বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি কোন মুসলমান এমন কোন স্থানে থাকেন যে স্থান থেকে তিনি কিবলার দিক জানতে না পারেন তাহলে তিনি তাঁর প্রবল ধারণায় যে দিককে কিবলা মনে হয়, সেদিকে ফিরে নামায আদায় করবেন। সেক্ষেত্রে উক্ত নামাযটি পুনরায় আদায় করা তার উপর আবশ্যক হবে না। বরং তার নামায শুদ্ধ; তাকে কোন কিছু করতে হবে না।
এর সপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায় জাবের (রাঃ) এর বর্ণিত হাদিসে, তিনি বলেন: “আমরা এক যুদ্ধাভিযানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। সেদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। আমরা কিবলা জানার চেষ্টা করলাম; কিন্তু নিজেরাই একমত হতে পারলাম না। তাই আমাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা আলাদা নামায আদায় করল। আমাদের প্রত্যেকে তার সামনে একটি দাগ দিয়ে রাখল যেন পরবর্তীতে জায়গাগুলো চেনা যায়। যখন ভোর হল তখন আমরা সে দাগ দেখে বুঝতে পারলাম যে, আমরা কিবলার দিকে নয় অন্য দিকে ফিরে নামায আদায় করেছি। ফলে এ বিষয়টা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি আমাদেরকে পুনরায় নামায আদায় করার নির্দেশ দেননি। বরং বললেন: তোমাদের নামায আদায় হয়েছে।[সুনানে দারাকুতনী, মুসতাদরাক হাকেম, সুনানে বাইহাকী; আলবানী ‘ইরওয়াউল গালিল’ গ্রন্থে (২৯১) অন্যান্য হাদিসের আলোকে এ হাদিসকে ‘হাসান’ ঘোষণা করেছেন]
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি আপনি কিবলা নির্ধারণে তাহাররি তথা আপ্রাণ চেষ্টা করে তারপর কোনো একটি দিককে নির্বাচন করে সেদিকে নামায পড়ে থাকেন,তাহলে আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়ে গেছে।এতে কোনো কাযা বা কাফফারা নেইল