আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in সালাত(Prayer) by (57 points)
আসসালামু আলাইকুম
খুব আর্জেন্ট উস্তাদ। ২৫ জানুয়ারি আমার ব্লিডিং শুরু হয়, আমি যে প্রেগন্যান্ট সেটা আমি জানতাম না। যেহেতু ইরেগুলার পিরিয়ড । ২৫ জানুয়ারি ব্লিডিং দেখে আমি পিরিয়ড মনে করি এবং ১০ দিন নামাজ অফ রাখি। কিন্তু ব্লিডিং চলতে থাকে এরপরও তাই ১১ তম দিন থেকে নামাজ শুরু করি।


এভাবে ব্লিডিং চলতে চলতে ১৬ তম দিনে অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি অনেক ব্যথা , ব্লিডিং। হসপিটাল যাওয়া লাগে। হসপিটালেই জানতে পারি যে আমি প্রেগন্যান্ট এবং আমার মিসক্যারেজ হয়ে যাচ্ছে।
এখন আমি ২৫ জানুয়ারি থেকে মিসক্যারেজ হিসাব করব নাকি যেদিন প্রচণ্ড ব্যথার সাথে বেবি ক্লট আকারে বের হয়ে যাওয়া শুরু হয় সেদিন থেকে মিসক্যারেজ ধরব?  এখন আমি কি নামাজ পড়ব নাকি অফ রাখব ৭-১০ দিন এটা বুঝতেছিনা। কালকেও নামাজ পড়ছি।কিন্তু অনেক সন্দেহ লাগছে মনে  । আর যদি ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মিসক্যারেজ ধরি তাইলে কি আগে যে ২৫ জানুয়ারি থেকে ১০ দিন নামাজ অফ রাখছিলাম ওগুলো কাযা করব?
আমার এখনো ব্লিডিং চলমান।
by (616,950 points)
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট। আপনি কমেন্টে বিস্তারিত উল্লেখ করবেন।
by (57 points)
বাসায় কিট টেস্টে নেগেটিভ শো করে প্রেগন্যান্সি। তাই আমি ধরে নিই যে আমি প্রেগন্যান্ট না। ২৫ জানুয়ারি যখন ব্লিডিং দেখি। আমি হায়েজ ধরে নিই। এই ব্লিডিং চলমান থাকে ।তাই ১০ দিন পর্যন্ত নামাজ অফ রেখে ১১ তম দিন থেকে ইস্তিহাযা ধরে নামাজ শুরু করি। কিন্তু ব্লিডিং এর ১৬ তম দিন অর্থাৎ ৯  ফেব্রুয়ারি আমার অনেক ব্যথা উঠে তলপেটে ।হসপিটালে যেতে হয়। সেখানেই ডাক্তাররা টেস্ট করে বলে যে আমি প্রেগন্যান্ট কিন্তু অইদিন আমার মিসক্যারেজ হয়ে যাচ্ছিল বলেই এত ব্যথা। 

আমি কি এখন নামাজ অফ রাখব ? ৩ মাসের মিসক্যারেজে কতদিন নামাজ অফ রাখতে হয়? আর এই মিসক্যারেজ আমি কখন থেকে হিসাব করব? ২৫ জানুয়ারি ১ম ব্লিডিং শুরু হওয়া থেকে নাকি ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যথা উঠার দিন থেকে যেহেতু ৯ ফেব্রুয়ারি আমার ক্লট আকারে মিসক্যারেজ শুরু হয়ছিল। 

যদি ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মিসক্যারেজ হিসাব করি তাইলে কি আগে যে আমি পিরিয়ড ভেবে ২৫ জানুয়ারি থেকে ১০ দিন নামাজ অফ রাখছিলাম সেটা কি কাযা করে দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1570

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
যেদিন গর্ভপাত হবে, সেদিন থেকেই হয়তো নেফাস বা হায়েয গণনা হবে। এর পূর্ব পর্যন্ত হায়েয ও ইস্তেহাযা গণনা হবে। 



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 233 views
...