আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
এক্ষেত্রে আমার আকিদা কি হওয়া উচিত একটু বলবেন প্লিজ?  যদি কোনো কাজ এর চিন্তা করার সময় বা সিদ্ধান্ত নেয়ার চিন্তামাথায়  ঘোরাফেরা করার সময় কুরআনের  কোনো আয়াত চোখে পড়ে তাহলে কি সেটা আল্লাহর উত্তর? বা আমি যদি মনে মনে এরকম ভাবি যে একটা সিদ্ধান্তের কথা তারপর কুরআনের আয়াত বের করে ভাবি যে আয়াতে এখন চোখ পড়বে সেটাই আমার সিদ্ধান্তের উত্তর, এমন ভেবে যদি দেখি শুধু ভয়ংকর আয়াত ই চোখে পড়ে যেমন,  এতে তুমি কাফির হয়ে যাবে এরকম কিছু, তাহলে কি  এই আয়াত সেটাই এই সিদ্ধান্তের উত্তর এটা বিশ্বাস করতে হবে???  এই বিশ্বাস করাটা কি ফরজ বা ওয়াজিব???? এটি আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্দেশ এটা বিশ্বাস না করলে বা  আমার নিজের তখন নেয়া সিদ্ধান্ত ক্যানসেল না করলে   কি কাফির হয়ে যাবো??? মানে এরকম  সময় কি আকিদা পোষণ করবো??? আর হযরত,  যদি সেই সিদ্ধান্তের প্রতি ( যে সিদ্ধান্ত মনে আসার পর কুরআনে ধমকির আয়াত চোখে পড়েছে) মনে দুর্বলতা থেকে  যায়, তাহলে কি ভবিষ্যৎ এ আমার কাফির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে???   মানে সেই সিদ্ধান্ত কি বাস্তবায়ন করার আর চেষ্টা করা যাবেনা? তাহলে ও কাফির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে???

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি কোনো কাজ এর চিন্তা করার সময় বা সিদ্ধান্ত নেয়ার চিন্তামাথায়  ঘোরাফেরা করার সময় কুরআনের  কোনো আয়াত চোখে পড়ে, তাহলে সেটা আল্লাহর উত্তর নয়।
এটি আপনার অবান্তর ধারণা। 

বা আপনি যদি মনে মনে এরকম ভাবেন যে একটা সিদ্ধান্তের কথা তারপর কুরআনের আয়াত বের করে ভাবি যে আয়াতে এখন চোখ পড়বে সেটাই আমার সিদ্ধান্তের উত্তর, এমন ভেবে যদি দেখি শুধু ভয়ংকর আয়াত ই চোখে পড়ে যেমন,  এতে তুমি কাফির হয়ে যাবে এরকম কিছু, তাহলে এই আয়াত সেটাই, এই সিদ্ধান্তের উত্তর এটা বিশ্বাস করতে হবেনা।

 এই বিশ্বাস করাটা জায়েজই নয়।

এটি আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্দেশ এটা বিশ্বাস না করলে বা আপনার নিজের তখন নেয়া সিদ্ধান্ত ক্যানসেল না করলে আপনি কাফির হয়ে যাবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...