আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
শাইখ আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।
১.আমার বান্ধবী মানত করেছে একটা নির্দিষ্ট মসজিদে কিছু টাকা দিবে এবং ওই মসজিদে ২রাকাত নফল নামাজ পড়বে। তার জন্য একটা বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল এবং এই বিয়েটা হয়ে যাওয়ার জন্যই সে মানত করেছিল। প্রচলিত আছে যে, মসজিদটা নাকি নিজে নিজে উঠেছে। ওয়াল্লহু আ'লাম...
মসজিদে গিয়ে দেখি মসজিদের পাশেই মাজার। মসজিদে মেয়েদের জন্য আলাদা নামাজ পড়ার জায়গা থাকলেও তেমন কোনো কঠোরতা নেই। ওজু করার জায়গাও খোলামেলা, ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ।
এই মানতটা কি জায়েজ হবে?
আমি যে ওর সাথে গিয়েছি,এতে কি আমার গুনাহগার হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

২.বিছানায় নাজাসাতে খফিফা বা নাজাসাতে গলীজা লেগে যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে নাজাসাতযুক্ত অংশের উপর বসা বা শোয়া যাবে? যদি নাজাসাতযুক্ত অংশের উপর বসে যাই, তাহলে যে পোষাক পরা অবস্থায় বসেছি ওই পোষাকেই সালাত আদায় করা যাবে? এতে কি গুনাহ হবে?
৩.যদি কখনো আলসেমির কারণে সালাত মিস হয়ে যায়, তাহলে কি ব্যক্তি কাফির হিসেবে সাব্যস্ত হবে? তাকে ইমান নবায়ন করতে হবে?
৪.যেসব বইয়ে কুরআনের আয়াত থাকে, সেসব বই হায়েজ অবস্থায় ধরা এবং পড়া যাবে কিনা?

৫.এডমিশন পরীক্ষার সময় আমি নিয়ত করেছিলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে কিছু দান সাদাকা করবো এবং নফল সালাত পড়বো। এটা মনে মনে ভেবেছিলাম এবং কাগজে টুকে রেখেছিলাম। সেই কাগজটা ভুলবশত ফেলে দিয়েছি। তাছাড়াও সহশিক্ষার বিষয়টা বুঝার পর আমি অনুতপ্ত হয়েছি এবং যেকোনো মূল্যে বের হয়ে যেতে চাচ্ছি। যেহেতু আমি নিয়তটা মুখে উচ্চারণ করিনি, কাউকে বলিনি, তাহলে কি এটা পূরণ করা আবশ্যক?

৬.যদি কারো বাবার উপার্জনের সাথে সুদ মিশ্রিত হয়ে যায়, তাহলে সেই টাকা থেকে কুরআন হিফজ বা নাযেরা কোর্সের বেতন দেয়া যাবে? এতে গুনাহ হবে?

৭.কুরআন পড়ানোর বিনিময়ে টাকা নেয়ার হুকুম কি?

৮.দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে, তবে দাঁড়িয়ে সালাত পড়লে অস্বস্তি লাগবে। যেমন- মাথা ঘুরাবে বা শরীর ব্যথা করছে। এর চেয়ে বসে সালাত আদায় করলে বেশি মনোযোগ দেয়া যাবে। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে সাত আদায় করতে হবে? নাকি বসে পড়লেও হবে?

৯.একটা কাফেলায় প্রায় ৩০ জন বোন মিলে উমরি কাযা আদায় করেন। প্রতিদিন পোলে ভোট দেয়া সাপেক্ষে যারা নিয়মিত ছিলেন তাদেরকে একটা করে বই হাদিয়া দেয়া হয়েছে। হাদিয়া সম্পর্কে পূর্বে তেমন কিছু বলা হয়নি। তাই বলা যায়, সবার নিয়তই সহীহ ছিল, অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছিল। এই হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েজ হবে?

১০.ফোনে কোনো কাজ করার সময় বা স্ক্রলিং এর সময় দরুদ, ইস্তেগফার, অন্য জিকির-আযকার পড়া যাবে কি? এতে সওয়াব হাসিল হবে?
১১.মোবাইলে কুরআন তিলাওয়াত এর অডিও প্লে করে অন্য কাজ করা যাবে? যেমন- সুই সুতার কাজ বা রান্নাবান্না। এতে কুরআনের আদবের খিলাফ হবে? গুনাহ হওয়ার আশঙ্কা আছে?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) এখানে নামায পড়ার মান্নত করা হয়েছে। এতেকরে কোনো সমস্যা হবে না। যে কোনো স্থানে নামায পড়ে নিলেই হবে। যে কাজের জন্য মান্নত করা হয়েছে, কাজ পুরা হওয়ার পর ইবাদত করা ওয়াজিব।

(২) বিছানায় নাজাসাতে খফিফা বা নাজাসাতে গলীজা লেগে যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে নাজাসাতযুক্ত অংশের উপর বসা বা শোয়ার পর ঐ পোষাকেই সালাত আদায় করা যাবে। এতে কোনো গুনাহ হবে না।

(৩) যদি কখনো আলসেমির কারণে সালাত মিস হয়ে যায়, তাহলে কবিরা গোনাহ হবে। তবে ঐ ব্যক্তি কাফির হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। তাকে ইমান নবায়ন করতে হবে না।

(৪) যেসব বইয়ে কুরআনের আয়াত থাকে, সেসব বই হায়েজ অবস্থায় ধরা এবং পড়া যাবে,  যদি তাতে কুরআনের আয়াত কম থাকে। সমান সমান বা বেশী থাকলে তখন আর স্পর্শ করা যাবে না। 

(৫) মুখে উচ্ছারণ যেহেতু হয়নি, তাই পূর্ণ করতে হবে না।

(৬) যদি কারো বাবার উপার্জনের সাথে সুদ মিশ্রিত হয়ে যায়, তাহলে সেই টাকা থেকে কুরআন হিফজ বা নাযেরা কোর্সের বেতন দেয়া যাবে। 

(৭) কুরআন পড়ানোর বিনিময়ে টাকা নেয়া জায়েয। 

(৮) ফরয দাড়িয়ে পড়তে হবে।হ্যা, নফল বসে পড়া যাবে।

(৯)  এই হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।

(১০) ফোনে কোনো কাজ করার সময় বা স্ক্রলিং এর সময় দরুদ, ইস্তেগফার, অন্য জিকির-আযকার পড়া যাবে।  এতে সওয়াব হাসিল হবে।

(১১) মোবাইলে কুরআন তিলাওয়াত এর অডিও প্লে করে অন্য কাজ করা যাবে না।  এতে কুরআনের আদবের খিলাফ হবে। তবে গুনাহ হওয়ার আশঙ্কা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...