১)ফজর সুন্নাত কি ফরজের পরে পরা যায়??
২)কোন একজন মানুষ আগে ইবাদাত করত,আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা নিয়ে আর জান্নাত লাভের আশায়।
হঠাত একটা মেয়েকে তার ভালো লাগে। কথা হয়।মেয়েটার ও তাকে ভালো লাগে। তারা সিদ্ধান্ত নেয়,বিয়ের আগে কোন যোগাযোগ করবে না।তারপর ছেলে টার হঠাত করে বুঝতে পারে, এই মেয়ের উছিলায় তার ইবাদাত এর উদ্দেশ্য বদলে গেছে।
সে এখন শুধু জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করে।আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় না।
তার মনে হইল ওই মেয়েকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত বাদ দেই,তাহলে হয়তো এই সমস্যা হবে না।কিন্তু মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত বাদ দিলে মেয়েটা খুব কষ্ট পাবে,ছেলে টাও চায় মেয়েটাকে বিয়ে করতে।
তো এখন এই ছেলের মনে হইল,এই যে মেয়েটাকে মনে ব্যাথা দিতে না চেয়ে যে সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত বাদ দিচ্ছে না,আল্লাহর সন্তুষ্টির আশা বাদ দিয়ে শুধু জান্নাত লাভের জন্য ইবাদাত করে যাচ্ছে।
মানে দেখতে গেলে এই মেয়েকে খুশি রাখতে গিয়ে এই ছেলে নিজের ইবাদাত থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা বাদ দিয়ে দিল।
ক) এতে কি শিরক হবে??
খ)আর যদি শিরক হয়,তখন যদি ছেলে টা চায় জান্নাত ও লাভ হোক, এই মেয়েও খুশি থাক,মেয়েটাকে বিয়ে করে নিবে এখনই, আর যেন মেয়েটার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা বাদ দিয়ে শিরক না হয়,তাই এখন ইবাদাতের সময় জোর করে মুখে সে বলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা ও জান্নাতের আশায় ইবাদাত করছি।মানে সে এখন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা করে ইবাদাত করছে,যেন শিরক না হয়।
মুল উদ্দেশ্য কিন্তু যেন জান্নাত লাভ হয় আর ওই মেয়েটা মন খারাপ না করে।
এমতাবস্থায় ও কি শিরক হবে???
গ)ছেলেটার করনিয় কি?
এই মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত বাদ দিলেই কিন্তু এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।
এর মধ্যে একবার এই মেয়ে কে বিয়ের সিদ্ধান্ত বাদ দিয়েছিল এই ছেলে।
তখন আর এই সমস্যা হয় নি।
সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ও জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করতে পারছিল।
এখন এই ছেলের সামর্থ্য আছে বিয়ে করার।
তার কি উচিত এই মেয়েকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নেওয়া?
নাকি এই মেয়েকেই বিয়ে করে নেওয়া,আর জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করে যাওয়া?
(উল্লেখ্য মেয়েটাকে খুব পছন্দ ছেলেটার)
ঘ) এই ছেলে যদি এখন এই মেয়েকে বিয়ে করে, জান্নাত লাভের আশায় ইবাদাত করে যায়,আল্লাহর সন্তুষ্টির আশা না করেই তবে কি শিরক হবে??