আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
Hive ফেসবুকের মতোই একটি সোশ্যাল মিডিয়া। Hive ব্যক্তি মালিকানাধীন নয় যেখানে ফেসবুক একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। ফেসবুকের যত আয় সব চলে যায় মালিকপক্ষের হাতে। Hive এর যেহেতু কোন মালিকানা নেই তাই এর আয় ব্যবহারকারীদের মাঝে বন্টন হয়।

এখানে ভাল পোস্ট শেয়ার করলে অন্যরা ফেসবুকের মতোই লাইক পেতে পারে, ফ্রেন্ড হতে পারে। ব্লকচেইনে কোন মালিক ছাড়া প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টোকেন (hive) তৈরি হয়। এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই টোকেনগুলো যারা লাইক দিচ্ছে এবং যারা পোস্ট করছে তাদের সবার মাঝে বিতরণ হয় একটা নিয়মে। যার পোস্টে বেশি লাইক সে বেশি টোকেন পাবে। আবার যার ওয়ালেটে বেশি পরিমাণ টোকেন আছে তার লাইকের মূল্য বেশি।

যেহেতু এই টোকেন (hive) সারা বিশ্বব্যাপী সবাই আয় করছে তাই এটির ব্যবহার রয়েছে bitcoin এর মতই। প্রায় সব দেশেই এটি ভাঙিয়ে টাকা, ডলার বা জিনিসপত্র কেনা যায়।

প্রশ্ন ০১ঃ এখানে কাজ করা হালাল হবে কিনা? অর্থাৎ লেখালেখি করে আয় করা। ভাল পোস্ট লিখলে এখানে ভালো লাইক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এভাবে আয় করার সুযোগ আছে কি না?

প্রশ্ন ০২ঃ যদি পোস্ট লিখে আয় করা হালাল হয়ে থাকে তাহলে টোকেন কিনে বা কোনভাবে অর্জন করে অন্যদের পোস্টে লাইক দিয়ে আয় করা হালাল হবে কি না কারণ এখানে যার যত বেশি টোকেন তার লাইকের ভ্যালু বা আয় তত বেশি।

প্রশ্ন ০৩ঃ যারা সময় দিতে পারে না তাদের জন্য এখানে আরেকটি অপশন রয়েছে। এখানে টোকেন অন্যদেরকে দিয়েও আয় করা যায়। যাদের সময় নেই তারা তাদের টোকেন অন্যদেরকে ব্যবহার করতে দিবে যা দিয়ে অন্যরা কারো পোস্টে লাইক দিবে ও আয় করবে। চুক্তি মোতাবেক সেই আয়ের একটা অংশ যিনি ধার দিয়েছিলেন তাকে দিয়ে দিবে। সবসময় আয় হবে ঠিকই তবে এখানে রিস্ক ফেক্টর হচ্ছে সময়ে সময়ে মার্কেটে টোকেনের দাম বাড়ে ও কমে।

প্রশ্ন ০৪ঃ যদি প্রশ্ন ৩ হালাল হয় তাহলে আরেকটি প্রশ্ন আছে। যাকে টোকেন ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে সে অন্য সবার থেকে ধার নিয়ে একসাথে অনেক টোকেন জমিয়ে সবার পোস্টে বড় লাইক দেয়ার সুযোগ আছে। যদিও এটা আনলিমিটেড না। লিমিট আছে। অর্থাৎ আমার কাছে যে টোকেন আছে সেটি আমি আরেকজনকে দিব, সে তার সহ অন্যদের টোকেন মিলিয়ে আমাকে এবং অন্যদের পোস্টে দিনে একবার বড় ভোট দিতে পারবে। এতে আমাদের সবার পোস্টের আয় বাড়বে। এই বিষয়টি হালাল হবে কিনা?

দ্রষ্টব্যঃ ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে আমার জানামতে  ধারনা হচ্ছে, কোন কাজের পেমেন্ট হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডলার বা অন্য কোন মুদ্রা অর্জন করলে সেটি ব্যবহার করা জায়েজ। তবে ক্রিপ্টো বা অন্য কোন মুদ্রা কেনাবেচা করে আয় করা (Forex Trading) জায়েজ নয়। এক মুদ্রা কিনে বিশেষ করে লোন করে লিবারেজে কিনে বিক্রি করা জায়েজ নয় কারন কারেন্সি বা মুদ্রা কেনা বেচা করার জন্য নয়। (আল্লাহ ভালো জানেন)।

এক্ষেত্রে বলা বাহুল্য যে, বর্তমান কাগজের বা ডিজিটার মুদ্রা যেমন ডলার, টাকা, বিকাশ, নগদ ইত্যাদি তৈরি করতে ব্যাকাপ হিসেবে কোন স্বর্ন রাখা হয় না। সারা বিশ্বে সবই হচ্ছে এখন পেপার মুদ্রা। সরকার, ব্যাংক বা সংস্থা মন চাইলেই এগুলো বানাতে পারে। তাই ক্রিপ্টোকারেন্সিও ডলারের মত জায়েজ মনে করে উপরের ৪ প্রশ্নের ফতোয়া দিলেও হবে। অথবা ক্রিপ্টো হারাম হয়ে থাকলে সেটির কারন সহ ফতোয়া দিলে ভাল হয়। জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিটকয়েন জাতীয় সকল প্রকার ভার্চুয়াল কারেন্সি সম্পর্কে উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল,এ জতীয় কারেন্সিরর ক্রয়-বিক্রয় লেনদেন সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1710

হারাম কাজে সহযোগিতা করার বিধান সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/92143

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কিপ্টোকারেন্সিকে মুদ্রা হিসেবে প্রচলন করা এবং এর প্রসার প্রচার করা কখনো বৈধ হবে না। তবে যদি এটাকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং কেউ টাকা দিয়ে এটাকে কিনে নেয়, অথবা কেউ কোনো কাজের বিনিময় কিপ্টোকারেন্সি দ্বারা গ্রহণ করে তারপর সেটাকে মুদ্রায় পরিবর্তন করে নেয়, তাহলে তখন সেটা নাজায়েয হচ্ছে না। তাই প্রশ্নে বর্ণিত কাজকে যদিও হারাম বলা যাচ্ছে না, তথাপি সেটাকে উত্তমও বলা যাবে না। বরং বলা যায় মাকরুহে তাসযিহি হিসেবেই বিবেচিত হবে। হ্যা, সুদি কাজে সহযোগিতা করার দিকে লক্ষ্য কররে নাজায়েজ ও হারাম হওয়ার দিকটিই অগ্রাধিকার যোগ্য। সুতরাং এমন কাজ ও পেশাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি সেখানে কোনো হারাম পোষ্ট না হয়, তাহলে ইনকাম হারাম হবে না। সকল ধারা উপধারার একই বিধান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...