ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বর্তমানে রোযা রাখতে অক্ষম ব্যক্তির ভবিষ্যতে যদি সুস্থতার কোনো আশাই না থাকে, তাহলে সে প্রতি রোযার পরিবর্তে একটি করে ফিদয়া দিবে নতুবা ফিদয়া দিলে হবে না। যদি তার ফিদয়া দেয়ার কোনো সামর্থ্য না থাকে, তাহলে সে ইস্তেগফার করবে।
لما في البحر الرائق شرح كنز الدقائق :
"ولأن الفدية لاتجوز إلا عن صوم هو أصل بنفسه لا بدل عن غيره فجازت عن رمضان وقضائه والنذر، حتى لو نذر صوم الأبد فضعف عن الصوم لاشتغاله بالمعيشة له أن يطعم ويفطر، لأنه استيقن أن لايقدر على قضائه وإن لم يقدر على الإطعام لعسرته يستغفر الله تعالی".(كتاب الصوم،باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده،فصل في عوارض الفطر في رمضان،2 / 308ط:دار الكتاب الإسلامي)
وفي الفتاوی الشامية:
"(وللشيخ الفاني العاجز عن الصوم الفطر ويفدي) وجوبا ولو في أول الشهر وبلا تعدد فقير كالفطرة لو موسرا وإلا فيستغفر الله." (كتاب الصوم،باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده،فصل في العوارض المبيحة لعدم الصوم،2/ 427،ط:سعید)
রোযার ফিদয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/80867
(২)
যেহেতু আশপাশে কেউ কুরআন শিখানোর নেই, তাহলে আপনি যতটুকু জানেন, সেগুলো শিখাতে পারবেন। তবে আপনি চেষ্টা করবেন নিজে বিশুদ্ধ ভাবে তিলওয়াত শিখতে। এবং তাদেরকেও আরো আরো বিশুদ্ধতার যে প্রয়োজন রযেছে, সে সম্পর্কে সম্যক অবগত রাখবেন। এবং বলে দিবেন, যখন তাদের সামনে সুযোগ আসবে, তখনই যেন কুরআন শিক্ষার চেষ্টা করে।
(৩)
স্বামীর ইনকাম হারাম হলে স্ত্রীর করণীয় কি?
সে সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/782
স্বামীর ইনকাম হারাম হলে, স্ত্রীর জন্য স্বামীর ঐ হারাম ইনকাম থেকে জরুরত পর্যন্ত গ্রহণ করার সুযোগ থাকবে।
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে হাত খরচ বাবদ হারাম ইনকামের টাকা দেয় , এবং স্ত্রী যদি সেই হারাম টাকা দিয়ে কোন হালাল ইনকাম সোর্স তৈরি করে , তাহলে সেই ইনকাম হালাল হবে, কিন্তু মূলধন সদকাহ করতে হবে।