আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
১)ধরুন আমি চাইলাম আমার জীবনে তাই ঘটুক যা আল্লাহ চান।আমি তার সব ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট। কিন্তু আমি আবার আমার পছন্দের জিনিসের জন্য দুয়া করি। যেমন আমার ওই চাকরি টা ভালো লাগে, আমি যেন ওটা পাই।ওই ব্র‍্যান্ডের গাড়ি আমার পছন্দ, ওতা যেন পাই এরকম।

তো আমি যে চাচ্ছি আল্লাহ যা চান তাই হোক, সাথে আমার ইচ্ছাও পুরন হোক এতে কি শিরক হবে??

২)মানে আমি আল্লাহকে যদি বলি তিনি যা দিবেন আমি তাতেই রাজি,কোন অভিযোগ নেই।কিন্তু আমি চাই আমার ইচ্ছা গুলো পুরন হোক আর সেজন্য যদি দুয়া করি যে আমি যেন ওই চাকরি, ওই গাড়ি পাই তবে কি শিরক বা গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (65,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

https://ifatwa.info/41573/  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, কুরআন কারীমে ইরশাদ হয়েছেঃ

قَالَ عِیۡسَی ابۡنُ مَرۡیَمَ اللّٰہُمَّ رَبَّنَاۤ اَنۡزِلۡ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ تَکُوۡنُ لَنَا عِیۡدًا لِّاَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰیَۃً مِّنۡکَ ۚ وَ ارۡزُقۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ ﴿۱۱۴

মারইয়াম-তনয় ঈসা বললেন, হে আল্লাহ আমাদের রব! আমাদের জন্য আসমান থেকে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা পাঠান; এটা আমাদের ও আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সবার জন্য হবে আনন্দোৎসব স্বরূপ এবং আপনার কাছ থেকে নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান করুন; আপনিই তো শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা। (সুরা মায়েদা ১১৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ وَرَّادٍ، مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَىُّ شَىْءٍ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : إِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ فَأَمْلَاهَا الْمُغِيرَةُ عَلَيْهِ وَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ "

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাতের সালাম ফিরানোর পর কোন দু‘আ পাঠ করতেন তা জানার জন্য মু‘আবিয়াহ (রাঃ) মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহর কাছে পত্র লিখলেন। অতঃপর মুগীরাহ (রাঃ) মু‘আবিয়াহর (রাঃ) নিকট পত্রের জবাব লিখে পাঠালেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বায়তা ওয়ালা মু‘ত্বি‘আ লিমা মানা‘তা ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দু মিনকাল জাদ্দ।’’

বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ সলাতের পর যিকর, হাঃ ৮৪৪), মুসলিম (অধ্যায় : মাসাজিদ, অনুঃ সলাতের পর যিকর করা মুস্তাহাব,আবু দাউদ ১৫০৫।)

সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে হবে।

এই দোয়া পাঠ করবেনঃ

 ۚ وَ ارۡزُقۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ

ফরজ নামাজের পর এই দোয়া বলতে হবেঃ

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

এই দোয়াও পাঠ করতে পারেনঃ

لا غِنَى بي عن بَرَكَتِكَ

উচ্চারণ : ইয়া রব্বি, লা-গিনান বি- আন-বারাকাতিক।

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনার বরকত থেকে আমি অমুখাপেক্ষী নই।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এ দোয়া করতেন-

আরবি :

اللَّهُمَّ إِنِي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعفَافَ، والغنَى

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকাল হুদা ওয়াততুক্বা ওয়াল আ’ফাফা ওয়াল গিনা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, চরিত্রের নির্মলতা ও আত্মনির্ভরশীলতা প্রার্থনা করছি। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৮৯)

সুতরাং এই দোয়াও পাঠ করতে পারেন। সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দোয়া করার পাশাপাশি আরো যেসমস্ত আমল করতে হবে,তা হলোঃ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, তওবা করা, তাকওয়া অবলম্বন করা, আল্লাহর উপর ভরসা করা,শুকরিয়া আদায় করা, যথাযথভাবে আল্লাহর ইবাদত করা, আল্লাহর রাস্তায় দান করা,করজে হাসানাহ দেয়া, অবিবাহিত হলে বিবাহ করা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্যে এজাতীয় দোয়া করা জায়েয আছে। এতে শিরক হবে না। তবে উত্তম হলো এভাবে দোয়া করা যে, আল্লাহ অমুক বস্তুতে যদি আমার জন্য কল্যাণ থাকে তাহলে আমাকে তা দান করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...