আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
ধরুন একটা সরকারি‌ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে, নিয়োগ পরিক্ষা না নিয়ে লবিং এর মাধ্যমে নিয়োগ দিলো। আমি সেই পদের জন্য যোগ্য। কোন অর্থ লেনদেন ছাড়া মৌখিক সুপারিশের মাধ্যমে আমি সেই পদে নিয়োগ পেলাম। ইসলামের দৃষ্টিতে এই চাকরি করা কি হারাম হবে? বাংলাদেশ দেশে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এই সিস্টেমের বাইরে যাওয়া আমার একার পক্ষে কঠিন। বর্তমানে চাকরি টি পাওয়া আমার জন্য খুব জরুরী। সুপারিশ না পেলে আমাকে হয়তো কোনদিনই মূল্যায়ণ করা হবে না। এমতাবস্থায় চাকরি টি আমার জন্য হালাল হবে কি? বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত। আশা করি সঠিক সমাধান পাবো ইনশাআল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (65,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

https://ifatwa.info/3956/ নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, শরীয়তের বিধান হলো যদি প্রার্থিত পদের কেহ যোগ্য হয়, যোগ্য হওয়া সত্বেও সুপারিশ, ঘুষ ছাড়া উক্ত পদ পাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে প্রয়োজনে সুপারিশ করিয়ে চাকরি নেওয়া , বা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া  জায়েজ আছে। এক্ষেত্রে ঘুষদাতা গোনাহগার হবে না, ঘুষগ্রহিতা গোনাহগার হবে।

পদটির অযোগ্য হলে ঘুষদাতা দুইটি গোনাহের ভাগিদার হবে। যথা-

১- ঘুষ দেয়ার গোনাহ।

২- অযোগ্য হয়ে পদ দখল করার গোনাহ।

কিন্তু ঘুষ নেয়া কোন অবস্থাতেই জায়েজ নয়। সর্ববস্থায় ঘুষ নেয়া হারাম।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: ” لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالْمُرْتَشِيَ (مسند احمد، رقم الحديث- 6830، سنن ابن ماجه، رقم الحديث- 2313 ، سنن ابى داود، رقم الحديث- 3580، سنن ترمذى، رقم الديث- 1336

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতাকে অভিসম্পাত করেছেন

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَا حَدَّثَنَا خَلَفٌ يَعْنِي ابْنَ خَلِيفَةَ عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ عَنْ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ الْقَاضِي إِذَا أَكَلَ الْهَدِيَّةَ فَقَدْ أَكَلَ السُّحْتَ وَإِذَا قَبِلَ الرِّشْوَةَ بَلَغَتْ بِهِ الْكُفْرَ وَقَالَ مَسْرُوقٌ مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فَقَدْ كَفَرَ وَكُفْرُهُ أَنْ لَيْسَ لَهُ صَلَاةٌ

কুতায়বা ও আলী ইবন হুজুর (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন বিচারক যখন কোন উপঢৌকন গ্রহণ করে, তখন সে যেন হারাম খায়, আর যখন সে ঘুষ গ্রহণ করে, তখন সে কুফরী পর্যন্ত পৌছায়। মাসরুক (রহঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি শরাব পান করে, সে কাফির হয়ে যায়। তার কুফরী এই যে, তার নামায কবুল হয় না। (নাসায়ী ৫৬৬৫)

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ : «مَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الزِّنَا إِلَّا أُخِذُوا بِالسَّنَةِ وَمَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الرِّشَا إِلَّا أُخِذُوْا بِالرُّعْبِ». رَوَاهُ أَحْمَدُ

 ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে জাতির মাঝে যিনা-ব্যভিচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তারা দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনে পতিত হবে। আর যে জাতির মাঝে ঘুষের ব্যাপক প্রচলন শুরু হবে তারা ভীরুতা ও কাপুরুষতায় পতিত হবে। (আহমাদ১৭৮২২, য‘ঈফাহ্ ১২৩৬, য‘ঈফ আল জামি‘ ৫২১১, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১১৬২।)

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

আবূ মূসা মুহাম্মদ ইবনু মুছান্না (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষখোর এবং ঘুষদাতার উপর লা‘নত করেছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী] ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ (তিরমিজি ১৩৪১)

ফাতহুল কদীর গ্রন্থে এসেছে

دفع المال للسلطان الجائر لدفع الظلم عننفسه وماله ولاستخراج حق له ليس برشوة يعني في حق الدافع (رد المحتار، كتاب الحظر ولاباحة-9/607، فتح القدير، كتاب ادب القاضى-7/255، البحر الرائق، كتاب القضاء-6/262

কেহ যদি জালেম বাদশাহ কে সম্পদ দেয়,তার জুলুম থেকে বাঁচার জন্য,,,,  তাহলে প্রদান কারীর পক্ষে  এটা ঘুষ নয়।  তবে গ্রহিতার জন্য এটা ঘুষ।  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চাকুরির ক্ষেত্রে চাকুরিপ্রার্থী যদি যোগ্য হয় এবং কোন মাধ্যমে নিয়োগকর্তাকে সুপারিশ করিয়ে চাকুরি টি নেয়, তাহলে তা জায়েজ হবে।  কোনো সমস্যা নেই।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...