ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) এখানে নামায পড়ার মান্নত করা হয়েছে। এতেকরে কোনো সমস্যা হবে না। যে কোনো স্থানে নামায পড়ে নিলেই হবে। যে কাজের জন্য মান্নত করা হয়েছে, কাজ পুরা হওয়ার পর ইবাদত করা ওয়াজিব।
(২) বিছানায় নাজাসাতে খফিফা বা নাজাসাতে গলীজা লেগে যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে নাজাসাতযুক্ত অংশের উপর বসা বা শোয়ার পর ঐ পোষাকেই সালাত আদায় করা যাবে। এতে কোনো গুনাহ হবে না।
(৩) যদি কখনো আলসেমির কারণে সালাত মিস হয়ে যায়, তাহলে কবিরা গোনাহ হবে। তবে ঐ ব্যক্তি কাফির হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। তাকে ইমান নবায়ন করতে হবে না।
(৪) যেসব বইয়ে কুরআনের আয়াত থাকে, সেসব বই হায়েজ অবস্থায় ধরা এবং পড়া যাবে, যদি তাতে কুরআনের আয়াত কম থাকে। সমান সমান বা বেশী থাকলে তখন আর স্পর্শ করা যাবে না।
(৫) মুখে উচ্ছারণ যেহেতু হয়নি, তাই পূর্ণ করতে হবে না।
(৬) যদি কারো বাবার উপার্জনের সাথে সুদ মিশ্রিত হয়ে যায়, তাহলে সেই টাকা থেকে কুরআন হিফজ বা নাযেরা কোর্সের বেতন দেয়া যাবে।
(৭) কুরআন পড়ানোর বিনিময়ে টাকা নেয়া জায়েয।
(৮) ফরয দাড়িয়ে পড়তে হবে।হ্যা, নফল বসে পড়া যাবে।
(৯) এই হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।
(১০) ফোনে কোনো কাজ করার সময় বা স্ক্রলিং এর সময় দরুদ, ইস্তেগফার, অন্য জিকির-আযকার পড়া যাবে। এতে সওয়াব হাসিল হবে।
(১১) মোবাইলে কুরআন তিলাওয়াত এর অডিও প্লে করে অন্য কাজ করা যাবে না। এতে কুরআনের আদবের খিলাফ হবে। তবে গুনাহ হওয়ার আশঙ্কা নেই।