هذا الحديث رواه الطبراني في "المعجم الأوسط" (235) ، وفي "المعجم الكبير" (11509) ، وأبو نعيم في "الحلية" (3/206) ، وإسماعيل الأصبهاني في "الترغيب والترهيب" (2/331) ، والخلعي في "الفوائد المنتقاة" (2/153) ، والخطيب في "تاريخه" (9/295) كلهم من طريق هَانِئ بْن الْمُتَوَكِّلِ قَالَ: نا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( مَنْ قَالَ: جَزَى اللَّهُ عَنَّا مُحَمَّدًا بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ، أَتْعَبَ سَبْعِينَ كَاتِبًا أَلْفَ صَبَاحٍ ) .
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিম্নের দরূদ পাঠ করবে তার সওয়াব লেখার জন্য সত্তর জন ফেরেশতাকে এক হাজার দিন পর্যন্ত মশগুল রাখা হবে।
উচ্চারণ : জাজাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মাহুয়া আহলুহু।
وقال الطبراني عقبه : " لَمْ يَرْوِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عِكْرِمَةَ إِلَّا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، وَلَا عَنْ جَعْفَرِ إِلَّا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، تَفَرَّدَ بِهِ : هَانِئُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ " .
وقال أبو نعيم عقبه : " هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ وَجَعْفَرٍ وَمُعَاوِيَةَ ، تَفَرَّدَ بِهِ هَانِي بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْإِسْكَنْدَرَانِيُّ " .
وهانئ بن المتوكل هذا متروك الحديث ، قال ابن حبان كانت تدخل عليه المناكير وكثرت ، فلا يجوز الاحتجاج به بحال ، وقال أبو حاتم الرازي أدركته ولم أكتب عنه "لسان الميزان" (6 /186) .
وأورد الشيخ الألباني رحمه الله هذا الحديث في "الضعيفة" (5109) من هذا الطريق وقال " منكر "
أخرجه محمد بن خلف وكيع في "أخبار القضاة" (3/ 273) ، وقوام السنة في "الترغيب والترهيب" (2/331) من طريق جعفر بْن عيسى الْحَسَني القاضي قَالَ: حَدَّثَنَا رشيد بْن سعد عَن معاوية بْن صالح ، به .
وهذا إسناد واه أيضا ، جعفر بن عيسى : قال أبو حاتم: جهمى ضعيف ، وقال أبو زرعة : صدوق .
"ميزان الاعتدال" (1 /413) .
وذكره الذهبي في "الضعفاء" (1/133) .
ورُشَيد بن سعد : ، قال ابن معين : " ليس حديثه بشيء" اهـ من "تاريخ يحي بن معين، رواية ابن محرز" (1/51) .
فهذا الحديث ضعيف الإسناد جدا بطريقيه
,
সারমর্মঃ
উক্ত হাদীসের ক্ষেত্রে মুহাদ্দীসিনের কেরামগনের অনেক মত রয়েছে। কেহ কেহ উক্ত হাদীসকে গরীব বলেছেন,কেহ কেহ জয়ীফ বলেছেন।
,
ফজিলতের ক্ষেত্রে জয়ীফ হাদীস আমল যোগ্য।
উক্ত হাদীস বলা যাবে।
আরো জানুনঃ
.
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়সাল্লাম, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উমর, হযরত উসমান, হযরত আলী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর, হযরত আবুযর গিফারী রা. ও আহলে ছুফ্ফা সকলেই মসজিদে ঘুমিয়েছেন। তাই তাবেয়ী-তবে তাবেয়ীনের অনেকেই মসজিদে ঘুমিয়েছেন এবং নির্দ্বিধায় মসজিদে ঘুমানোকে জায়েয বলেছেন। ফলে প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের ইমামগণ, আবু হানীফা, মালেক, শাফেয়ী ও আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. প্রয়োজনে মসজিদে ঘুমানোকে জায়েয বলেছেন। তবে ইমাম মালেক ও আহমদ রহ. বলেছেন, নিজের পৃথক ঘুমানোর জায়গা থাকা সত্ত্বেও মসজিদকে নিয়মিত ঘুমানোর জায়গা বানিয়ে নেয়া উচিত নয়। হাঁ ইবাদত ও নেক কাজের উদ্দেশ্যে সকল মাযহাবেই নির্দ্বিধায় মসজিদে ঘুমানো জায়েয। (দ্র. ফাতহুল বারী, ইবনে রজব, ই‘লামুস্-সাজিদ বিআহ্কামিল মাসাজিদ, মুহাম্মদ ইবনে আব্দিল্লাহ যারকাশী (মৃ.৭৯৪ হি.) পৃ. ৩০৫-৩০৭)