আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
১/ স্বপ্নে প্রায়ই দেখি শাড়ি । কেউ আমাকে গিফট করতেছে বা কারো থেকে আমি শাড়ি নিচ্ছি।
স্বপ্নে শাড়ি দেখলে কি হয়??
২/ স্বপ্নে জুতা দেখলে কি হয়?

  স্বপ্নে অনেকগুলো  নতুন জুতা দেখছি, আমার বাবা অনেকগুলো জুতা এনে খাটের উপর রাখছে তারপর আমি আমার আম্মুকে ছোট ফুপিকে জুতা ভাগ করে দিতেছি আমি নিজেও কিছু জুতা রাখছি। যে জুতাগুলো আমার পায়ে টাইট লাগতেছিল সেগুলো আবার রেখে দিছি৷  এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি???

৩/ স্বপ্নে আম খেতে দেখলে কি হয়??  স্বপ্নে আমি প্রায়ই দেখি,,আম খাচ্ছি আবার অনেকসময় দেখি আম পাইছি। আম অন্য কাউকে দিচ্ছি। আম  উপরে সবুজ ভেতরে পাকা।
৪/ স্বপ্নে প্রায়ই দেখি ট্রেন চড়ছে কিংবা কখনো আমি ট্রেনে চড়ছি অথবা ট্রেন দেখি।
স্বপ্নে ট্রেন দেখলে কি হয়??
৫/ আমাদের ভাড়া বাসায় দুইটা ফ্যান। একটা সিলিং ফ্যান আরেকটা ছোট টেবিল ফ্যান। ত আম্মুর কাশি ঠান্ডা সবসময় লেগে থাকে যার কারণে সিলিং ফ্যান বেশিরভাগ চালায় না। রাতে বিষণ গরম লাগে যার কারণে আমি ছোট টেবিল ফ্যানটা চালায়। ছোট  টেবিল ফ্যান সম্পর্কে বাড়িওয়ালী জানেনা। আম্মুকে যদি ছোট টেবিল ফ্যান সম্পর্কে বলি ,, আম্মু বলে  সিলিং ফ্যান এর বদলে টেবিল ফ্যান চালাচ্ছি এতে গুনাহ হবে কেনো!  এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে  সিলিং ফ্যান এর বদলে ছোট টেবিল ফ্যান চালালে গুনাহ হবে কি না???

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১-৪)
প্রশ্ন উল্লেখিত অধিকাংশ স্বপ্নগুলোই আপনার মনের কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন সুতরাং চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে

আপনি নিজ সাধ্য অনুযায়ী দান খয়রাত করতে পারেন। নিজের মূল্যবান জিনিস গুলো হেফাজত করবেন। যেসব কাজ করার পূর্ণ ইচ্ছা করেছেন,সেগুলো পূর্ণতায় পৌঁছে দিবেন। আত্মীয় স্বজনদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন,তাদের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সিলিং ফ্যান এর বদলে ছোট টেবিল ফ্যান চালালে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...