আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম। একজন ব্যক্তি (তাকে 'ক' দ্বারা সম্বোধন করবো) ছোট থেকেই তার বাবা-মায়ের আপত্তিকর দৃশ্য দেখে ছিলো বেশ কয়েকবার৷ যার কারণে সে-ও এসবের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে। তার আঙ্কেল তার বক্ষে খারাপ ভাবে টাচ করতো কিন্তু সে কোনো প্রতিবাদ করতো না, তার ভালো লাগতো কারণ সে আপত্তিকর দৃশ্যগুলো দেখেছিলো। যদিও সে অনেক ছোট ছিলো ৭-৯ বয়স এমন কোনো একটা সময় হবে। এরইমধ্যে তাঁর এসব কেমন কেমন লাগায় সে এসব থেকে দূরে সরে আসলেও জড়িয়ে যায় আরেকটি ভয়াবহ পাপে। সে তার সমবয়সী বান্ধবীদের সাথে খেলার নাম করে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলতো,সমকামীতা করতো,যদিও তার তখন সমকামীতা সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। সে শুধু এটাকে একটা পাপ ছাড়া কিছুই মনে করতো না, এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তার ধারণা ছিল না। তারই এক বান্ধবী তারই মতো একই ধাঁচের ছিল। তার বান্ধবী আরও একটা নিকৃষ্ট কাজ করে ছিলো সেটা হলো সে কুরআন সহ্য করতে পারতো না,সে কুরআনের উপর দাঁড়াতো, পা রাখতো এমনসব কাজ করতো। সে তখন তার বান্ধবী "ক" কেও এসব কাজে প্রলুব্ধ করে।
"ক" এখন প্রাপ্তবয়স্ক টিনএজ। সে তার পূর্বের সকল কাজের জন্য অনুতপ্ত, প্রচুর অনুতপ্ত। তবে সে এখনো নামাজ পড়ে না ঠিকভাবে। ভাবে যে, কালকে পড়বো আজকে পড়বো, এমন করে পড়া হয় না।
 

এখন তার পূর্বের পাপের জন্য সে কি করবে?কিভাবে ক্ষমা চাইবে? কি করবে সে? আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন?(1)

নামাজ পড়া কিভাবে শুরু করবে? (2)


সে খুবই খুঁতখুঁতে স্বভাবের, মনে করে আজকে কাপড় মনে হয় ভালে করে ধোয়া হয়নি,নামাজের জায়গা পরিস্কার নেই এই সেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কাপড় নিয়ে তার মনে হয় তার কাপড় ধোয়া হয় না। কারণ বিসমিল্লাহ বলে না, কিন্তু বলার উপায়ও নেই, যেহেতু সে বাথরুমে কাপড় ধৌত করে। এখন সে কি করবে? (3)


সে ফেসবুক খুলে ছিল,যেখানে একটা ছেলে তাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয় কিন্তু সে নিরব থাকে।হ্যা না কিছু না বলে,ছেলের সাথে কথা বলা চালিয়ে গিয়েছিল।এরপর কিছু এপসেও তার কিছু ছেলের সাথে নরমালি কথা হয়েছে। এখন এসব কি তার রিলেশনশিপ হয়েছে?তাকে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তুমি কি কখনো রিলেশনশিপে ছিলে না-কি? তখন সে কি বলবে? (4)


এখন সে যেহেতু প্রাপ্ত বয়স্ক তার বিয়ের কথাবার্তা তো চলেই। এখন যখন সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে তার স্বামীকে কি এসব বলতে হবে? মানে পুরনো পাপগুলোর কথা বলতে হবে?আর যদি বলতে নাও হয় তার স্বামী যদি তাকে জিজ্ঞাসা করে যে, তাকে কেউ কখনো খারাপ ভাবে স্পর্শ করছে কি-না তখন সে কি উত্তর দিবে? (5)

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
قُلۡ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسۡرَفُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُواْ مِن رَّحۡمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ-
‘হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের ওপর যুলম করেছো তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল গুনাহ মাফ করবেন। তিনি ক্ষমাশীল দয়ালু।’ (সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫৩)

এ আয়াতটি মহান পালনকর্তার অনুগত ও আজ্ঞাবহ তাওবাকারীদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُۥ ثُمَّ يَسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا- 
‘যে গুনাহ করে কিংবা নিজের ওপর যুলম করে অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও করুণাময় পাবে।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১১০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন। তবে শর্ত এই রকম গর্হিত কাজ না করা এবং ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় সংকল্প করা। 

(২) এখনই নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে কারো কাছ থেকে সরাসরি অফলাইনে নামায শিক্ষা করে এখনই নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে। 

(৩) যখনই মনে এরকম চিন্তাভাবনা আসবে, সাথে সাথেই আউযুবিল্লাহ পড়ে বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করে দু রাকাত নামায পড়ে নিবেন।

(৪) সকল প্রকার গোনাহকে গোপন রাখবে। এরকম প্রশ্নকে সে এড়িয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906

(৫) সে অতীতের কোনো গোনাহকে কখনো স্পর্শ করবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...