আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
১)ফজর সুন্নাত কি ফরজের পরে পরা যায়??

২)কোন একজন মানুষ আগে ইবাদাত করত,আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা নিয়ে আর জান্নাত লাভের আশায়।
হঠাত একটা মেয়েকে তার ভালো লাগে। কথা হয়।মেয়েটার ও তাকে ভালো লাগে। তারা সিদ্ধান্ত নেয়,বিয়ের আগে কোন যোগাযোগ করবে না।তারপর ছেলে টার হঠাত করে বুঝতে পারে, এই মেয়ের উছিলায় তার ইবাদাত এর উদ্দেশ্য বদলে গেছে।

সে এখন শুধু জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করে।আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় না।

তার মনে হইল ওই মেয়েকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত বাদ দেই,তাহলে হয়তো এই সমস্যা হবে না।কিন্তু মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত বাদ দিলে মেয়েটা খুব কষ্ট পাবে,ছেলে টাও চায় মেয়েটাকে বিয়ে করতে।

তো এখন এই ছেলের মনে হইল,এই যে মেয়েটাকে মনে ব্যাথা দিতে না চেয়ে যে সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত বাদ দিচ্ছে না,আল্লাহর সন্তুষ্টির আশা বাদ দিয়ে শুধু জান্নাত লাভের জন্য ইবাদাত করে যাচ্ছে।

মানে দেখতে গেলে এই মেয়েকে খুশি রাখতে গিয়ে এই ছেলে নিজের ইবাদাত থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা বাদ দিয়ে দিল।

ক) এতে কি শিরক হবে??

খ)আর যদি শিরক হয়,তখন যদি ছেলে টা চায় জান্নাত ও লাভ হোক, এই মেয়েও খুশি থাক,মেয়েটাকে বিয়ে করে নিবে এখনই, আর যেন মেয়েটার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা বাদ দিয়ে শিরক না হয়,তাই এখন ইবাদাতের সময় জোর করে মুখে সে বলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা ও জান্নাতের আশায় ইবাদাত করছি।মানে সে এখন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা করে ইবাদাত করছে,যেন শিরক না হয়।

মুল উদ্দেশ্য কিন্তু যেন জান্নাত লাভ হয় আর ওই মেয়েটা মন খারাপ না করে।

এমতাবস্থায় ও কি শিরক হবে???

গ)ছেলেটার করনিয় কি?

এই মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত বাদ দিলেই কিন্তু এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।
এর মধ্যে একবার এই মেয়ে কে বিয়ের সিদ্ধান্ত বাদ দিয়েছিল এই ছেলে।
তখন আর এই সমস্যা হয় নি।

সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ও জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করতে পারছিল।

এখন এই ছেলের সামর্থ্য আছে বিয়ে করার।

তার কি উচিত এই মেয়েকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নেওয়া?

নাকি এই মেয়েকেই বিয়ে করে নেওয়া,আর জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করে যাওয়া?

(উল্লেখ্য মেয়েটাকে খুব পছন্দ ছেলেটার)

ঘ)   এই ছেলে যদি এখন এই মেয়েকে বিয়ে করে, জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করে যায়,আল্লাহর সন্তুষ্টির আশা না করেই তবে কি শিরক হবে??

1 Answer

0 votes
by (592,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ফজরের সুন্নাত কাযা হয়ে গেলে সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে নিয়ে জোহরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত (নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত) পড়া যাবে।  

এর পরও যদি পড়া না হয়,তাহলে আর সেটার কাযা আদায় করার সুযোগ নেই।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/১১২)

হাদীস শরীফে এসেছে    

وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)

 ولم تقض سنة الفجر إلا بفوتہا مع الفرض إلی الزوال (حاشیة الطحطاوي علی المراقي: ۴۵۳)
সারমর্মঃ-
ফজরের সুন্নাতের কাজা আদায় করতে হবেনা,কিন্তু ফজরের ফরজের সাথেই যদি তাহা ছুটে যায়,সেক্ষেত্রে সূর্য ঢলে যাওয়ার আগেই তার কাজা আদায় করা যাবে।

আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফজর সুন্নাত আদায় না করতে পারলে সেক্ষেত্রে উক্ত সুন্নাত নামাজ ফজরের ফরজের পরপরই নয়,বরং সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে (ইশরাকের ওয়াক্ত হতে) নিয়ে জোহরের ওয়াক্ত আসার আগেই কাজা করে নিতে হবে।

এরপর আর কাজা করার সুযোগ থাকবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে সে ছেলেটি জান্নাত লাভের আশায় যে এবাদত করছে, এতে তার শিরক হবে না।

তার যেহেতু সামর্থ্য রয়েছে এখন বিবাহ করার তাই তার প্রতি পরামর্শ থাকবে এখনই বিবাহ করে নেওয়ার এবং তার নিয়তকে খালেস করে এবাদত করার।

সব এবাদতের শুরুতে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবাদত করছি এমনভাবে নিয়ত করতে হবে। মনকে মানিয়ে নিতে হবে।

যেহেতু সে উক্ত মেয়েটিকে বিবাহ করার ওয়াদা করেছে, তাই সে চাইলে সেই ওয়াদাটি পূরণ করতে পারে, আবার যদি সমস্যা মনে করে, সেক্ষেত্রে সে চাইলে অন্য মেয়েকে বিবাহ করতে পারে,ইসলাম এক্ষেত্রে কোন ভাবে  তাকে নির্দিষ্ট সেই মেয়েটিকে বিবাহ করতে বাধ্য করেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...