জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি কোনো কাজ এর চিন্তা করার সময় বা সিদ্ধান্ত নেয়ার চিন্তামাথায় ঘোরাফেরা করার সময় কুরআনের কোনো আয়াত চোখে পড়ে, তাহলে সেটা আল্লাহর উত্তর নয়।
এটি আপনার অবান্তর ধারণা।
বা আপনি যদি মনে মনে এরকম ভাবেন যে একটা সিদ্ধান্তের কথা তারপর কুরআনের আয়াত বের করে ভাবি যে আয়াতে এখন চোখ পড়বে সেটাই আমার সিদ্ধান্তের উত্তর, এমন ভেবে যদি দেখি শুধু ভয়ংকর আয়াত ই চোখে পড়ে যেমন, এতে তুমি কাফির হয়ে যাবে এরকম কিছু, তাহলে এই আয়াত সেটাই, এই সিদ্ধান্তের উত্তর এটা বিশ্বাস করতে হবেনা।
এই বিশ্বাস করাটা জায়েজই নয়।
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্দেশ এটা বিশ্বাস না করলে বা আপনার নিজের তখন নেয়া সিদ্ধান্ত ক্যানসেল না করলে আপনি কাফির হয়ে যাবেননা।