আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
পারিবারিক অবস্থার বর্ণনা:আমি পরিবারের বড় মেয়ে।অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি।দ্বীনের বিষয়াবলি মেনে চলার চেষ্টা করি।সহশিক্ষার ব্যাপারে হুকুম সমস্তই জানি এবং স্বীকার করি।কিন্তু পরিস্থিতির কারণে পড়তে হচ্ছে। আমার ছোট ভাই নবম শ্রেণিতে পড়ে।

ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমাদের পারিবারিক কলহ অনেক বেশি।মা-বাবার নিজেদের মধ্যে ঝামেলা সেইসাথে আত্মীয়স্বজনের সাথেও দ্বন্দ্ব।বর্তমান অবস্থা এমন যে,আমার বাবার আচরণ এত খারাপ হয়ে গিয়েছে যে আমার মা সেটা আর সহ্য করতে পারে না।উনি এত বাজে গালিগালাজ করেন এবং ইদানিং বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন আমার মা এবং ভাইকে,সেইসাথে বলতে থাকেন যে তাদের(আমার মা-ভাইয়ের) "অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেতে হবে।জীবনে কিছু হবে না।" কেবল আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন না।পড়াশোনার সুবাদে ঢাকায় থাকার কারণে ফোনে যোগাযোগ হয় বাড়িতে,কখনো ফোনে উনার সাথে আমার কথা হয় না।বাড়ি গেলে সামনাসামনি খুব সামান্য কথা হয়।(এই বিষয়ে খোলাসা জরুরি যে,ছোটবেলা থেকেই উনার সাথে আমার সম্পর্ক এমন,আমি বেশি ভয় পেতাম তাই)

এখন,উনি আমার মায়ের পরিবার তুলেও বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।বাইরের মানুষজনের সামনেও। মা সারাদিন কাজ করেন সংসারের।অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও মা সবকিছু করেন নিজের শরীরের ওপর জুলুম করে।

বাবার দিকটাও বুঝার চেষ্টা করি।হয়তো উনি অনেক প্রেশারে থাকেন।ছোটখাটো ব্যবসায় কুলায় না খরচে হয়তো।(আমি অসুস্থ হওয়ায় আমার পেছনে খরচ বেড়েছে আরো) এটা আমার নিজস্ব চিন্তা থেকে মনে হয়।উনার পরিশ্রমকে আমি সম্মান করি।

এমতাবস্থায়,আমার মা প্রায়ই বলেন তিনি আর পারেন না এত সহ্য করতে।শারীরিক-মানসিক উভয় কষ্টে তিনি কাহিল হয়ে পড়েছেন।এদিকে আমার বাবা কারো সাথেই ভালো করে দু'টো কথা বলেন না বাড়িতে।উনাকে বোঝানোর উপায় নেই।এত বছরে পরিবর্তন কিছুই হয়নি।আমাদের দুই ভাইবোনের সব প্রয়োজন মিটিয়েছেন সবসময়ই। কিন্তু আম্মার দিকে সেভাবে খেয়াল করেননি।মাসে সাতদিন ভালো থাকলে বাকি দিনগুলোতে এমন আচরণ করেন।

এখন,১)সন্তান হিসেবে আমার করণীয় কী?

মাকে আমি ধৈর্য ধরতে বলি।আর বাড়িতে গেলে বাবাকে বুঝাই।(প্রথমে,বাবারসাথে সম্পর্কটা বুঝার চেষ্টা করার অনুরোধ।উনি নিজে থেকে কখনো ফ্রি হতে পারেননি, আমিও না।আমার ভাইয়ের সাথে উনার বন্ধুর মতন সম্পর্ক ছিল কিন্তু এমন আচরণের কারণে তাদের মধ্যেও এখন আলাপচারিতা কম) উল্লেখ্য:বাড়িতে সবাই-ই নামাজ-কালাম পড়েন।দাঁড়ি রাখেন।

২)মায়ের কষ্ট সহ্য করার মতন না।বাবার বিষয়টাও আমাদের আর বুঝে আসে না।আমার প্রায়শই চিন্তা আসে যে উনাদের সেপারেট হয়ে যাওয়া উচিত।

মা প্রায়ই বলেন আমি একটা চাকরি পেলে উনি চলে আসবেন।ঐ বাড়িতে আর থাকতে পারেন না তিনি।(মেয়েদের চাকরির হুকুম জানা আছে।আমি নিজেও পর্দায় থাকতে চাই।বাইরের পরিবেশ বুঝি না,চলতে পারিনা।) এখন আমার করণীয় কী হবে?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি আপনার বোনকে নরমভাবে হেকমতের সাথে বুঝাবার চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﻦ ﺿَﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন হেকমত তথা জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও নরমভাবে উপদেশ শুনিয়ে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।(সূরা নাহল-১২৫)

আপনার বোনের হেদায়তের জন্য দু'আ করুন
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺭَﺑُّﻜُﻢُ ﺍﺩْﻋُﻮﻧِﻲ ﺃَﺳْﺘَﺠِﺐْ ﻟَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺴْﺘَﻜْﺒِﺮُﻭﻥَ ﻋَﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩَﺗِﻲ ﺳَﻴَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺩَﺍﺧِﺮِﻳﻦَ
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।(সূরা আল-মু'মিন-৬০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পরিবারকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। পরিবারের সুখশান্তির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। পর্দাসম্সত চাকুরী পেলে অবশ্যই চাকুরী করতে পারবেন। মাকে সাহায্য করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...