আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ উস্তাজ
১)আমি একা ঘুমাতে ভয় পাই তাই আম্মুকে নিয়ে ঘুমাই। এক কাথার নিচে ঘুমাই. এটা কী জায়েজ এক কাথার নিচে ঘুমানো?

২)কিছুদিন আগে আমাদের বাসায় একজন মেহমান আসেন উনি আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলেন পর্দার জন্য যাইনি তখন উনি আমাকে ভাই এর মাধ্যমে ১০০০টাকা দিয়েছিলেন পর্দার জন্য খুশি হয়ে। এটা খরচ করা কী আমার জন্য জায়েজ হবে?যেহেতু আল্লাহর বিধানের জন্য করা কিন্তু উনি এর জন্য হাদিয়া দিচ্ছেন।

৩)বিয়ে ফরজ হয়ে গিয়েছে জানার পর বাবা মাকে এর জন্য অনেক বার বুঝানোর পর ও উনারা উদ্যোগ না নিলে কী করবো উস্তাজ?

৪)অনেকে পাইলস রোগের জন্য কোমরে একটা গাছের শিকড় বেঁধে রাখেন এটা রাখলে নাকি কমে যায়, এটা কী জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(দশে উপনীত হওয়া)সন্তানের শয়নস্থল-কে মাতা-পিতা থেকে পৃথকীকরণ করতে এজন্য বলা হয়েছে যে,যাতেকরে মাতা-পিতা র মধ্যকার একান্ত মুহুর্ত গুলো সম্পর্কে সন্তান অবগত হতে না পারে।সন্তান একাকী ঘুমানো বা ছেলে সন্তান পিতার সাথে এবং মেয়ে সন্তান মায়ের সাথে ঘুমানো নিষিদ্ধ নয়।এবং প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তান-কে কোনো পুরুষ বা মহিলার সাথে ঘুমোতে দেয়া যাবে না।বিশেষ করে সন্তানের চেহারা সুন্দর হলে তো দেয়া যাবেই না।কেননা এক্ষেত্রে ঐ সুদর্শন সন্তানের প্রতি মন বসে যেতে পারে যা বর্তমানে না হলেও ভবিষ্যতে ফিতনার কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। শরীয়তের বিধানাবলী কতই না সুন্দর।কেননা শরীয়ত ফিতনার মূল উৎসকে ধংস করে দিতে চায়।সুতরাং ঐ সতর্কতামূলক অবস্থানকে উপেক্ষা  করলে অবশ্যই ফিতনায় জড়িত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। (রদ্দুল মুহতার- ৬/৩৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/757


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) মেয়ে তার মায়ের সাথে একই বিছানায় একই  ঘুমাতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে পৃথক পৃথক তোষকের নিচে ঘুমানো উচিত। যদি অভ্যাস না থাকে, তাহল  অভ্যাস করে নেওয়াই উচিত।

(২) জ্বী , যেজন্য হাদিয়া দেওয়া হউক, যেহেতু শেষ পর্যন্ত আপনাকে হাদিয়া দেয়া হয়েছে, তাই আপনার জন্য ঐ হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয হবে। 

(৩) বিয়ে ফরজ হয়ে গিয়েছে,  একথা বারংবার মা বাবাকে বুঝাতে হবে । প্রয়োজনে আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে।

(৪) পাইলস রোগের জন্য কোমরে গাছের শিকড় বেঁধে রাখা যেতে পারে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে আকিদা বিশ্বাসে রাখতে হবে যে, শেফা প্রদাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা'আলা। শিকড়ের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...