আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমার স্বামী ঘটনাক্রমে কথায় কথায় আমাকে বলে ফেলে 'ঠিক আছে তুমি  আমাকে ডিভোর্স দাও'। আমিও প্রত্যুত্তরে বলে ফেলি, আচ্ছা, আমি তোমাকে ডিভোর্স দিলাম। যদিও তাকে তালাক দেওয়ার কোন ইচ্ছা ঐ মুহূর্তে আমার ছিলো না, কথাটা অন্য সাধারণ কথার মতোই আমার অসচেতনতায় মুখ থেকে বেরিয়ে যায়। তাঁর শারীরিক অক্ষমতা আছে এই নিয়ে বিয়ের পর থেকেই আমি একধরনের মনোকষ্টে থাকি কিন্তু তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি তাঁর চিকিৎসার জন্য অন্তত এক বছর সময় নিতে চেয়েছিলাম এবং আলহামদুলিল্লাহ কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা শুরু থেকেই ছিল তবে এই ঘটনার সময় এরকম কিছু আমার মাথায় কিংবা মনেও ছিল না। পরবর্তীতে সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার পর আমি তালাক হয়ে গেছে কি না এই নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়ে যাই। এর আগে আমার জানা ছিল না যে, স্ত্রী মৌখিকভাবে তালাক দিতে পারে। আমি কাবিননামা দেখে জানতে পারি কাবিননামার ১৮ নং শর্তানুযায়ী আমাকে তালাকের অধিকার দেয়া আছে। তবে এটা শুধু আমার স্বামী জানতেন, আমি জানতাম না। তবে আমার স্বামীর ভাষ্যমতে, কাবিননামার শর্তগুলো তাকে পড়ে শোনানোর সময় তিনি মনে মনে আমাকে খোলা তালাক নেওয়ার অধিকার দিয়েছিলেন। আমি পরে জেনেছি যে, স্ত্রী স্বামীকে দেনমোহর আদায় করে খোলা তালাক দিতে পারে। আমার স্বামী আগে থেকেই তালাকের বিধানগুলো জানেন তাই তিনি এটাকে তালাক বলে স্বীকার করেন না। কিন্তু আমার মনে সংশয় রয়ে গেছে আসলেই তার সাথে আমার কোন তালাক পতিত হয়েছে কি না যেহেতু আমাকে তালাকের অধিকার দেয়া আছে। আমার জানা দরকার অসতর্কতায় আর তালাকের বিধান না জানা অবস্থায় 'আমি তোমাকে ডিভোর্স দিলাম' -আমার এই কথা  উচ্চারণে কোন তালাক পতিত হয়েছে কি না? হলে সেটা কয় তালাক বলে গণ্য হবে? দয়া করে উত্তরটা দিবেন। জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ- স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/52353

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু স্বামীর নিয়ত বা উদ্দেশ্য খোলা তালাকের অধিকার স্ত্রীকে দেয়া। তাই ১৮ নং কলামের দ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হবে না।  তাছাড়া স্ত্রী কখনো তার স্বামীকে তালাক দিতে পারে না। বরং স্ত্রী নিজের উপর তালাক গ্রহণ করতে পারে। কাজেই প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...