আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
আমি এবং আমার এক মামাতো বোন কথা বলছিলাম।তখন আমাদের একজন আত্নীয় প্রকাশ্যে আমার ঐ বোনের মা এর সাথে অনেক অনেক বেশি খারাপ আচরণ করে এটা নিয়ে কথা হয়।এই কথাগুলো আমি আগে থেকেই জানি।আমার সামনেও এই রকম খারাপ আচরণ করতে আমি দেখেছি।আমার ঐ বোনের মা সহজসরল হওয়ায় উনার উপর পরিবারের অনেকে মিলে মানসিক অত্যাচার করে,শারীরিক ও করে মাঝেমধ্যে।উনারা ওর মা এর ৬ মাসের এক সন্তানকে গর্ভপাত এর মতো প্রক্রিয়ায় মেরে ফেলে।এখন উনারা যে প্রকাশ্যে এই কাজগুলো করেন। সেটা অনেকেই জানে,তাও কথা বলতে পারে না কিছু কারণে,বা তাদের কাছে এগুলোকে অন্যায় মনেই হয় না।এখন আমার ঐ বোন তার মানসিক কষ্ট এর বিষয়গুলো আর কারো কাছে বলতে না পেরে আমার কাছে বলেছে।তখন আমিও ওকে সান্তনা দিয়েছি,বলেছি যে আল্লাহ সবকিছুর বিচার করবেন।এভাবে যে আমরা উনাদের কার্যকলাপ নিয়ে কথা বলেছি এটা কি গিবত হয়েছে।


হলে এখন আমার করণীয় কি?আমি উনাদের কাছে গিয়ে মাফ চাওয়ার মতো পরিবেশ ও নেই।এখন কিভাবে তাওবাহ করলে আল্লাহ কবুল করবেন।

1 Answer

0 votes
ago by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك. 
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1715


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু ঐ জুলুম নির্যাতনের কথা আপনি জানেন, এবং ঐ জুলুম নির্যাতন প্রায় প্রকাশ্যে হয়ে থাকে, কাজেই  ঐ বোন যে তার মানসিক কষ্ট এর বিষয়গুলো আপনার কাছে বলেছে, এজন্য এটা গীবতের আওতাধীন হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...