ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(দশে উপনীত হওয়া)সন্তানের শয়নস্থল-কে মাতা-পিতা থেকে পৃথকীকরণ করতে এজন্য বলা হয়েছে যে,যাতেকরে মাতা-পিতা র মধ্যকার একান্ত মুহুর্ত গুলো সম্পর্কে সন্তান অবগত হতে না পারে।সন্তান একাকী ঘুমানো বা ছেলে সন্তান পিতার সাথে এবং মেয়ে সন্তান মায়ের সাথে ঘুমানো নিষিদ্ধ নয়।এবং প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তান-কে কোনো পুরুষ বা মহিলার সাথে ঘুমোতে দেয়া যাবে না।বিশেষ করে সন্তানের চেহারা সুন্দর হলে তো দেয়া যাবেই না।কেননা এক্ষেত্রে ঐ সুদর্শন সন্তানের প্রতি মন বসে যেতে পারে যা বর্তমানে না হলেও ভবিষ্যতে ফিতনার কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। শরীয়তের বিধানাবলী কতই না সুন্দর।কেননা শরীয়ত ফিতনার মূল উৎসকে ধংস করে দিতে চায়।সুতরাং ঐ সতর্কতামূলক অবস্থানকে উপেক্ষা করলে অবশ্যই ফিতনায় জড়িত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। (রদ্দুল মুহতার- ৬/৩৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/757
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) মেয়ে তার মায়ের সাথে একই বিছানায় একই ঘুমাতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে পৃথক পৃথক তোষকের নিচে ঘুমানো উচিত। যদি অভ্যাস না থাকে, তাহল অভ্যাস করে নেওয়াই উচিত।
(২) জ্বী , যেজন্য হাদিয়া দেওয়া হউক, যেহেতু শেষ পর্যন্ত আপনাকে হাদিয়া দেয়া হয়েছে, তাই আপনার জন্য ঐ হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয হবে।
(৩) বিয়ে ফরজ হয়ে গিয়েছে, একথা বারংবার মা বাবাকে বুঝাতে হবে । প্রয়োজনে আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে।
(৪) পাইলস রোগের জন্য কোমরে গাছের শিকড় বেঁধে রাখা যেতে পারে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে আকিদা বিশ্বাসে রাখতে হবে যে, শেফা প্রদাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা'আলা। শিকড়ের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নাই।