রস্তাব দিলে বাবা মা রাজি হয়ে যাবেন যেহেতু তিনি অনেক সৎ এবং দুনিয়াবী অনেক অর্জন আছে ,,,

এক, ধন-সম্পদ।

দুই,  বংশ-মর্যাদা।

তিন, রূপ-সৌন্দর্য।

চার,  ধর্মভীরুতা তথা দ্বীদদারিত্ব।

কিন্তু সে নিজেই আমাকে অনেক বেশি দ্বীনদার ভাবেন,
বিবাহ যা দেখে করা উচিৎ তার মধ্যে প্রথম ৩ টি গুণ আছে, চতুর্থটি ছাড়া/কম।

আমার কি এমন কাউকে বিয়ের জন্য হ্যা বলা উচিৎ?  বা রাজি হওয়া উচিৎ!?

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি তার বাসায় আপনাকে পূর্ণ দ্বীন মানার নিশ্চয়তা দেয়,পূর্ণ পর্দার সুযোগ দেয়ার ওয়াদা দেয়,সেক্ষেত্রে তার সাথে বিবাহ বসতে পারেন।

এক্ষেত্রে পরবর্তীতে তাকে তাবলিগে পাঠিয়ে পূর্ণ দ্বীন মানার চেষ্টা করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...