আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম,
কোনো ছেলের বড় ২ বোন আছে কোনো ভাই নেই.।।ছেলেটির ২ মেয়ে আছে কোনো ছেলে নেই।।.বোনদের প্রত্যেকের ছেলে আছে,...

ছেলের চাচাতো মামাতো ভাই আছে

আমার প্রশ্ন হলে কারো ছেলে না থাকলে ভাই বা ভাইয়ের ছেলেরা সম্পত্তির একটা অংশ পায়। উল্লেখিত ক্ষেত্রে যেহেতু ছেলের ২ মেয়ে এবং ছেলের কোনো ভাই নেই সেই ক্ষেত্রে ছেলে মারা গেলে তার সম্পত্তি ভাগের নিয়মটি কি হবে...?


বি: দ্র: আমি এই প্রশ্ন টি আগে করেছি। কিন্তু আমার উপস্থাপনে ভুলের জন্য কাংখিত উত্ত্র পাই নি। আমার প্রশ্নটা হলো যদি ছেলে মারা যায় সে ক্ষেত্রে তার সম্পদ কিভাবে ভাগ হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (616,530 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত ছেলে মারা গেলে যেহেতু তার দুই মেয়ে আছে কোনো ছেলে নাই, তাই তার সম্পত্তি দুই তৃতীয়াংশ দুই মেয়ে পাবে। বাদবাকি অংশ চাচাতো ভাই বা তাদের ছেলে/সন্তানরা পেয়ে যাবে।

উক্ত ছেলে মারা যাওয়ার সময় যদি তার বোনরা ও মেয়েরা জীবিত থাকে তাহলে মেয়েরা দুই তৃতীয়াংশ নেয়ার পর অবশিষ্ট অংশ বোনরা আসাবাহ হিসেবে পেয়ে যাবে।

ফারাঈয তথা সম্পদ বন্টনের মাস'আলার ক্ষেত্রে কাল্পনিক মাস'আলার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নাই। কেননা এখানে অনেক বিষয় দেখে শুনে বুঝে তারপর মাস'আলা বর্ণনা করতে হয়। সুতরাং এভাবে কাল্পনিক মাস'আলা জানতে ইচ্ছে হলে সরাসরি কোনো আলেমের শরণাপন্ন হবেন, তাহলে আপনি আরো বেশী উপকৃত হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...